কোটালীপাড়া উপজেলা

কোটালীপাড়া উপজেলা বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

কোটালীপাড়া
উপজেলা
কোটালীপাড়া
বাংলাদেশে কোটালীপাড়া উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৮′৪৬″ উত্তর ৮৯°৫৯′৪৪″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাগোপালগঞ্জ জেলা
আয়তন
  মোট৩৬২ কিমি (১৪০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[1]
  মোট২,২৭,০২৫
  জনঘনত্ব৬৩০/কিমি (১৬০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৪৯.৮১%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৩৫ ৫১
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান ও আয়তন

ভৌগোলিকভাবে কোটালীপাড়া ২২.৯৮ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯.৯৯১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ও মাদারিপুর জেলার রাজৈর উপজেলা, দক্ষিণে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা ও বরিশালের উজিরপুর উপজেলা,পূর্বে বরিশালের আগৈলঝারা উপজেলা ও মাদারিপুরের কালকিনী উপজেলা এবং পশ্চিমে গোপালগঞ্জ সদরটুঙ্গিপাড়া উপজেলা

ইতিহাস

প্রাচীন এ জনপদ সমতটের রাজধানী ছিল বলে ঐতিহাসিকগণ মনে করেন। এ এলাকায় প্রাচীন নিদর্শনসমূহ পাওয়া গেছে।

প্রশাসনিক এলাকা

উপজেলা প্রশাসনের পটভূমি, কোটালীপাড়া

কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। প্রাচীন এ জনপদ সমতটের রাজধানী ছিল বলে ঐতিহাসিকগণ মনে করেন। ভৌগোলিকভাবে কোটালীপাড়া ২২.৯৮৩৩ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯.৯৯১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তরে গোপালগঞ্জ সদর ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা, দক্ষিণে বরিশালের নাজিরপুর ও উজিরপুর উপজেলা, পূর্বে বরিশালের আগৈলঝরা উপজেলা ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা এবং পশ্চিমে গোপালগঞ্জ সদর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা। মোট আয়তন: ৩৬২.০ বর্গকিলোমিটার/৮৯,৪৬৬.০০ একর। ইউনিযন: (১২টি) বান্ধাবাড়ী, সাদুল্লাপুর, রাধাগঞ্জ, কলাবাড়ী, রামশীল, আমতলী, কান্দি, ঘাঘর, হিরন, পিঞ্জুরী, সুয়াগ্রাম ও কুশলা। মোট জনসংখ্যা: ২,২৭,০২৫ জন (২০০১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)। পৌরসভা: একটি (কোটালীপাড়া), পৌরসভার মোট আয়তন ৫.১২ বর্গ কি.মি। পুরুষ মহিলা অনুপাত ৫০.৯৫:৪৯.০৫; ঘনত্ব ৯৪২ জন/বর্গ কিমি; ওয়ার্ড ৯টি; মৌজা: ১০০টি; গ্রাম: ১৯৭টি; হাটের সংখ্যা: ১৫টি; ভূমি অফিস: ৭টি।

জনসংখ্যার উপাত্ত

স্বাস্থ্য

শিক্ষা

৮৮.৮%

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা

  • সংগঠন - ১) কান্দি ইউনিয়ন যুব সংঘ -ঢাকা।

২) ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন অব কোটালীপড়া, ডুসাক। ৩)(Jaharerkandi Student Association; It is the community of better education.)

  • কলেজ - ৬
  • কারিগরী - ১
  • নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় -২
  • প্রাথমিক বিদ্যালয় - ১০৪
  • বিশ্ববিদ্যালয় - ০
  • ভোকেশনাল - ২
  • মাদ্রাসা - ৫
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৪০
  • মেডিকেল কলেজ - ০
  • অন্যান্য - ৭৩

বেসরকারী পাঠাগার-০১ (জ্ঞানের আলো পাঠাগার, তারাশী, কোটালীপাড়া)

কৃষি

এটি মূলত কৃষি প্রধান অঞ্চল। এখানে ধান, গম, পাট, আখ ও নানা ধরনের সবজি জন্মে। মৎস্য আহরণও এখানকার অন্যতম পেশা।

অর্থনীতি

কোটালিপাড়া একটি ডোবা এলাকা। এখানে এক বার ফসল ফলে। এখানের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। এ ছাড়া ব্যবসা , চাকরি, বিদেশে শ্রমিক।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

একসময় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল নৌকা ও লঞ্চ। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে স্থলপথেই বেশিরভাগ মানুষ যাতায়াত করে। এলাকার মানুষ সাধারণত বাস ও ভ্যান গাড়িতে যাতায়াত করে।

এখানে রয়েছে গোপালগঞ্জ কোটালিপাড়া গৌরনদি বিশ্ব রোড়। যা ২০১২ সালে চালু হয়।

  • সড়ক পথঃ- ঢাকা থেকে প্রায় ২০০ কি:মি:। গাবতলী,গুলিস্থান ও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে কোটালীপাড়ার উদ্দেশে বাস ছেড়ে আসে।
  • রেলপথঃ- নাই ।
  • নৌপথঃ- ঢাকা সদর ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পয়সার হাট।

নদ-নদী

কোটালীপাড়া উপজেলায় তিনটি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে ঘাঘর নদী, বিশারকন্দা-বাগদা নদী এবং শালদহ নদী[2][3]

কৃতী ব্যক্তিত্ব

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা

কোটালীপাড়ার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বহুলতলী মসজিদ, যেটি প্রায় পাঁচ’শ বছর আগে ১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ মসজিদে এখনও আযান হয়। এটি কোটালীপাড়া সদর থেকে প্রায় ৫ কি. মি. দক্ষিণে বহুলতলী গ্রামে অবস্থিত। এছাড়া রয়েছে আঠারো বছরের কবি হিসেবে পরিচিত সুকান্ত ভট্রাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী। এটি উপজেলা সদর থেকে  ২ কি. মি. পূর্বদিকে উনশিয়া গ্রামে অবস্থিত। আরেকটি দর্শনীয় স্থান হরিনাহাটি জমিদার বাড়ি। এটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কি.মি. পূর্বদিকে হরিণহাটি গ্রামে অবস্থিত। এটি সুচানন্দ জমিদার নির্মাণ করেন। কত বছর আগে জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়- এর কোন সঠিক তথ্য জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ২৫০ বছর আগে জমিদার সুচানন্দ প্রায় ৫০ একর জমির উপর এ বাড়িটি নির্মাণ করেন।

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কোটালীপাড়া"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
  3. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৬। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।

অধিক পঠন

  • সুলতানা, জেসমিন (১৯৯৮)। কোটালীপাড়াঃ ঐতিহাসিক গুরুত্ব। বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি পত্রিকা। ২৫-২৬ সংখ্যা। ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
  • হক, মোঃ আজমল (১৯৮৭)। প্রাচীন কোটালীপাড়া। পরিসংখ্যান বিভাগ পত্রিকা (নীলপদ্ম)। গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া।
  • আহমেদ, সিরাজউদ্দিন (১৯৯২)। বরিশালের ইতিহাস। বরিশাল।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.