বানারীপাড়া উপজেলা
বানারীপাড়া বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা যা ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ১০টি উপজেলার একটি। বানারীপাড়ার উত্তরে উজিরপুর, দক্ষিণে নেছাড়াবাদ, পিরোজপুর এবং ঝালকাটি সদর, পূর্বে উজিরপুর, পশ্চিমে নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা ও উজিরপুর। বানারীপাড়ার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা নদী প্রবাহিত হয়েছে।
বানারীপাড়া | |
---|---|
উপজেলা | |
বানারীপাড়া বানারীপাড়া | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৬′৪৭″ উত্তর ৯০°৯′৫১″ পূর্ব | |
দেশ | |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | বরিশাল জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৩৪.৮৬ কিমি২ (৫২.০৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,৪৮,১৮৮ |
• জনঘনত্ব | ১১০০/কিমি২ (২৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৭.২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ০৬ ১০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
ব্রিটিশ শাসনামলে প্রশাসন বানারীপাড়া থানা গঠিত হয় ১৯১৩ সালে এবং স্বাধীনতার পর ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।[2] বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে বরিশাল-২ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। এটি বরিশাল জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১২০নং আসন।[3]
অবস্থান
বানারীপাড়ার অবস্থান ২২.৭৮১৯° উত্তর ৯০.১৬৬৭° পূর্ব। উত্তরে উজিরপুর উপজেলা, পূর্বে উজিরপুর উপজেলা, দক্ষিণে নেছারাবাদ উপজেলা, পিরোজপুর সদর উপজেলা এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলা, পশ্চিমে নাজিরপুর উপজেলা, পিরোজপুর সদর উপজেলা এবং উজিরপুর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
বানারীপাড়ায় মোট ১১টি ওয়ার্ড, ৮৭টি মহল্লা এবং ৭৭টি গ্রাম রয়েছে। ১৯১৩ সালে বানারীপাড়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলায় পরিণত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই উপজেলার গাভায় ব্যাপক গণহত্যা পরিচালিত হয়। বানারীপাড়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বানারীপাড়া থানার আওতাধীন।
ইতিহাস
বানারীপাড়া উপজেলা আয়তনের দিক দিয়ে বরিশালের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। আয়তন ১৩৪.৩০ বর্গ কিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা ১,৪৮,১৮৮ জন। এখানে থানা সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৩ সালে। এই উপজেলার নামকরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মত রয়েছে। কারো মতে ‘বাড়িয়া’ যার অর্থ ব্যবসায়ী, এ থেকে থানার নামকরণ হয়। কেননা এককালে এই অঞ্চলে ব্যবসায়ীদের খুব প্রতিপত্তি ছিল। স্থানীয় অধিবাসীদের মতে, এককালে এখানে প্রচুর বানর বাস করত, যা থেকে এই অঞ্চলের নাম বানারীপাড়া হয় বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও বলা হয়, এই অঞ্চলের মানুষ ছিল খুবই অতিথিপরায়ণ। এখানকার নারীগণও ছিল সুন্দরী। এক ব্রিটিশ কর্মকর্তা কোন এক বাড়ির আদর-আপ্যায়ন এবং রান্নায় খুবই খুশি হন। তিনি ঐ বাড়ির গৃহকর্ত্রীকে ‘বাহ্ নারী’ বলে প্রশংসা করেন। আর সেই বাহ্ নারী থেকেই বানারীপাড়া।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বানারীপাড়া উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৪৮,১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩,০৭৩ জন এবং মহিলা ৭৫,১১৫ জন। মোট পরিবার ৩৪,১৮৬টি।[4]
শিক্ষা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বানারীপাড়া উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬৭.২%।[4]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রতিষ্ঠানের ধরন | সংখ্যা |
---|---|
সরকারি কলেজ | ০১ |
বেসরকারি কলেজ | ০২ |
উচ্চ বিদ্যালয় | ২৮ |
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় | ৮০ |
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় | ৪১ |
মাদ্রাসা | ৫৯ |
প্রতিবন্ধী স্কুল | ০১ |
অর্থনৈতিক স্কুল | ০১ |
ধর্মীয় অনুপাত
মোট জনসংখ্যার ১, ৪৩, ৮২৫ জনের মধ্যে ধর্মীয় অনুপাত রয়েছেঃ
ধর্ম | অনুপাত |
---|---|
মুসলিম | ৮২.৫৫% |
হিন্দু | ১৬.৭৫% |
অন্যান্য | ০.৭% |
শিল্পকারখানা
শিল্প | সংখ্যা |
---|---|
চালকল | ১৬৮ |
ময়দাকল | ৬ |
বরফ কারখানা | ৫ |
করাতকল | ৮ |
ডালকল | ৬ |
রাস্তার অবস্থা
রাস্তার অবস্থা | দৈর্ঘ্য(কি.মি.)-এ |
---|---|
পাকা | ২৩ |
আধপাকা | ৩৯ |
কাচা রাস্তা | ৪২৭ |
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
- বিপ্লবী কুমুদ বিহারী গুহ ঠাকুরতা
- ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী
- স্বর্গীয় বসন্ত কুমার গুহঠাকুরতা
- জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
- গোলাম সরোয়ার (সাংবাদিক)
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বানারীপাড়া"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫।
- "এক নজরে বানারীপাড়া"।
- "জাতীয় সংসদীয় আসনবিন্যাস (২০১৮) গেজেট" (PDF)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ৩০ এপ্রিল ২০১৮। ৭ মে ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৮।
- "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)। web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯।
আরও দেখুন
- বাংলাদেশের উপজেলা
- বাংলাদেশের জেলা
- বাংলাদেশের বিভাগ
- গাভা গ্রাম