দৈনিক নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্ত ২০০৪ সাল থেকে দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশন কর্তৃক বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বাংলাদেশের একটি প্রথম শ্রেণীভূক্ত জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র। এর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাংবাদিক ও কলামিস্ট সালাহ উদ্দিন বাবর[1]

দৈনিক নয়া দিগন্ত
ধরনদৈনিক সংবাদপত্র
ফরম্যাটব্রডশিট
প্রতিষ্ঠাতাদিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন-ডিএমসিএল
প্রকাশকদিগন্ত মিডিয়ার পক্ষে শামসুল হুদা
প্রতিষ্ঠাকাল২০০৪
রাজনৈতিক মতাদর্শইসলামী ও জাতীয়তাবাদী মনোভাবাপন্ন মধ্যপন্থী [1]
ভাষাবাংলা
সদরদপ্তর১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩
প্রচলন২০০,০০০ কপি দৈনিক
সহোদর সংবাদপত্রদি এশিয়া পোষ্ট (ইংরেজী)
ওসিএলসি নম্বর868012647
দাপ্তরিক ওয়েবসাইটwww.dailynayadiganta.com

অন্যান্য প্রকাশনা

সাপ্তাহিক প্রকাশনা
  • অবকাশ: এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের একটি সাপ্তাহিক ম্যগাজিন, যা প্রতি রোববার মূল পত্রিকার সাথে প্রকাশিত হয়। । প্রতি সংখ্যায় প্রচ্ছদরচনাসহ নিয়মিত অনিয়মিত বিভাগ থাকে। এর মধ্যে রয়েছে, ‘জীবনের বাঁকে বাঁকে’, ‘ভিন্নপাতা’ ও ‘অব্যাখ্যাত রহস্য’। এটির বিভাগীয় সম্পাদক মাকসুদা সুলতানা।
  • থেরাপি (রম্য): দৈনিক নয়া দিগন্তের একটি সাপ্তাহিক রঙ্গ ম্যগাজিন, যা প্রতি বুধবার মূল পত্রিকার প্রকাশিত হয়। । প্রতিটি সংখ্যায় প্রচ্ছদরচনাসহ নিয়মিত অনিয়মিত অনেকগুলো বিভাগ ও রঙ্গ কার্টুন থাকে। এটির বিভাগীয় সম্পাদক নাট্যকার আহমেদ শাহাবুদ্দিন।
  • সাতরং (লাইফ স্টাইল), এটির বিভাগীয় সম্পাদক সাবিরা সুলতানা।
মাসিক প্রকাশনা
  • অন্য এক দিগন্ত। এটির বিভাগীয় সম্পাদক আলফাজ আনাম।

হামলা অগ্নি সংযোগ

১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া শাহবাগ আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান ও প্রচার মাধ্যমকে বন্ধ করার দাবি জানানো হয়, তার মধ্যে দৈনিক নয়া দিগন্ত অন্যতম।[2][3] শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে এই পত্রিকা বর্জন করার ঘোষণা দেয়া হয়।[4] আন্দোলন চলাকালে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখ দুপুরে ঢাকার মতিঝিলের ইনার সার্কুলার রোডে অবস্থিত দৈনিক নয়া দিগন্তের কার্যালয়ে হামলা করে নয়া দিগন্তের গাড়ি ও কাগজের রোল পুড়িয়ে দেয় এই পত্রিকার বিরোধীরা।[5] ২২ ফেব্রুয়ারি এই পত্রিকার চট্টগ্রাম আফিসেও হামলা চালানো হয়।[6] ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, চট্টগ্রামে ১২টি ইসলামী সমমনা দলের ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করে শাহবাগ আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া মিছিলে প্রতিবাদস্বরূপ অগ্নিসংযোগ করা হয় দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায়।[7] পত্রিকাটি সার্কুলেশনের দিক থেকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। তবে সরকারি বিজ্ঞাপন না পাওয়ার কারণে বর্তমানে পত্রিকাটি অার্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "দৈনিক নয়া দিগন্ত বাংলাদেশ সংবাদপত্র"epapermathrubhumi.com। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৭, ২০১৫
  2. দৈনিক প্রথম আলোঢাকা। ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৩ http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-16/news/329701। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৭, ২০১৫ |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  3. 2013 Shahbag protests - Wikipedia, the free encyclopedia
  4. http://www.daily-sun.com/details_yes_19-02-2013_Artistes-boycott-Diganta-TV_414_1_9_1_3.html, The Daily Sun, 19 Ferbruary 2013
  5. "নয়া দিগন্ত অফিসে হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ"দৈনিক আমাদের সময়ঢাকা। ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৭, ২০১৫
  6. "চট্টগ্রামে জামায়াত অফিসে হামলা, দিগন্ত টিভি আমার দেশ নয়া দিগন্ত সংগ্রাম অফিসে ভাঙচুর"দৈনিক আজাদীচট্টগ্রাম। ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৩। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৮, ২০১৫
  7. http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=125051 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে, The Daily Naya Diganta, 24 February 2013

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.