ভূঞাপুর উপজেলা
ভুয়াপুর উপজেলা, বা ভূঞাপুর উপজেলা[2] বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
ভূঞাপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() ভূঞাপুর | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৭′১৭″ উত্তর ৮৯°৫১′৫৩″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | টাঙ্গাইল জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৩৪.৪৬ কিমি২ (৫১.৯২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,৯০,৯১০ |
• জনঘনত্ব | ১৪০০/কিমি২ (৩৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৩% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ১৯০০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৯৩ ১৯ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান
এই উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪.৪৫৮৩° উত্তর ৮৯.৮৬৬৭° পূর্ব। ভূঞাপুর টাঙ্গাইল জেলার উত্তর পশ্চিমাংশে অবস্থিত। উত্তরে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলা, পূর্বে গোপালপুর উপজেলা, ঘাটাইল উপজেলা ও কালিহাতি উপজেলা, দক্ষিণে কালিহাতি উপজেলা এবং পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ জেলা। ভূঞাপুর উপজেলা প্রায় ২৪০২৩' থেকে ২৪০৩৫' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯০৪৩' থেকে ৮৯০৫৪' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। ভূঞাপুর উপজেলার আয়তন ১৩৪.৪৬ বর্গকিলোমিটার। [3]
প্রশাসনিক এলাকা
ভূঞাপুর পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন, যথা-
- ফলদা ইউনিয়ন,
- অর্জুনা ইউনিয়ন,
- গাবসারা ইউনিয়ন,
- গোবিন্দাসী ইউনিয়ন,
- অলোয়া ইউনিয়ন,
- নিকরাইল ইউনিয়ন[2]
সমম্বয়ে ভূঞাপুর উপজেলা প্রতিষ্ঠিত।
ইতিহাস
বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার অংশ হিসাবে এককালে এ জনপদের গুরুত্ব কম ছিল না। ১৮৬৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলায় অধিভূক্ত থেকে ভূঞাপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল অথবা ভূঞাপুর অঞ্চল সিরাজগঞ্জের সীমারেখা ভূক্ত ছিল। ১৮৬৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ উপজেলা ময়মনসিংহ জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৯৭৪ সালের ৭ আগস্ট গোপালপুর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভূঞাপুর স্বতন্ত্র থানার মর্যাদা লাভ করে। ১৯৮৩ সালের ২৪ মার্চ ভূঞাপুরকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ ভূঞাপুরে পৌরসভা স্থাপিত হয়। বর্তমানে ভূঞাপুর একটি পরিচ্ছন্ন জনবহুল ও কর্মচঞ্চল পৌরশহর। [4]
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভূঞাপুর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৯০,৯১০ জন।[5] আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ভূঞাপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭ অনুসারে মোট জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষ ৯৬,৫০৫ জন, মহিলা ৯৪,৪০৫ জন। মোট জনসংখ্যার ১,৮৪,৬০৭ জন মুসলিম, ৬,২২৬ জন হিন্দু, ৮ জন বৌদ্ধ এবং ৬৯ জন অন্যান্য ধরর্মের অনুসারী।[6]
শিক্ষা
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ :
- হাজী ইসমাইল খাঁ বেসরকারি কারিগরি কলেজ
- প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
- শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজ
- লোকমান ফকির মহিলা কলেজ
- শেহাব উদ্দিন কলেজ
- ফলদা রামসুন্দর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়
- ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- ভূঞাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- ইবরাহীম খাঁ - শিক্ষাবিদ। [7]
- খন্দকার আসাদুজ্জামান - রাজনীতিবিদ।
- লোকমান হোসেন ফকির - একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতজ্ঞ।[8]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ভূঞাপুর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "এক নজরে ভূঞাপুর"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। "ভৌগলিক পরিচিতি"। www.bangladesh.gov.bd। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ০৬, ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। "উপজেলার পটভূমি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ০৬, ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "এক নজরে ভূঞাপুর"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৮।
- "বাংলাপিডিয়া: ভুঞাপুর উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৮।
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। "উপ-মহাদেশের সর্ব প্রথম মুসলামান"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ০৬, ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। "শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজ বিষয়ক তথ্যাদি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৮, ২০১৮।