বাবুগঞ্জ উপজেলা
বাবুগঞ্জ বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
বাবুগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
বাবুগঞ্জ বাবুগঞ্জ | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৯′৩৮″ উত্তর ৯০°১৯′২৬″ পূর্ব | |
দেশ | |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | বরিশাল জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮৩ |
আসন | ১২১ বরিশাল-৩ |
আয়তন | |
• মোট | ১৬৪.৮৮ কিমি২ (৬৩.৬৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[1] | |
• মোট | ১,৪০,৩৬১ |
• জনঘনত্ব | ৮৫০/কিমি২ (২২০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৮.৮% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ০৬ ০৩ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান
উত্তরে গৌরনদী উপজেলা, দক্ষিণে বরিশাল সদর উপজেলা ও ঝালকাঠি সদর উপজেলা, পূর্বে মুলাদি উপজেলা ও বরিশাল সদর উপজেলা, পশ্চিমে উজিরপুর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
বাবুগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। ৩টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বিমানবন্দর থানার আওতাধীন এবং বাকি ৩টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম বাবুগঞ্জ থানার আওতাধীন।
বিমানবন্দর থানার আওতাধীন ইউনিয়নসমূহ:
এবং বাবুগঞ্জ থানার আওতাধীন ইউনিয়নসমূহ:
ইতিহাস
এখানে থানা সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯০৬ সালে। বাবুগঞ্জ নামকরণ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য ইতিহাস পাওয়া না গেলেও ইতিহাস বর্ণনায় জানা যায়, আজ থেকে ৪০০ বছর আগে এই অঞ্চলে বসবাসরত বেশ ক’জন হিন্দু জমিদার তাদের প্রয়োজনে বাবুগঞ্জ উপজেলা সদরের বর্তমান বাজারটি মেলায়। ঐ সময়ে অত্র অঞ্চলের লোকজন জমিদারদের বাবু বলে সম্বোধন করত। আর বাজারটিকে তারা অভিহিত করত গঞ্জ বলে। ফলে জমিদার বাবুদের মেলানো গঞ্জ থেকে এই এলাকার নাম হয় বাবুগঞ্জ। অন্য এক তথ্যানুসারে বলা হয় যে, যশোর পরগনার জমিদার ‘বাবু বিরাজ রায় চৌধুরী’ এই অঞ্চল প্রাপ্ত হয়ে এখানে একটি বাণিজ্য কেন্দ্র (গঞ্জ) প্রতিষ্ঠা করেন। বাবু বিরাজ রায় চৌধুরীর নামানুসারে এলাকার নাম হয় বাবুগঞ্জ।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাবুগঞ্জ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৪০,৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৭,৫৮৬ জন এবং মহিলা ৭২,৭৭৫ জন। মোট পরিবার ৩১,৬৬৩টি।[2]
শিক্ষা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাবুগঞ্জ উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬৮.৮%।[2]
অর্থনীতি
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫০.৫৮%,অকৃষি শ্রমিক ৩.৫৮%,শিল ১.১১%,ব্যবসা ১৩.৫৪%,পরিবহন ও যোগাযোগ ২.৮১%,চাকুরি ১৫.৯২%,নির্মান ১.৭৮%,ধমীয় সেবা ০.২৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৪.০১% ত্রবং অন্যান্য ৬.৩৮%। কৃষিভূমির মালিকানা ভুমিমালিক ৭৭.৯৯%,ভুমিহিন ২২.১%। শহরে ৬৪.৯৪% ত্রবং গ্রামে ৭৮.৮৮% পরিবারের কৃষি রয়েছে।
শিল্প ও কলখানা অয়ের মিল ২, ফ্লাওয়ারশিল ২০, রাইমিল ৬২, আইস ফ্যাষ্টরি ১৮, ওয়েল্ডিং কারখানা ১৫। কুটিরশিল্প, লৌহশিল্প ১৭৫, দারুশিল্প ৪০০, বাঁাশের ২১০।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, নারিকেল, সুপারি, শাকসবজি।
উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা
- মাধবপাশা জমিদার বাড়ি
- দুর্গাসাগর দিঘী
- রামমোহনের সমাধি মন্দির (মাধবপাশা)
- বরিশাল বিমানবন্দর
- ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
- কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পাঠাগার
- আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্র (নারিকেল বাগান), রহমতপুর
- বরিশাল ক্যাডেট কলেজ
- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভেটেরেনারি অনুষদ, বাবুগঞ্জ
- বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু)
- কাত্যায়নী মন্দির
- চাঁদপাশা মসজিদ
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
- আব্দুল জাব্বার খান
- রাশেদ খান মেনন
- মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা)
- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
- সাদেক খান
- এ, জেড, এম, এনায়েতউল্লা খান
- সেলিমা রাহমান
- গোলাম কিবরিয়া টিপু
বিবিধ
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বাবুগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৭ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫।
- "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)। web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৯।