ঝালকাঠি জেলা
ঝালকাঠি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ঝালকাঠি | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে ঝালকাঠি জেলার অবস্থান | |
![]() ![]() ঝালকাঠি ![]() ![]() ঝালকাঠি | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৮′৩৫″ উত্তর ৯০°১২′০″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
আয়তন | |
• মোট | ৭৩৫.০৯ কিমি২ (২৮৩.৮২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2001)[1] | |
• মোট | ৬,৮২,৬৬৯ |
• জনঘনত্ব | ৯৩০/কিমি২ (২৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫.৭৪% [2] |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ৪২ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাস
ঝালকাঠি পূর্বে বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১ এপ্রিল ১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। [3] ব্রিটিশ শাসনামলে সেনাবাহিনী কর্তৃক কুলকাঠিতে ১৭ জন মুসলমান নিহত হন। স্থানীয় দাঙ্গা নিরসন ও শৃঙ্খলা প্রদানের জন্য ১৮৮২ সালে ঝালকাঠিতে একটি পুলিশ থানা স্থাপন করা হয়। নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বাণিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলার রেজাউল করিম ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মানিক বাহিনী গড়ে তোলেন। কিছু স্থানীয় রাজাকার এর সহায়তায় ১৬ই জুন ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনী তাদের হত্যা করে। ২৭শে এপ্রিল হানাদার বাহিনী ঝালকাঠি শহরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই, ঝালকাঠি থানাকে বরিশাল জেলার মহকুমায় উন্নীত করা হয়। [3] ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ঝালকাঠি থানাকে বরিশাল জেলা থেকে পৃথক করে পূর্ণাঙ্গ জেলায় পরিণত করা হয়। [3]
ভৌগোলিক সীমানা
এ জেলার মোট আয়তন ৭৫৮.০৬ বর্গ কিমি। ঝালকাঠির উত্তর-পূর্বে বরিশাল, দক্ষিণে বরগুনা ও বিষখালী নদী, এবং পশ্চিমে লোহাগড়া ও পিরোজপুর জেলা।
প্রধান নদী
- কীর্তনখোলা নদী
- খায়রাবাদ নদী
- বিষখালী নদী
- সুগন্ধা নদী
- ধানসিঁড়ি নদী,
- গাবখান নদী
- জাংগালিয়া নদী ও
- বাসন্ডা নদী।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভা ৯ টি ওয়ার্ড ও ৪৭ টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। এ জেলায় দুইটি পৌরসভা, ৪ টি উপজেলা, ৩২ টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৪০০ টি মৌযা, ৪৪৯ টি গ্রাম আছে।
ঝালকাঠি জেলা ৪টি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হলো:
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ঝালকাঠি জেলার মোট জনসংখ্যা ৬,৮২,৬৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩,২৯,১৪৭ জন এবং মহিলা ৩,৫৩,৫২২ জন। মোট পরিবার ১,৫৮,১৩৯টি।[4]
শিক্ষা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ঝালকাঠি জেলার সাক্ষরতার হার ৬৬.৭%।[4]
অর্থনীতি
প্রধান ফল: আম, কলা, জলপাই, কাঠাল তাল, লিচু, নারিকেল, আমড়া, পেয়ারা।
শিল্প-কারখানা: বরফকল, ময়দার কল, লবন কারখানা, ধান কল, তেলের কল, বিড়ি কারখানা।
কুটির শিল্প:
চিত্তাকর্ষক স্থান
সুজাবাদ কেল্লা, ঘোষাল রাজবাড়ী, পুরাতন পৌরসভা ভবন, মাদাবর মসজিদ, সুরিচোরা জামে মসজিদ। নেছারাবাদ মাদ্রাসা, গাবখান সেতু, কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি, শের-ই বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ, বিনয়কাঠি
স্বাস্থ্য কেন্দ্র
হাসপাতাল ২ টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৪ টি, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ২২ টি।
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (জুন, ২০১৪)। "Population Census 2011 (Barisal & Chittagong)" (PDF)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - কবীর, বিলু। বাংলাদেশের জেলা নামকরনের ইতিহাস। আইএসবিএন 9844614397
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)। - "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)। web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিভ্রমণে ঝালকাঠি জেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |
- বাংলাপিডিয়ায় ঝালকাঠি জেলা
- ঝালকাঠি জেলার সরকারি ওয়েবসাইট জেলা তথ্য বাতায়ন।
- বরিশাল বিভাগ
- বাংলাদেশের জেলাসমূহ