কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি
কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার একটি ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।
কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি | |
---|---|
![]() | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | ঝালকাঠি সদর উপজেলা |
শহর | ঝালকাঠি সদর উপজেলা, ঝালকাঠি জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
খোলা হয়েছে | ১৯০০ |
স্বত্বাধিকারী | রাজা রাম সেনগুপ্ত |
কারিগরী বিবরণ | |
পদার্থ | ইট, সুরকি ও রড |
অবস্থান
কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়িটি বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায় কীর্ত্তিপাশা গ্রামে অবস্থিত। বাড়িটি ঝালকাঠি সদর থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে প্রায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। [1]
ইতিহাস
কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয় প্রায় একশতক বছর আগে। বিক্রমপুর জমিদারের বংশধরের কিছু অংশ প্রায় ১৯ শতকের শেষ সময়ে ঝালকাঠি জেলার কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯ শতকের প্রথম দিকে বিক্রমপুর জমিদার বংশের রাজা রাম সেনগুপ্ত এই কীর্ত্তিপাশা গ্রামে আসেন। এখানে তিনি তার দুই ছেলের জন্য দুইটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বড় ছেলের জন্য পূর্ব বাড়ি যা ছিল ১০ আনা বড় হিস্যা জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত। আর ছোট ছেলের জন্য পূর্ব বাড়ি যা ৬ আনা ছোট হিস্যা জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত ছিল। ছোট ছেলের জমিদার বাড়ি অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। আর বড় ছেলের জমিদার বাড়ির কিছু অংশ টিকে আছে। এই জমিদার বাড়ির জমিদারপুত্রকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়। এবং তার স্ত্রীও তার সাথে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাদেরকে একসাথে সমাধিস্থ করা হয়। এখানে এখনো একটি নাট মন্দির, হল ঘর, ছোট ও বড় মন্দির আছে। এই জমিদার বংশের দুজন বিখ্যাত ব্যক্তি হচ্ছেন রোহিনী রায় চৌধুরী ও তপন রায় চৌধুরী। [1][2]
বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে জমিদার বাড়ির একটি অংশে রয়েছে প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। নাটমঞ্চ ও হলরুমে কমলিকন্দ নবীন চন্দ্র বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আর মূল জমিদার বাড়ি ও দুর্গামন্দির লতা-পাতা, জঙ্গলে জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে। [3]