সালথা উপজেলা
সালথা উপজেলা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এই উপজেলার আয়তন ১৮২.৯৬ বর্গ কিমি। এ উপজেলা ২৩.৪১৫৩ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ, ৮৯.৮৯১৭ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত৷[2]
সালথা | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() সালথা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৪′১৯″ উত্তর ৮৯°৪৯′৫৯″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ফরিদপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৮২.৯৬ কিমি২ (৭০.৬৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,৬৭,৪৪৬ |
• জনঘনত্ব | ৯২০/কিমি২ (২৪০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৯ ৯০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান
এ উপজেলার উত্তরে ফরিদপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে মুকসুদপুর উপজেলা ও কাশিয়ানী উপজেলা, পূর্বে নগরকান্দা উপজেলা, পশ্চিমে বোয়ালমারী উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
৮টি ইউনিয়ন নিয়ে সালথা উপজেলা গঠিত। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে : ভাওয়াল ইউনিয়ন, আপঘর ইউনিয়ন, মাঝারদিয়া ইউনিয়ন, বল্লভদী ইউনিয়ন, গট্টি ইউনিয়ন, যদুনন্দি ইউনিয়ন, রামকান্তপুর ইউনিয়ন, সোনাপুর ইউনিয়ন। [3]
ইতিহাস
শুরু থেকেই (নগরকান্দা) এলাকাটি ছিল একটি জলাভূমি অঞ্চল। ধীরে ধীরে তা মানুষের বসবাসযোগ্য হয়ে উঠে। ১৯০৬ সালে সর্বপ্রথম প্রশাসনিক থানার ছোয়া লাগে এই অঞ্চলে। স্থানীয় জনসাধারনের অসচেতনতা ও ক্রমাগত নদী ভাংগনের প্রেক্ষিতে উক্ত থানা সদর দপ্তর স্থানান্তর অনিবার্য্য হয়ে পড়ে। তৎকালীন চৌদ্দরশি জমিদারগণ তাদের প্রশাসনিক সুবিধার্থে তাদেরই খাজনা আদায়ের কাঁচারীর পার্শ্বে বর্তমান নগরকান্দা থানা সদর কার্যালয়ের জন্য জমিদান করেন। ১৯৮৪ সালে নগরকান্দা উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সালে উপ-২/সি-১২/২০০৫/৩৪ নং প্রজ্ঞাপন মূলে নগরকান্দা উপজেলার মোট আটটি (০৮) ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে সালথা উপজেলা গঠিত হয়। ১৯ নভেম্বর, ২০০৮ সাল থেকে নবসৃষ্ট এ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয় ।
জনসংখ্যার উপাত্ত
এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৬৭,৪৪৬ জন(আদমশুমারী-২০১১) । এদের মধ্যে পুরুষ ৮৩০৯৮ জন, মহিলা ৮৪,৩৪৮ জন। প্রতি বর্গ কি:মিটারে ১০৩৮ জন (প্রায়) বাস করে।
মুক্তিযুদ্ধে সালথা
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশর অন্যান্য স্থানের মত সালথা উপজেলার চান্দের হাট নামক গ্রামে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা তুমূল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সেই রেশ ধরে পরে বেশ কিছুদিন এখানে পাক-বাহিনীর সাথে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বিচ্ছিন্ন কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
শিক্ষা
এই উপজেলায় দুটি কলেজ, ১৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৬টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি আলিম মাদ্রাসা, ১টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৩১টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রস্তাবিত সরকারি), ৪০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। [4]
অর্থনীতি
পাট এবং পিঁয়াজ এই এলাকার প্রধান ফসল। এছাড়াও খেজুরের রস এবং গুড়ের জন্য সালথা উপজেলা প্রসিদ্ধ। রবিশস্য এবং অন্যান্য সব ফসলই কমবেশি এখানে উৎপাদিত হয়।
নদনদী
বিখ্যাত কাগদী বাঁওড় রয়েছে। সালথা উপজেলার ভিতর দিয়ে বিখ্যাত আকাবাকা কুমার নদী বয়ে গেছে।গ্রামের ভাষায় যাকে গাং বলে।
উপজেলার দর্শনীয় স্থান
- উপজেলা কমপ্লেক্স
- হযরত শাহমকদুম মাজার
কৃতী ব্যক্তিত্ব
মরহুম কে.এম ওবায়দুর রহমান সাবেক মহাসচিব বি,এন পি।
- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী[5] এম.পি. মাননীয় সংসদ উপনেতা, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে সালথা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারী ২০১৫।
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "ভৌগলিক পরিচিতি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারী ২০১৫।
- "ইউনিয়ন"। bn.banglapedia.org/।
- "শিক্ষা সংক্রান্ত"। বাংলাদেশ জাতীয় বাতায়ন।
- "Deputy Leader of the House"। www.parliament.gov.bd।