মতলব উত্তর উপজেলা
মতলব উত্তর বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
মতলব উত্তর | |
---|---|
উপজেলা | |
মতলব উত্তর | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৭′৬″ উত্তর ৯০°৩৮′১″ পূর্ব | |
দেশ | |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চাঁদপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৭৭.৫৩ কিমি২ (১০৭.১৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (1991) | |
• মোট | ৪,৪৫,৬০৭ |
• জনঘনত্ব | ১৬০০/কিমি২ (৪২০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৬৪০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৩ ৭৯ |
অবস্থান ও আয়তন
মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বে ধনাগোদা নদী ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা; দক্ষিণে মতলব দক্ষিণ উপজেলা ও চাঁদপুর সদর উপজেলা; দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদী, চাঁদপুর সদর উপজেলা ও শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলা; পশ্চিমে মেঘনা নদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা; উত্তরে মেঘনা নদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা এবং পূর্বে ধনাগোদা নদী ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলা অবস্থিত। জেলা সদর হতে এর দূরত্ব ৪৫ কি.মি.। এ উপজেলার আয়তন ২৭৭.৫৩ বর্গ কি.মি. এবং জনসংখ্যা ২,৯২,০৫৭, জন (প্রায়)। জনসংখ্যার ঘনত্ব ১,৮৪৮ জন (প্রতি বর্গ কি.মি.)। মোট ভোটার সংখ্যা ১,৯৯,২১০ জন (৩১/০১/২০১৩ পর্যন্ত)। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩০%।
প্রশাসনিক এলাকা
মতলব উত্তর উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মতলব উত্তর থানার আওতাধীন।
- ১নং ষাটনল
- ২নং বাগানবাড়ী
- ৩নং সাদুল্লাপুর
- ৪নং দুর্গাপুর
- ৫নং ছেংগারচর (ছেংগারচর ইউনিয়নকে পৌরসভা ঘোষণা করায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বিলুপ্ত হয়ে গেছে।)
- ৬নং কলাকান্দা
- ৭নং মোহনপুর
- ৮নং এখলাছপুর
- ৯নং জহিরাবাদ
- ১০নং ফতেপুর পূর্ব
- ১১নং ফতেপুর পশ্চিম
- ১২নং ফরাজিকান্দি
- ১৩নং ইসলামাবাদ
- ১৪নং সুলতানাবাদ
- ১৫নং গজরা
ইতিহাস
মোঘল আমলে বর্তমান বাবু পাড়া ও পৈল পাড়া গ্রামদ্বয়ের উত্তর প্রান্তে গোমতীর শাখা ধনাগোদা নদীর তীরে অবস্থিত লালার হাট বাজারটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হলে কলাদী গ্রামের উত্তর প্রান্তে উপরোক্ত নদীর তীরে বৈরাগীর হাট নামে একটি বাজার জমে উঠে। যা দেখে ঈর্ষাণিত হয়ে ফরিদপুরের জমিদারের জমিদারী বেড়ে মতলব জমাদার বৈরাগীর হাটের দক্ষিণে পশ্চিম অংশে নিজ নামে আরেকটি বাজার মেলায়। কিছু কাল দুটি বাজারই তীব্র প্রতিযোগিতায় চলার পর জমাদারের হাট মতলব নামে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আর বৈরাগীর হাট নামটি বিলুপ্ত হয়। এভাবেই মতলব জমাদারের নাম অনুসারে মতলব এর নামকরণ করা হয়। ১৯১৮ সালের ৯ আগস্ট মতলব গেজেটভূক্ত হয়। গেজেট নম্বর ২৩৮।
ঐতিহাসিকদের মতে মতলব উপজেলার নামকরণ করা হয় প্রায় ১২০ বছর পূর্বে। হিন্দু প্রধান এলাকা হিসাবে এখানে অনেক বাউল, বৈরাগী ও তান্ত্রীদের আখড়া ছিল। ১৯০০ সালে গর্ভমেন্ট চাঁদপুর সার্কেল বিভক্ত করে মতলব সার্কেল সৃষ্টি করে। ফলে ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে ঐ থানার অগ্রযাত্রা শুরু করে।
২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল ১টি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়ন (পরবর্তীতে ১টি বৃদ্ধি) নিয়ে স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে মেঘনা-ধনাগোদা নদী পরিবেষ্টিত দ্বীপাঞ্চল মতলব উত্তর উপজেলার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মতলব উত্তর নব-সৃষ্ট উপজেলা হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে। পাশ্ববর্তী মতলব উপজেলার উত্তর দিকে হওয়ার ফলে এ উপজেলার নামকরণ করা হয় মতলব উত্তর।
মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মতলব উত্তর উপজেলা সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রনাধীন ছিল। পাকবাহিনী মাঝেমধ্যে এ উপজেলায় প্রবেশের চেষ্টা করলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ সংগঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া উপজেলার হরিণায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর।
জনসংখ্যার উপাত্ত
মতলব উত্তর উপজেলার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১,৮৪৮ জন। মোট জনসংখ্যা ২,৯২,০৫৭, জন (প্রায়)। এর মধ্যে পুরুষ ১৪০৭৫৩ জন (প্রায়) এবং মহিলা ১৫১৩০৪ জন (প্রায়)। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩০%। মোট পরিবার (খানা) ৬৩,৭৮৪টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১,৯৯,২১০ জন (৩১/০১/২০১৩ পর্যন্ত)। পুরুষ ভোটার ৯৮,২৩৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১,০০৯৭৬ জন।
শিক্ষা
শিক্ষার হার ৭৩%, পুরুষ ৭২% এবং মহিলা ৭৬%।
- প্রাথমিক বিদ্যালয় - ১৬৮টি (সরকারী - ১২০টি, বে-সরকারী - ২৭টি, কমিউনিটি - ২১টি);
- জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় - ০৪টি;
- উচ্চ বিদ্যালয় - ৩৩টি (সহশিক্ষা - ৩১টি, বালিকা - ২টি);
- মাদ্রাসা - ১০টি (দাখিল - ৪টি, আলিম - ৩টি, ফাজিল - ২টি, কামিল - ১টি);
- কলেজ - ৭টি (সহপাঠ - ৬টি, বালিকা - ১টি)।
অর্থনীতি
মতলব উত্তর উপজেলার প্রধান অর্থনীতি কৃষি। চারদিকে নদী (মেঘনা ও ধনাগদা) বেষ্টিত উপজেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বাঁধ কৃষির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ধনাগদা নদীর পানি দ্বারা কৃষিকাজ সম্পন্ন করা হয়। কৃষির পাশাপাশি এ উপজেলায় মৎস্য চাষ, পশু পালন, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক সম্প্রসারণ চলছে।
কৃষি
নীট ফসলী জমি ১৮৩৯০ হেক্টর, মোট ফসলী জমি ৩৯১০৩ হেক্টর, এক ফসলী জমি ৪৪২৯ হেক্টর, দুই ফসলী জমি ১০৭০২ হেক্টর, তিন ফসলী জমি ২০৪৩ হেক্টর, গভীর নলকূপ ১২৩টি, অ-গভীর নলকূপ ২৪২৩টি, শক্তি চালিত পাম্প ৪৮৮টি, বস্নক সংখ্যা ৫৪টি, বাৎসরিক খাদ্য চাহিদা ৭৮২৬৭ মে.টন, নলকূপের সংখ্যা ৪২৭৬টি।
- মৎস্য
পুকুরের সংখ্যা ৩৭৯৬টি, মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার বেসরকারী ০৬টি, বাৎসরিক মৎস্য চাহিদা ৬,১৮০ মে.টন, বাৎসরিক মৎস্য উৎপাদন ৫,৫১৩ মে.টন।
- প্রাণী সম্পদ
উপজেলা পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ০১টি, পশু ডাক্তারের সংখ্যা ০২ জন, কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র ১৪টি, পয়েন্টের সংখ্যা ০৩টি, উন্নত মুরগীর খামারের সংখ্যা ১১টি, লেয়ার ৮০০ মুরগীর ঊর্ধ্বে ১০-৪৯টি মুরগী আছে, এরূপ খামার অসংখ্য, গবাদির পশুর খামার ২২টি, ব্রয়লার মুরগীর খামার ৯৬টি।
ভূমি ও রাজস্ব সংক্রান্ত: মৌজা ১৪৭টি, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ১০টি, পৌর ভূমি অফিস ০১টি, মোট খাস জমি ৫৫৯৮.৮৬ একর, কৃষি ১৬৭.৩৯ একর, অকৃষি ১৫২৩.২২ একর, বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি ১৪.৭১ একর (কৃষি), বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর (দাবি) সাধারণ= ৩৮,৬০,২৮০/- ও সংস্থা= ১,৮৮,০৪,৭৪৭/-, বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর (আদায়) সাধারণ= ২৭,৩১২/-,
স্বাস্থ্য
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ০১টি।
- বেডের সংখ্যা ৫০টি।
- পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ১৪টি।
- এম.সি.এইচ. ইউনিট ০১টি।
- মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (নির্মাণাধীন) ১টি।
জলবায়ু
মাসভিত্তিক ২৪ ঘণ্টার গড় তাপমাত্রা:
মাসের নাম | তাপমাত্রা (ডিগ্রী সেলসিয়াস) |
---|---|
জানুয়ারি | ১৯.০° |
ফেব্রুয়ারি | ২১.৪° |
মার্চ | ২৫.৬° |
এপ্রিল | ২৭.৮° |
মে | ২৮.৫° |
জুন | ২৮.২° |
জুলাই | ২৮.০° |
আগস্ট | ২৮.১° |
সেপ্টেম্বর | ২৮.৩° |
অক্টোবর | ২৭.৩° |
নভেম্বর | ২৩.৯° |
ডিসেম্বর | ২০.১° |
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ঢাকা থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শ্রীরায়েরচর হয়ে বাগারবাড়ী ব্রীজ দিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদে আসতে হয়। চাঁদপুর থেকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপর দিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদে আসতে হয়। এ উপজেলার চারদিক নদী বেষ্টিত। নদীর তীর ঘেঁষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেড়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এক সময় নদীই ছিল মতলব উত্তর উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও সীমিত আকারে মেঘনা ও ধনাগদা নদীর মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাত্রী ও মালামাল পারাপার করা হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, অথবা চাদঁপুর থেকে লঞ্চযোগে মোহনপুর বা ষাটনল লঞ্চ ঘাট হয়ে মতলব উত্তর উপজেলায় আসা যায়। রেলপথে এ উপজেলার সাথে কোন যোগাযোগ নাই। এ উপজেলায় বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।
- পাকা রাস্তা ১০৩.৩৯ কি.মি., আধা পাকা রাস্তা ১৮.৫৯ কি.মি., কাচা রাস্তা ৩৫.৬৯ কি.মি.,
- ব্রীজ/কালভার্টের সংখ্যা ২৫৮টি,
- নদীর সংখ্যা ০২টি (মেঘনা ও ধনাগদা)
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) - সাবেক মন্ত্রী
- নুরুল হুদা- সাবেক প্রতিমন্ত্রী
- হুমায়ূন কবীর ঢালী- প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক
- নওয়াব আলী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ
★(গোলাম মোর্শেদ ফারুকী)-পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য(১৯৭০) এবং স্বাধীন বাংলার প্রথম সংসদসদস্য(১৯৭৩), বীর মুক্তিযুদ্ধা, ১৯৫২ এর ভাষা সৈনিক,৬ দফা আন্দোলনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসাবে অসামান্য কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন এই মহান নেতা।এই বরেণ্য ব্যক্তি ১৯৩০ সালে চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত মতলব উত্তর উপজেলার এম এম কান্দি নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।মৃত্যুঃ১১ জানুয়ারি ২০১৪।
চিত্তাকর্ষক স্থান
- সোলেমান শাহ-এর মাজার;
- মেঘনা নদী ও ধনাগোদা নদী ।
- লুধুয়া জমিদার বাড়ি।
- গজরা জমিদার বাড়ি।
- কলাকান্দা মসজিদ।
- নাউরী মন্দির ও রথ।
- মোহনপুর নদীর পাড় পর্যটন এলাকা।
- ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র।
- এখলাছপুর নদীর পাড়।
- জর্জনগর পৌর পার্ক।
- মোহনপুর মায়া চৌধুরীর বাড়ি।
জনপ্রতিনিধি
- সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[1] | সংসদ সদস্য[2][3][4][5][6] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৬১ চাঁদপুর-২ | মতলব দক্ষিণ উপজেলা এবং মতলব উত্তর উপজেলা | নুরুল আমিন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
বিবিধ
- পত্র পত্রিকাঃ আজকের মতলব, দৈনিক মতলবের আলো, সাপ্তাহিক দিবাকন্ঠ, তদন্ত বিচিত্রা।
- হাট-বাজারঃ ১৯টি।
তথ্যসূত্র
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।