বাউফল উপজেলা
বাউফল বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
বাউফল | |
---|---|
উপজেলা | |
বাউফল বাউফল | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২৭′০.০০০″ উত্তর ৯০°৩১′৪৮.০০০″ পূর্ব | |
দেশ | |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | পটুয়াখালী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৪৮৭ কিমি২ (১৮৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[1] | |
• মোট | ৩,০৪,৯৫১ |
• জনঘনত্ব | ৬৩০/কিমি২ (১৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | 84% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮৬২০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ৭৮ ৩৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
ভৌগলিক অবস্থান
এটি জেলা সদর থেকে মাত্র ৩০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। এর উত্তরে বাকেরগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে বাকেরগঞ্জ উপজেলা, পটুয়াখালী সদর উপজেলা ও দুমকি উপজেলা, দক্ষিণে গলাচিপা উপজেলা ও দশমিনা উপজেলা এবং পূর্বে তেঁতুলিয়া নদী। বাউফল উপজেলার আয়তন ৪৮৭ বর্গ কিঃমিঃ এবং ০১ ( একটি) টি পুলিশ স্টেশন নিয়ে গঠিত।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
- নৌপথ
ঢাকা থেকে যদি কেউ লঞ্চে আসতে চায় তবে তাকে সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী অথবা কালাইয়ার লঞ্চে উঠতে হবে।
- সড়কপথ
রাজধানী ঢাকা থেকে সায়েদাবাদ বাসষ্ট্যান্ড থেকে সড়ক পথে আসা যায়।
ইতিহাস
১৭৯০খ্রিঃ লর্ড কর্নওয়ালিশ ভারত শাসন সংস্কার আইনে বাকেরগঞ্জ জেলাকে ১০টি থানায় বিভক্ত করেন। এর মধ্যে বাউফল থানা অন্যতম। তাছাড়া ১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ কোলকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয়। এ মহকুমার অধীনে ৪টি থানার মধ্যে বাউফল অন্তর্ভুক্ত ছিল। পূর্বে এ এলাকায় ছিল অনেক ধরনের বৃক্ষাদি, এই বৃক্ষাদির মধ্যে এক ধরনের গাছ জনসাধারণের কাছে বাউ গাছ নামে অত্যন্ত সুপরিচিত ছিল এবং ঐ গাছের নাম অনুসারে অত্র এলাকার নাম হয় বাউফল। ১৮৭৪ সালের আগস্ট মাসে যখন এখানে পুলিশ স্টেশন করা হয় তখন উক্ত নাম ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। আগা বাকের খাঁর শাসন আমলে দক্ষিণ বাংলার ইতিহাস অনুযায়ী অত্র এলাকার নাম বাউফল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
- থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠার তারিখ: আগস্ট, ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দ।
- উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার তারিখ: ২ জুলাই, ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দ।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
বাউফল উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বাউফল থানার আওতাধীন।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাউফল উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,০৪,২৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৪৪,৫৪৫ জন এবং মহিলা ১,৫৯,৭৩৯ জন। মোট পরিবার ৬৭,৮৩৩টি।[2]
শিক্ষা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাউফল উপজেলার সাক্ষরতার হার ৫৭.১%।[2]
এ উপজেলায় মহাবিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৫টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ০৪টি, মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২২৫টি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- কাছিপাড়া আব্দুর রশিদ মিয়া ডিগ্রি কলেজ
- কারখানা রাহিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কারখানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- ইয়াকুব শরিফ ডিগ্রী কলেজ
- আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- কুম্ভখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়
অর্থনীতি
কৃষি
আবাদী জমির পরিমাণ ৮৪,১১৫ একর, এক ফসলী জমির পরিমাণ ২৬,২৪৫ একর, দোফসলী জমির পরিমান ৪৭,৭৬০ একর।
কৃতি ব্যক্তিত্ব
- সৈয়দ আশরাফ হোসেন(ধূলিয়া মিড়া বাড়ী)
(ভাষা সৈনিক,সাবেক সাংসদ ৬৫-৭০, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক)
- মনোরঞ্জন শিকদার, সাবেক আইনমন্ত্রী (যুক্তফ্রন্ট সরকার)
- আব্দুর রাজ্জাক শিকদার, (কেশব পুর শিকদার বাড়ি)
- আঃ রশিদ হাওলাদার (রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব)
- শেরে বাংলা একে ফজলুল হক
- ডঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদ (সাবেক ছাত্রনেতা ও সমাজ সেবক)
- মরহুম আজিজ খন্দকার- সাবেক এমপি ও মন্ত্রী,
- আ. স. ম. ফিরোজ, এমপি, চীপ হুইপ, জাতীয় সংসদ
- মোতালেব হোসেন হাওলাদার ( রাজনীতিবিদ ও উপজেলা চেয়ারম্যা)
- ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন,সাবেক এম,পি
- শহীদুল আলম তালুকদার, সাবেক এম,পি
- কে এম নুরুর হুদা, সিইসি
- এমদাদ আলী এম, এল, এ (১৯৫৪)
- স্মরণ ইমাম ( কবি, সাংবাদিক)
- আব্দুল মালেক ( সচিব)
- জাহিদ খান (দ্বিপাশা বেলায়েত খান বাড়ি)
- শাকিব রেহান,এসপি
দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা
- শৌলা পার্ক;
- কেশব পুর শিকদার বাড়ি
- ঘসেটি বিবির মসজিদ,
- চন্দ্রদ্বীপের রাজ কন্যা কমলারানীর দিঘি,
- তমিরুদ্দিন আউলিয়ার মাজার - কালাইয়া,
- মদনপুরার মৃৎশিল্প,
- কালিশুরী ইসাখার মসজিদ,
- বিলবিলাসে শের-ই-বাংলার দাদার পৈতৃক বাড়ি,
- মহেন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি,
- কানাই-বলাইর দীঘি - কাছিপাড়া।
- দ্বিপাশা বেলায়েত খান বাড়ী
তথ্যসুত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বাউফল উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫।
- "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)। web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৯।