বরগুনা জেলা

বরগুনা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর-এর আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা।

বরগুনা
জেলা
বাংলাদেশে বরগুনা জেলার অবস্থান
বরগুনা
বরগুনা
বাংলাদেশে বরগুনা জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৯′৩″ উত্তর ৯০°৭′৩৫″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
আয়তন
  মোট১৯৩৯.৩৯ কিমি (৭৪৮.৮০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট৮,৯২,৭৮১
  জনঘনত্ব৪৬০/কিমি (১২০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৫৭.৬%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ০৪
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ভৌগোলিক সীমানা

বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালীবঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুরপটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুরবাগেরহাট

জেলা সদরে বরগুনা শহর। একটি পৌরসভা। ৯ ওয়ার্ড ও ১৮ মহল্লা।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

বরগুনা জেলার উপজেলাগুলি হল -

ইতিহাস

১৯৬৯ সালে বরগুনা পটুয়াখালী জেলার অধীনে একটি মহকুমা হয় । ১৯৮৪ সালে দেশের প্রায় সকল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হলে বরগুনা জেলায় পরিণত হয়।

বরগুনা নামের ইতিহাসের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও জানা যায় যে, উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এতদ্ঞ্চলে কাঠ নিতে এসে খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকুল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য এখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম বড় গোনা। কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন(দড়ি) টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা । কেউ কেউ বলেন , বরগুনা নামক কোন প্রতাপশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে বরগুনা । আবার কারো মতে বরগুনা নামক কোন এক বাওয়ালীর নামানুসারে এ স্থানের নামকরণ করা হয় বরগুনা ।

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বরগুনা জেলার মোট জনসংখ্যা ৮,৯২,৭৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪,৩৭,৪১৩ জন এবং মহিলা ৪,৫৫,৩৬৮ জন। মোট পরিবার ২,১৫,৮৪২টি।[2]

শিক্ষা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বরগুনা জেলার সাক্ষরতার হার ৫৭.৬%।[2]

অর্থনীতি

বরগুনা এর অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। প্রধান শস্য ধান, চিনাবাদাম,সরিষা,সূর্যমুখী ও বিভিন্ন ধরনের ডাল। একসময় পাট চাষ হত, কিন্তু তা অর্থকারী ফসল হিসেবে জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলে। উপকূলবর্তী জেলা হওয়ায়, বরগুনার অনেকেই জেলের কাজ করে।

চিত্তাকর্ষক স্থান

  • বেতাগীতে বিবিচিনি মসজিদ (মোঘল আমলে স্হাপিত। ধারনা করা হয় চিনি বিবির নামে এলাকার নামকরন করা হয় বিবি চিনি। স্হানীয় পার্যায়ে আলোচনা আছে ঢাকার লালবাগের কেল্লায় শায়িত পরী বিবির বোন তিনি।)
  • তালতলীর বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ একাডেমী।
  • পাথরঘাটার হড়িণঘাটার লালদিয়া সমুদ্রসৈকত
  • সোনাকাটা সমুদ্র সৈকতসোনাকাটা ইকোপার্ক
  • ফাতরার বন
  • বিহঙ্গ দ্বীপ বা ধানসিড় চর
  • শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত, নলবুনিয়া, তালতলী।

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

ভাস্কর্য

মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাগরিত ভাস্কর্য "অগ্নিঝরা একাত্তর "বরগুনা জেলার পৌর শহরের টাউন হল চত্বরে অবস্থিত।যার ফলশ্রুতিতে টাউন হলের নতুন নামকরণ করা হয়েছে স্বাধীনতা স্কয়ার।ভাস্কর্যটি নির্মান করেছেন প্রখ্যাত ভাস্কর মৃণাল হক।

লোকসংস্কৃতি

এ অঞ্চলের প্রসিদ্ধ গান - "হয়লা" যা বিয়ের সময় গাওয়া হয়। তাছাড়াও - কীর্তন , জারিগান, সারিগান, কবিগান, লোকগাঁথা, লোকনাট্য উল্লেখযোগ্য।

বিখ্যাত খাবার

বরগুনার বিখ্যাত খাবার -চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নাড়িকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, মাছ, মিষ্টি।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪
  2. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.