দৈনিক সংগ্রাম
দৈনিক সংগ্রাম বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা ভাষার জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র।[1] সাইমুম সিরিজের লেখক আবুল আসাদ পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[2][3] দৈনিক সংগ্রাম বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সংবাদের সাথে সাথে স্থানীয় ও আঞ্চলিক বিষয়সমূহ প্রকাশ করে। একইসাথে এটি বিনোদন, ব্যবসা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, ভ্রমণ, চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, মানবাধিকার এবং অন্যান্য সংবাদও সরবরাহ করে। মতাদর্শগত দিক থেকে এটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষের দৈনিক বা মুখপত্র হিসেবে পরিচিত।[4]
ধরন | দৈনিক সংবাদপত্র |
---|---|
ফরম্যাট | ব্রডশিট ও অনলাইন সংস্করণ |
মালিক | বাংলাদেশ পাবলিকেশন লিঃ |
প্রকাশক | আবুল আসাদ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৭ জানুয়ারি ১৯৭০ |
ভাষা | বাংলা |
সদরদপ্তর | বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | দৈনিক সংগ্রাম |
পত্রিকার বিবরণ
সংগ্রাম একটি দৈনিক প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকা। বাংলাদেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেড প্রতিষ্ঠান দৈনিক সংগ্রাম আল ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। এটি একইসাথে 'ব্রডশিট' আকারে ও অনলাইন সংস্করণে মুদ্রিত হয়। এতে বাদামি নিউজপ্রিন্ট কাগজ ব্যবহার করা হয়। কলাম সংখ্যা ৮। পত্রিকাটি চার রঙে মুদ্রিত। নিয়মিত সংখ্যা ৮ পৃষ্ঠা।[2] দৈনিক সংগ্রামের নিয়মিত আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, প্রথম পাতা, শেষ পাতা, খেলা, অর্থনীতি, শিক্ষা, মতামত, সমাজ সংস্কৃতি, সাহিত্য, ফিচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ স্টাইল, চাকরির খবর, দুর্ঘটনা, পরিবেশ, প্রবাস, রাজধানী, রাজনীতি, শোক সংবাদ, সংসদ, জাতীয়, গ্রাম-গঞ্জ-শহর, আদালত, অপরাধ।[5]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকা
১৯৭০ সালের ১৭ জানুয়ারি পত্রিকাটি যাত্রা শুরু করে।[6] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর পূর্বে ও যুদ্ধের সময় দৈনিক সংগ্রাম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র হিসেবে কাজ করে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে ও স্বাধীনতার বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলতে দৈনিক সংগ্রামের মাধ্যমে প্রচার চালায়।[7] সেসময় জামায়াত ও ছাত্রসংঘের নেতা গোলাম আযম ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য অপারেশন সার্চলাইটের পর থেকে সংগ্রাম পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হত।[8][9] মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ও সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান সংগ্রামের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।
কার্যালয় ভাংচুর
২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামক একটি সংগঠন পত্রিকাটির বড় মগবাজার কর্যালয় ও ছাপাখানা ভাংচুর চালায়।[10] ২০১৩ সালেও পত্রিকার কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।[11]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "'Azam wanted polls in '71'"। bdnews24.com। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৩।
- "দৈনিক সংগ্রাম"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩।
- "আবুল আসাদ"। প্রিয়.কম। ৭ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩।
- "Arrest order for 3 Jamaat leaders"। Daily Star (Bangladesh)। ৭ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৩।
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- "দৈনিক সংগ্রামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "মুক্তিযুদ্ধে দৈনিক সংগ্রামের ভূমিকা ॥ একটি প্রামাণ্য দলিল || সাহিত্য"। জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "একাত্তরে গোলাম আযমের বিবৃতি"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "Newspaper archives testify to 1971 role of Mojaheed, other war crimes suspects"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ এপ্রিল ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "কাদের মোল্লাকে 'শহীদ' আখ্যা, দৈনিক সংগ্রাম অফিস ভাঙচুর"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়ে হামলা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯।