ঝালকাঠি
ঝালকাঠি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর ও নদী বন্দর। শহরটি দক্ষিণবঙ্গের বরিশাল বিভাগে অবস্থিত ঝালকাঠি জেলার জেলা শহর। শহরটি ঝালকাঠি জেলার সবচেয়ে বড় শহর এবং বাণিজ্য কেন্দ্র। প্রশাসনিকভাবে শহরটি ঝালকাঠি জেলা এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার সদর দফতর। সুগন্ধা নদীর উত্তর তীরে এবং গাবখান খাল ও ধানসিঁড়ি নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত এ শহরটি প্রাচীনকাল হতেই ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত।
ঝালকাঠি পূর্বনাম:মহারাজগঞ্জ | |
---|---|
শহর ও জেলা সদর | |
![]() ঝালকাঠি শহর | |
![]() ![]() ঝালকাঠি | |
স্থানাঙ্ক: ২২.৬৪০৮৯৩° উত্তর ৯০.১৯৮৮০৩° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | ঝালকাঠি জেলা |
উপজেলা | ঝালকাঠি সদর উপজেলা |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | ঝালকাঠি পৌরসভা |
• পৌরমেয়র | মোঃ আফজাল হোসেন[1] |
আয়তন | |
• মোট | ১৮.৪০ কিমি২ (৭.১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৫৪,৯০৪ |
• জনঘনত্ব | ৩০০০/কিমি২ (৭৭০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮৪০০ |
ইতিহাস
১৮৭৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঝালকাঠি শহরের পরিচালনার জন্য ঝালকাঠি পৌরসভা স্থাপিত হলে এ শহর পৌরশহরের মর্যাদা লাভ করে। পৌর শহরটি থানা সদরের স্বীকৃতি পায় ১৯০০ সালে। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঝালকাঠি জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে ঝালকাঠি শহরকে জেলা শহরের মর্যাদা দেওয়া হয়।[2][3]
ভৌগোলিক উপাত্ত
শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২.৬৪০৮৯৩° উত্তর ৯০.১৯৮৮০৩° পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১১ মিটার। ঝালকাঠী শহর ঢাকা থেকে ১৯৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে ২০ কি.মি. পশ্চিমে সুগন্ধা নদীরঅবস্থিত। সুগন্ধা নদী থেকে বাসন্ডা খাল নামে একটি শাখা নদী উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে শহরকে দু'ভাগে বিভক্ত করেছে। শহরের ভিতরে আরও ১২টি খাল প্রবাহমান রয়েছে।
প্রশাসন
১৯৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভাগঠিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এবং ৪৭টি মহল্লায় বিভক্ত । প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ঝালকাঠি পৌরসভা ‘গ’ শ্রেনীভুক্ত হলেও বর্তমানে ‘ক’ শ্রেনীতে উন্নীত হয়েছে। ১৮.৪০ বর্গ কি.মি. আয়তনের ঝালকাঠি শহরের ১৬.১৩ কি.মি. এলাকা ঝালকাঠি পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়।[4]
জনসংখ্যা
বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী ঝালকাঠি শহরের মোট জনসংখ্যা ৫৪,৯০৪ জন যার মধ্যে ২৭,৯৫১ জন পুরুষ এবং ২৬,৯৫৩ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ১০৪:১০০। [5]
যোগাযোগ
ঝালকাঠী শহরের পশ্চিম প্রান্তে গাবখান ব্রীজ খুলনা–বরিশাল মহাসড়কে সংযুক্ত করে ঝালকাঠীকে। শহরের আভ্যন্তরীণ যাতায়াতের ক্ষেত্রে রিকশা, টেম্পু, বাস জনপ্রিয় যানবাহন।
দর্শনীয় স্থান
শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক মা সৈয়দুন্নেছার বাবার বাড়ি। এ ছাড়াও শহরের প্রাণকেন্দ্রে সুগন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত ঝালকাঠি পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত পৌর মিনিপার্ক। [6]
তথ্যসূত্র
- "ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।
- "ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এক জনপদ ঝালকাঠি"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।
- "পটভূমি"। ঝালকাঠির সরকারি ওয়েবসাইট। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।
- "পৌরসভা সম্পর্কে"। jhalokathimunicipality.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।
- "Urban Centers in Bangladesh"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (PDF) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৫: Urban Area Rport, 2011। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ১৭৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।
- "দর্শনীয় স্থান"। jhalokathimunicipality.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।