দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হল এশিয়া মহাদেশের একটি উপঅঞ্চল। গণচীনের দক্ষিণে, ভারতের পূর্বে এবং অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে অবস্থিত দেশগুলি নিয়ে অঞ্চলটি গঠিত। অঞ্চলটি অনেকগুলি ভূগাঠনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলে এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
আয়তন৪৫,০০,০০০ কিমি (১৭,০০,০০০ মা)
জনসংখ্যা৬১০,০০০,০০০
ঘনত্ব১৩৫.৬ /কিমি (৩৫১ /বর্গমাইল)
দেশসমূহ
অঞ্চলসমূহ
জিডিপি (২০১১)$2.158 trillion (exchange rate)
GDP per capita (2011)$3,538 (exchange rate)
সময় অঞ্চলইউটিসি+০৫:৩০ ~ ইউটিসি+০৯:০০
রাজধানী শহর

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া দুইটি ভৌগোলিক অঞ্চলের সমষ্টি: এশীয় মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত অংশ, এবং এর পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে সমুদ্রে অবস্থিত বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জবৃত্তচাপাকৃতি দ্বীপপুঞ্জ। মূল ভূখণ্ড অংশটি ইন্দোচীন উপদ্বীপ নামে পরিচিত এবং এখানে কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ডভিয়েতনাম অবস্থিত; এখানে মূলত তাইঅস্ট্রো-এশীয় জাতির লোকেরা বাস করে। সামুদ্রিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ব্রুনাই, পূর্ব তিমুর,[1] ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ এবং সিঙ্গাপুর নিয়ে গঠিত; এখানে মূলত অস্ট্রোনেশীয় জাতির লোকেরা বাস করে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মুলত তিন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। তথাঃ (১) বৌদ্ধ ধর্মঃ বার্মা, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম (২) ইসলাম ধর্মঃ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই (৩) খ্রিষ্টান ধর্মঃ ফিলিপাইন এবং পূর্ব তিমুর

তবে কিছু অঞ্চলে হিন্দু ধর্মের মানুষ ও বসবাস করে।যেমনঃ ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বিপে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু

আদি সংস্কৃতি

জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্য সত্ত্বেও এ অঞ্চলের আদি বাসিন্দাদের সাংস্কৃতিক জীবনে অনেক মিল ছিল। আদিতে সংস্কৃতি ছিল মেসোলিথিক। খ্রিস্টপূর্ব দুই বা তিন হাজার বছর আগে ইন্দোনেশীয় নরগোষ্ঠীর মানুষ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আসার পর তাদের মধ্যে নব্য প্রস্তর যুগের চতুষ্কোণ বাটালির প্রচলন দেখা গেছে। তাছাড়া নব্য প্রস্তর যুগের মৃৎপাত্র বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পাওয়া গেছে। ব্রোঞ্জ-লৌহ যুগের ডোংসন সংস্কৃতির নিদর্শন ব্রোঞ্জের ড্রাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সর্বত্র দেখা গেছে।

ইতিহাস

নামকরণঃ

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া (Southeast Asia) কথাটি সর্বপ্রথম পাওয়া যায় ১৮৩৯ সালে আমেরিকার একজন ধর্মযাজক হাওয়ার্ড ম্যালকমের(Howard Malcom) এর একটি ভ্রমন বৃত্তান্তে।যিনি আমেরিকার ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি সোসাইটির উদ্যোগে নানা অজানা তথ্য আহরনের জন্য এই অঞ্চলে এসেছিলেন। তার বিবরনীটির শিরোনাম ছিলো ট্রাভেলস ইন সাউথ ইস্টার্ন এশিয়া এম্ব্রেসিং হিন্দু স্থান,মালয়,শ্যাম এন্ড চায়না এন্ড দ্যা বার্মা এম্পায়ার (Travels in south eastern Asia embracing Hindustan,Malay,Shyam and China and the Burma Empire)

মূলত এ বিবরনেই প্রথম সাউথ ইষ্ট এশিয়া অর্থ্যাৎ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কথাটির সচেতন উল্লেখ পাওয়া যায়।[2]

প্রাক ইউরোপীয় যুগ

ইউরোপীয় যুগ

আধুনিক যুগ

তথ্যসূত্র

  1. United Nations
  2. দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস, জহর সেন ২য় সংস্করণ ১৯৯৬/বি পৃষ্ঠা-১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.