রাউজান উপজেলা
রাউজান | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() চুয়েট প্রবেশপথ | |
![]() ![]() রাউজান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩২′৩″ উত্তর ৯১°৫৬′১১″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | আগস্ট, ১৯৪৭ |
সংসদীয় আসন | ২৮৩ চট্টগ্রাম-৬ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ২৪৬.৫৮ কিমি২ (৯৫.২১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ৩,২২,৮৪০ |
• জনঘনত্ব | ১৩০০/কিমি২ (৩৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৮.১৪% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৩৪০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৫ ৭৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
রাউজান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা।
ইতিহাস ও নামকরণ
রাউজান উপজেলার প্রাচীন ইতিহাসের সাথে বৌদ্ধ উপনিবেশের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জানা গেছে যে, রাউজানে আদি বসতি স্থাপনকারী হলো বৌদ্ধরা। বিনাজুরীতে প্রায় ৪ শত বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। রাউজান এলাকার নামকরণের সাথেও বৌদ্ধ ঐতিহ্য জড়িত। কারণ মোগল সুবেদার শায়েস্তা খান কর্তৃক ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বিজয়ের প্রায় ১০০০ বছর পূর্ব থেকে সারা চট্টগ্রাম অঞ্চলই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মগ বা আরাকানীদের অধিকারে ছিল। ফলে রসিকতা করে অনেকে চট্টগ্রামকে মগের মুল্লুকও বলতেন। সে অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, রাউজানও একসময় আরাকান রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। আরাকানী ভাষায় এটিকে বলা হত রজোওয়াং বা রাজ পরিবারের ভূমি। আর এ নামের অপভ্রংশ থেকেই রাউজান নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে বিশিষ্ট পণ্ডিতগণের ধারণা।[2]
অবস্থান ও আয়তন

রাউজান উপজেলা চট্টগ্রাম জেলার উত্তর-পূর্বাংশে ২২°২৫´ থেকে ২২°৪০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫১´ থেকে ৯১°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত।[3] চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার।[4] এ উপজেলার উত্তরে ও উত্তর-পশ্চিমে ফটিকছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে হালদা নদী ও হাটহাজারী উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে হালদা নদী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চান্দগাঁও থানা, দক্ষিণে কর্ণফুলী নদী ও বোয়ালখালী উপজেলা এবং পূর্বে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা অবস্থিত।
রাউজান উপজেলার আয়তন ২৪৬.৫৮ বর্গ কিলোমিটার।[3]
প্রশাসনিক এলাকা
১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে রাউজান থানার কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হল।[3] ২০০০ সালে রাউজান পৌরসভা ঘোষিত হয়।
রাউজান উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ রাউজান উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম রাউজান মডেল থানার আওতাধীন।
- ১নং হলদিয়া
- ২নং ডাবুয়া
- ৩নং চিকদাইর
- ৪নং গহিরা
- ৫নং সুলতানপুর (৫নং সুলতানপুর ইউনিয়ন সম্পূর্ণ রাউজান পৌরসভার আওতাধীন হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বিলুপ্ত হয়ে গেছে)
- ৬নং বিনাজুরী
- ৭নং রাউজান
- ৮নং কদলপুর
- ৯নং পাহাড়তলী
- ১০নং পূর্ব গুজরা
- ১১নং পশ্চিম গুজরা
- ১২নং উরকিরচর
- ১৩নং নোয়াপাড়া
- ১৪নং বাগোয়ান
- ১৫নং নওয়াজিশপুর
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাউজান উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,২৫,৩৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৬৩,৯৬৩ জন এবং মহিলা ১,৬১,৪২৬ জন। মোট জনসংখ্যার ৭৫% মুসলিম, ১৮% হিন্দু, ৬% বৌদ্ধ ও ১% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে। এ উপজেলায় মারমা, ত্রিপুরা, মগ প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।[3]
শিক্ষা
রাউজান উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬৮.১৪%। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সহ এ উপজেলায় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ৩টি স্নাতক কলেজ, ৩টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, ৪টি স্কুল এন্ড কলেজ, ২টি কামিল মাদ্রাসা, ৪টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৪টি আলিম মাদ্রাসা, ১২টি দাখিল মাদ্রাসা, ৫টি এমপিও বিহীন দাখিল মাদ্রাসা, ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সহপাঠ), ৩টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[4]
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
পত্রিকা ও সাময়িকী
- মাসিক : সুপ্রভাত রাউজান
- বার্ষিক : কম্পাস, সন্তর্পণ, সম্ভাবা।[3]
অর্থনীতি
- কৃষি
চট্টগ্রামের মরিচের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। ঐ মরিচের আকার, রং ও স্বাদে খুবই অতুলনীয়। রাউজানের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে প্রচুর মরিচ জন্মে। মরিচ ছাড়াও ধনিয়া, পিঁয়াজ, বাদাম, আখ, তরমুজ, শসা, সরিষা, কলাই, ফেলন প্রভৃতি উৎপাদিত হয়। রাউজান কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে হলদিয়া ও পাহাড়তলী এলাকার পাহাড়ে আদা, রসুন, পিঁঁয়াজ, হলুদ, তেজপাতা, দারুচিনি, কলা, নারিকেল, আনারস, সুপারী, জলপাই ইত্যাদির চাষ করা হচ্ছে। রাউজান কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন জাতের বিভিন্ন বীজ উৎপাদন করে এবং দশ হাজার জাতের বীজ সংরক্ষণ করে।[6] রাবার চাষের ক্ষেত্রে রাউজান বাংলাদেশের অন্যতম উপজেলা। রাউজানের হলদিয়া, ডাবুয়া, ঢালার মুখ এলাকায় প্রচুর রাবার বাগান রয়েছে। রাবার উৎপাদনে রাউজানের অবদান উল্লেখযোগ্য।
- অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্য
হালদা নদীর মুখে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মদুনাঘাট জিয়া বাজারে প্রচুর শুটকি উৎপন্ন হত। বাঁশখালীর লোকেরা গদুনা নৌকা করে প্রচুর শুটকি ও লবণ হালদা নদী হয়ে খালের মধ্যে প্রবেশ করে বেচা কেনা করত। বাঁশ, বেত ও পাটি পাতার তৈরী কুটির শিল্পের জন্য রাউজান বিখ্যাত ছিল। হাল চাষের জন্য লাঙ্গল জোয়াল, ইত্যাদিতে কাঠ পাহাড়ে উৎপন্ন হতো। রাউজানে কুটির শিল্পের বিশেষতঃ লাঙ্গল জোয়াল তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল। কোরবানীর জন্য রাউজানের চৌধুরী হাট, সুদূর ইংরেজ ও পাকিস্তান আমলে নামকরা বাজার ছিল। কোরবানী গরুর জন্য ব্রাহ্মণ হাট এখন উত্তর চট্টগ্রামে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।[6]
উত্তর-পূর্ব রাউজানের ঢালার মুখ এলাকায় প্রায় ১১০ একর জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল।
হাটবাজার ও মেলা
রাউজান উপজেলায় মোট ২৪টি হাটবাজার রয়েছে ও বাৎসরিক ১২টি মেলা বসে।[3]
- উল্লেখযোগ্য হাট
- লাম্বুর হাট
- ফকিরহাট বাজার
- রমজান আলী চৌধুরী হাট
- অলি মিয়া হাট
- নোয়াপাড়া পথের হাট
- উল্লেখযোগ্য মেলা
- মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা (রাউজান কলেজ মাঠ)
- বৈশাখী মেলা (রাউজান কলেজ মাঠ)
- বড় মৌলানার ওরশের মেলা (হাজীপাড়া)
- দাওয়াতখোলা ওরশের মেলা (আইলিখিল)
- চাঁদশাহ ওরশের মেলা (নাতোয়ান বাগিচা)
- চৈত্র সংক্রান্তি মেলা
- মাঘী পূর্ণিমার মেলা
- মহামুনি মেলা (পাহাড়তলী)
- বারুণী স্নান মেলা (রাউজান)
- রথের মেলা
- গোবিন্দ ঠাকুরের মেলা (ইদিলপুর)
- মহাপরিনির্বাণ মেলা (রাউজান)
দর্শনীয় স্থান
- মাস্টারদা সূর্যসেনের বাস্তুভিটা ও স্মৃতিসৌধ
- জগৎপুর আশ্রম
- মহাকবি নবীনচন্দ্র সেনের বাস্তুভিটা ও স্মৃতিসৌধ
- শাহ বিবির মসজিদ[7]
- মইস্যা বিবির মসজিদ[8]
- মহামুনি বৌদ্ধবিহার
- রামধন জমিদার বাড়ি (ডাবুয়া ধরের বাড়ি)
- যদুনাথ চৌধুরীর জমিদার বাড়ি
- জগন্নাথ দেবালয় ও তোড়ন (ডাবুয়া)
- কৈলাসেশ্বর শিবমন্দির ও শিবমূর্তি (ডাবুয়া, উনিশ শতক)
- চুলামনি বৌদ্ধ বিহার (লাঠিছড়ি)
- আবুরখীল বৌদ্ধ বিহার
- আর্যমৈত্রেয় বৌদ্ধ বিহার (শায়িত মূর্তি)
- রায়মুকুট দীঘি
- লস্কর উজির দীঘি
- ঈসা খাঁ দীঘি
- লাম্বুর হাট (কর্ণফুলী নদীর পাড়)
কৃতি ব্যক্তিত্ব
- অনুরূপচন্দ্র সেন –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।
- অম্বিকা চক্রবর্তী –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
- আবদুল হক চৌধুরী –– ইতিহাসবিদ।
- আবদুল্লাহ আল নোমান –– রাজনীতিবিদ।
- আবুল কালাম আজাদ –– বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ।
- আল্লামা এম এ মান্নান –– রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক।
- এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ।
- এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ।
- এম এন আখতার –– গীতিকার, সুরকার ও সংগীত শিল্পী।
- এম এম আবু সাঈদ –– রাজনীতিবিদ ও গবেষক।
- গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ।
- জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু –– রাজনীতিবিদ।
- ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী –– গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।
- দৌলত কাজী –– মধ্যযুগের কবি।
- নবীনচন্দ্র সেন –– কবি।
- নির্মলকুমার সেন –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
- নূতন চন্দ্র সিংহ –– নারীশিক্ষার অগ্রদূত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- প্রবাল চৌধুরী –– সংগীত শিল্পী।
- ফজলুল কবির চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ।
- ফজলুল কাদের চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ, সাবেক স্পিকার- পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি- অবিভক্ত পাকিস্তান।
- ফণী বড়ুয়া –– সঙ্গীতজ্ঞ ও কবি গানের শিল্পী।
- বিশুদ্ধানন্দ মহাথের –– বৌদ্ধ শাস্ত্রবিদ।
- বেণীমাধব বড়ুয়া –– পালি ও বৌদ্ধ শাস্ত্রবিদ।
- মাহবুব উল আলম চৌধুরী –– কবি, সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক।
- মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী –– বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি)।
- রোহিণীরঞ্জন বড়ুয়া –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
- শাবানা –– চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- শৈলেশ্বর চক্রবর্তী –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
- সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ।
- সুকুমার বড়ুয়া –– ছড়াকার।
- সুবোধ রায় –– চট্টগ্রাম বিদ্রোহের কর্মী।
- সূর্য সেন –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
- হরিপদ মহাজন –– চট্টগ্রাম বিদ্রোহের কর্মী।
- হামিদ আলী –– কবি।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি
১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল পাকবাহিনী উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তরপাড়ায় ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায় এবং ৪৮ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। একই দিন রাউজানস্থ চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমানে চুয়েট) সামনে সম্মুখ লড়াইয়ে পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, অধ্যাপক দিলীপ কুমার চৌধুরী, শেখ মোজাফ্ফর আহমদ, আবদুর রব ও ইউনূস। উক্ত স্থানে শহীদদের স্মৃতি ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল ১৯৭১ সালে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে তার প্রতিষ্ঠানের সামনে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা নৃশংসভাবে হত্যা করে। এছাড়াও রাউজান পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জগৎমল্লাপাড়ার ৩৫ জনকে পাকবাহিনীরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে।[3]
- স্মৃতিচিহ্ন
- বধ্যভূমি: ৩টি (ঊনসত্তরপাড়া, জগৎমল্লাপাড়া, গহিরা-শিলাপাড়া)
- স্মৃতিস্তম্ভ: ১টি (পৌরসভা চত্তরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক)[3]
সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[9] | সংসদ সদস্য[10][11][12][13][14] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৮৩ চট্টগ্রাম-৬ | রাউজান উপজেলা | এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
- সংসদ সদস্যগণের তালিকা
ক্রম নং | নির্বাচন সন | নির্বাচিত সংসদ সদস্য | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
১ম | ১৯৭৩ | অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২য় | ১৯৭৯ | প্রথমে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
পরে উপনির্বাচনে জহির উদ্দীন খান |
মুসলিম লীগ |
৩য় | ১৯৮৬ | সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী | জাতীয় পার্টি |
৪র্থ | ১৯৮৮ | জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু | জাতীয় পার্টি |
৫ম | ১৯৯১ | সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী | ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) |
৬ষ্ঠ | ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি) | গোলাম আকবর খোন্দকার | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৭ম | ১৯৯৬ (জুন) | গিয়াসউদ্দীন কাদের চৌধুরী | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৮ম | ২০০১ | এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
৯ম | ২০০৮ | এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১০ম | ২০১৪ | এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (বিনা প্রতিদন্ধিতায় নির্বাচিত) | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১১শ | ২০১৮ | এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন
ক্রম নং | পদবী | নাম |
---|---|---|
০১ | উপজেলা চেয়ারম্যান | একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী[16] |
০২ | ভাইস চেয়ারম্যান | নুর মোহাম্মদ[17] |
০৩ | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান | বেগম ফৌজিয়া খানম[18] |
০৪ | উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা | মোহাম্মদ শামীম হোসেন |
- উপজেলা চেয়ারম্যানগণের তালিকা
ক্রম নং | উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম | সময়কাল |
---|---|---|
০১ | এস এম আবদুল্লাহ | ১৯৮৫-১৯৮৬ |
০২ | লোকমান হাকিম | ১৯৮৬-১৯৯১ |
০৩ | একেএম এহছানুল হায়দর চৌধুরী | ২০০৯-বর্তমান |
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- এক নজরে রাউজান
- "রাউজান উপজেরার পটভূমি - রাউজান উপজেলা - রাউজান উপজেলা"। raozan.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "রাউজান উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "এক নজরে রাউজান - রাউজান উপজেলা - রাউজান উপজেলা"। raozan.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "ইউনিয়ন সমূহ - রাউজান উপজেলা - রাউজান উপজেলা"। raozan.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "ব্যবসা বাণিজ্য - রাউজান উপজেলা - রাউজান উপজেলা"। raozan.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- শাহ বিবির মসজিদ- চট্টগ্রামের ইতিহাস-প্রসংগ- আব্দুল হক চৌধুরী পৃষ্ঠা ৯২, প্রকাশকাল: জুন ১৯৮২।
- মইস্যা বিবির মসজিদ- চট্টগ্রামের ইতিহাস-প্রসংগ- আব্দুল হক চৌধুরী পৃষ্ঠা ৯২, প্রকাশকাল: জুন ১৯৮২।
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "Welcome to Bangladesh Parliament"। www.parliament.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী - রাউজান উপজেলা - রাউজান উপজেলা"। raozan.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "জনাব নুর মোহাম্মদ - রাউজান উপজেলা - রাউজান উপজেলা"। raozan.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "বেগম ফৌজিয়া খানম - রাউজান উপজেলা - রাউজান উপজেলা"। raozan.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "পূর্বতন চেয়ারম্যানগণের নাম - রাউজান উপজেলা - রাউজান উপজেলা"। raozan.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিভ্রমণে রাউজান উপজেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |