সাদা পাকুড়
সাদা পাকুড় একটি অতি বৃহৎ পত্র ঝরা বৃক্ষ। আকার-আকৃতিতে বট গাছের মতোই বিশাল ও বিস্তৃত। সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। বৃক্ষটির বৈজ্ঞানিক নাম ficus virens var sublanceolata এবং ইংরেজি নাম white fig. বাংলাদেশ ও এর তৎসংলগ্ন অঞ্চলে এই বৃক্ষ বিরল। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এ গাছে পাতা ঝরে গিয়ে নতুন পাতা গজায়। পাতা মসৃণ ও ডিম্বাকৃতি ফলার মতো। গাছটিতে ছোট ছোট গোলাকার সাদা রঙের ফল ধরে। এই ফল পাখির প্রিয় খাবার। সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে গাছটিতে ফল ধরে।
Ficus virens | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
(শ্রেণীবিহীন): | Angiosperms |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Rosids |
বর্গ: | Rosales |
পরিবার: | Moraceae |
গণ: | Ficus |
প্রজাতি: | F. virens |
দ্বিপদী নাম | |
Ficus virens Aiton | |
প্রতিশব্দ | |
Ficus infectoria (Miq.) Miq. |
চিত্রশালা
- White fig । সাদা পাকুড়
নামকরণের ইতিহাস
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় বোয়ালী ইউনিয়নের বাঁশতলী গ্রামে সাম্প্রতিককালে আবিষ্কৃত হয় আনুমানিক ৩০০ বছর বয়সী একটি অচেনা বৃক্ষ। বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন এর আমন্ত্রণে বিপন্ন উদ্ভিদ ও প্রানীসংরক্ষণ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ (ইপ্যাক ফাউন্ডেশন) এর উদ্যোগে ২২ মে, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে বৃক্ষটির নিচে একটি সভার আয়োজন করা হয়। বৃক্ষটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দীর্ঘদিন পর্যালোচনার পর ইপ্যাক ফাউন্ডেশন এর নাম দেয় ‘সাদা পাকুড়’। সভায় অচিন বৃক্ষটির ‘সাদা পাকুড়’ নামকরণ ঘোষণা করেন ইপ্যাক ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী জেনারেল আখতারুজ্জামান চৌধুরী। কালিয়াকৈরের বাঁশতলী গ্রাম ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোথাও এখন পর্যন্ত এই গাছ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।[1][2]