শহর

শহর হল অপেক্ষাকৃত বড় এবং স্থায়ী নিবাস।[1][2] কিভাবে একে অর্থের দিক দিয়ে নগর থেকে আলাদা করা হয়, সে বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। তবে অনেক শহরের নিজস্ব প্রশাসন, ইতিহাস এবং আইন রয়েছে।

১৯০৮ সালের এথেন্স-এর বন্দর পায়রিয়াসের মানচিত্র
আদর্শ শহর; ওয়ালথার চিত্র জাদুঘর থেকে সংগৃহীত

সাধারণত শহরের নিজস্ব বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকে, যেমন: পয়োঃনিষ্কাশন, মাটির ব্যবহার, বাড়িঘর, পরিবহন ইত্যাদি। শহরের উন্নতি মানুষ এবং ব্যবসার প্রসার ঘটাতে সহায়তা করে। শহর প্রায়শই গ্রাম দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। এখানে চাকরির সুযোগ-সুবিধাও বেশি থাকে। ক্রমে একটি শহরের আশেপাশের এলাকাগুলোও শহরে চলে আসতে থাকে।

উৎপত্তি

শহর কেন উৎপত্তি লাভ করে সে বিষয়ে কোন নির্ধারিত প্রমাণ নেই। তবে অনেক তত্ত্ববিদ ধারণা করেন, কিছু মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর তাগিদেই শহর জন্মলাভ করে।

ধারণা করা হয়, কৃষি বিপ্লব শহর সৃষ্টির মূল। এই বিপ্লব কৃষির উদ্ভাবন করায়। এরফলে মানুষ খাদ্য উৎপাদনের তাগিদে স্থায়ীভাবে একস্থানে বসবাস শুরু করে। এই ঘন জনবসতির ফলেই ধীরে ধীরে শহর গড়ে ওঠে।[3] পল বাইরোচ তার শহর এবং অর্থনৈতিক উন্নতি বইয়ে বলেন, কৃষির ফলেই মানুষ একসাথে বসবাস করার প্রয়োজন অনুভব করে এবং এই মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্যই মানুষ শহর গড়ে তোলে।

গ্রামীণ তত্ত্ববিদ জেন জ্যাকবস বলেন, শহরের উৎপত্তিই কৃষির আবিষ্কারকে তরান্বিত করে, তবে তার এ যুক্তি অকাট্য বলে মেনে নেয়া হয় না।[4]

ভূগোল

হারলেম-এর মানচিত্র১৫৫০ সালের দিকে জেরুজালেমের একটি শহর থেকে অনুপ্রানিত। এটি দেয়াল এবং প্রতিরক্ষামূলক খাল দ্বারা ঘেরা।

বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে শহরকে সাজানো হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রিড পদ্ধতিতে শহর তৈরি হয়। হাজার বছর আগে চীনে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের পরিকল্পনাবিদ ডিনোক্রেটস অব রোডস এই পরিকল্পনা করেছিলেন।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Goodall, B. (1987) The Penguin Dictionary of Human Geography. London: Penguin.
  2. Kuper, A. and Kuper, J., eds (1996) The Social Science Encyclopedia. 2nd edition. London: Routledge.
  3. (Bairoch 1988, পৃ. 3–4)
  4. (Jacobs 1969, পৃ. 23)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.