গোপালপুর উপজেলা
গোপালপুর বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এর মোট আয়তন : ১৯৩.৩৭ বর্গ কিঃমিঃ।
গোপালপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() গোপালপুর | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৩′৪৭″ উত্তর ৮৯°৫৫′০″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | টাঙ্গাইল জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৯৩.৩৭ কিমি২ (৭৪.৬৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৫২,৩৩১[1] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৩% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৯৩ ৩৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান
এই উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪.৫৫৮৩° উত্তর ৮৯.৯১৬৭° পূর্ব গোপালপুর উপজেলা টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে ৫৫ কিঃ মিঃ উত্তরে অবস্থিত। এর উত্তরে ও পূর্বে ধনবাড়ী, মধুপুরএবং ঘাটাইল উপজেলা, দক্ষিণে ঘাটাইল এবং ভুঞাপুর উপজেলা, পশ্চিমে সরিষাবাড়ী ও জামালপুর জেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
একটি পৌরসভা এবং ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। যেমন- * গোপালপুর পৌরসভা
- হাদিরা ইউনিয়ন
- নগদা শিমলা ইউনিয়ন
- ঝাওয়াইল ইউনিয়ন
- হেমনগর ইউনিয়ন
- আলমনগর ইউনিয়ন
- মির্জাপুর ইউনিয়ন এবং
- ধোপাকান্দি ইউনিয়ন
রাজধানী ঢাকা থেকে ১৫০ কিলোমিটার এবং জেলা সদর টাঙ্গাইল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।
ইতিহাস

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ কর্তৃক ২০০৮ সালে প্রকাশিত ‘ টাঙ্গাইল জেলায় স্থাননাম বিচিত্রা’ নামক গ্রন্থে গোপালপুর নামকরণ নিয়ে দু ধরনের মতামতের উলেস্নখ রয়েছে। প্রথমত-মুঘল শাসনামলে গোপাল শাহ নামক একআফগান দরবেশ এখানে এসে আসত্মানা গড়েন। এ গোপাল শাহের নামুনুসারে নাম হয় গোপালপুর। দ্বিতীয়ত-চট্টগ্রাম থেকে আগত গোপাল জমিদার রাণীভবানীরনিকট হতে এ মৌজ পত্তনি নেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরম্ন করেন। তার নামানুসারে নাম হয় গোপালপুর। এখানে পুর বলতে বাড়ী আসত্মানা বুঝানো হয়েছে। শেষের অভিমত অধিকতর সঠিক বলে মনে হয়। ১৯০৪ সাল পর্যমত্ম গোপালপুর মৌজা হিন্দু অধ্যুষিত ছিল এবং হিন্দু মহাজনরা বৈরান নদীর তীরে গেপালপুর মৌজার নন্দনপুর এলাকায় পাটের কারখানা গড়ে তুলেন। ১৯৭২ সালে গোপালপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে ভূঞাপুর উপজেলা গঠিত হয়। ১৯৮৭ সালে গোপালপুর উপজেলার মুশুদ্দী ইউনিয়নকে মধুপুর উপজেলার অমর্ত্মভূক্তকরা হয়। পরবর্তীতে মুশুদ্দী ইউনিয়ন ধনবাড়ি উপজেলার অমর্ত্মভূক্ত হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০০১ এর আদমশুমারী অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা:২,৭৪,২৭৩ জন।এদের মধ্যে পুরুষ- ১,৩৮,৮৮৪ জন, মহিলা- ১,৩৫,৩৮৯ জন।[2]
শিক্ষা
অর্থনীতি
গোপালপুর একসময় পাট ব্যবসায় বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিল । প্রধান শস্য ধানের পাশাপাশি প্রচুর পাট উৎপাদন করত স্থানীয় কৃষকরা । নদীপথে দূর দুরান্তের বিভিন্ন স্থানে নৌকা বোঝাই পাট যেত । কিন্তু পাট ব্যবসা ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যায় । গোপালপুর অর্থনৈতিকভাবে অনেক পিছিয়ে পরেছে। তবে বর্তমানে পোলট্রি শিল্প নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিয়েছে ।
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- হাতেম আলী খান
- আলহাজ্ব হাতেম আলী তালুকদার
- এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু
- খন্দকার আসাদুজ্জামান
- সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
- তারা মিয়া কমান্ডার
- শহীদুল ইসলাম লালু বীর প্রতীক
- ভাষা সৈনিক হযরত আলী
- মোঃ রুবেল আহমেদ
দর্শণীয় স্থান
- চর চতিলা বাঁশ তৈরি কারুশিল্প
- হেমনগর জমিদার বাড়ি
- খামারপাড়া মসজিদ
- খামারপাড়া মাজার
- ২০১ গম্বুজ মসজিদ
বিবিধ
তথ্যসূত্র
- http://www.citypopulation.de/php/bangladesh-admin.php?adm2id=9338
- "এক নজরে গোপালপুর"। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।