ফটিকছড়ি উপজেলা
ফটিকছড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
ফটিকছড়ি | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ | |
![]() ![]() ফটিকছড়ি | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪১′৮″ উত্তর ৯১°৪৭′৩৬″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯১৮ |
জাতীয় নির্বাচনী এলাকা | ২৭৯ চট্টগ্রাম-২ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন) |
আয়তন | |
• মোট | ৭৭৩.৫৫ কিমি২ (২৯৮.৬৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ৪,৪১,৮৬৩ |
• জনঘনত্ব | ৫৭০/কিমি২ (১৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৩৫০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৫ ৩৩ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাস
১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লীর বাদশা আওরঙ্গজেবের শাসনকালে বাংলার শাসনকর্তা সুবেদার শায়েস্তা খানের পুত্র বুজুর্গ উমেদ আলী খাঁ আরাকান রাজাকে পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখল করে এর নামকরণ করেন ইসলামাবাদ। শাসনকার্যের সুবিধার জন্য ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সমগ্র এলাকাকে ৭টি চাকলায় ভাগ করে এক একটি পরগণার এক একটি নামকরণ করেন। বাংলার বার ভুঁইয়াদের অন্যতম স্বাধীনতাকামী ঈসা খাঁ এ অঞ্চলে অবস্থানকালে বাইশপুর সমন্বয়ে ঐতিহাসিক ‘ইছাপুর পরগণা’ গঠন করেন। বঙ্গশার্দুল ঈসা খাঁর নামানুসারেই সাবেক ইছাপুর পরগণাই পরবর্তীতে বর্ধিত আকারে হয় বর্তমানের ফটিকছড়ি উপজেলা।[2]
- মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি
১৯৭১ সালের মার্চে এম আর সিদ্দিকী, মেজর জিয়াউর রহমান, জোনাল কমান্ডার মির্জা আবু মনসুর এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা রামগড়ে মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্প স্থাপন করেন। ট্রেনিং নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে যেত ফটিকছড়ি হয়ে এবং ট্রেনিং নিয়ে ফিরত একই পথে। এ কারণে ফটিকছড়িকে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবেশদ্বার বলা হয়। এ উপজেলার নানুপুর গ্রামের আবু সোবহান স্কুলের মাঠে ছিল শরণার্থী শিবির। মুক্তিযুদ্ধে ফটিকছড়ির প্রায় ১৫০০ মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন।[3] গণকবর: ৪টি, (লেলাং চা বাগান, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ, বাগানবাজার, দাঁতমারা)[3]
নামকরণ
ফটিক অর্থ স্বচ্ছ ও ছড়ি অর্থ পাহাড়িয়া নদী, ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী, ঝর্ণা বা খাল। উপজেলার পশ্চিমাংশে ফটিকছড়ি খাল নামক একটি স্বচ্ছ ঝর্ণা আছে। নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরা খালটি সীতাকুণ্ড পাহাড়ী রেঞ্জ থেকে উৎপন্ন হয়ে যোগিনী ঘাটা নামক স্থানে হালদা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। একসময় ফটিকছড়ি উপজেলার অবস্থান ছিল ভূজপুরের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত এই ফটিকছড়ি খালের তীরে। ফটিকছড়ি খাল হতেই এই থানার নামকরণ হয়।[4] এছাড়া রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলায় ফটিকছড়ি নামে একটি ইউনিয়ন আছে।[5]
আয়তন
ফটিকছড়ি উপজেলার মোট আয়তন ৭৭৩.৫৫ বর্গ কিলোমিটার[3] এবং এটি আয়তনের দিক থেকে চট্টগ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা।[6]
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফটিকছড়ি উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৪,৪১,৮৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২,২৬,৩১৬ জন এবং মহিলা ২,১৫,৫৪৭ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে ৫৭১ জন। এ উপজেলায় মোট জনসংখ্যার ৮৭% মুসলিম, ১০% হিন্দু এবং ৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[3]
অবস্থান ও সীমানা
চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ২২°৩৫´ থেকে ২২°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৩৮´ থেকে ৯১°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে ফটিকছড়ি উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার পশ্চিমে মীরসরাই উপজেলা ও সীতাকুণ্ড উপজেলা; দক্ষিণে হাটহাজারী উপজেলা; পূর্বে রাউজান উপজেলা, রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা ও খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা, মানিকছড়ি উপজেলা ও রামগড় উপজেলা এবং উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।[3]
প্রশাসনিক এলাকা
১৯১৮ সালে ফটিকছড়ি থানার সৃষ্টি হয়।[3] ১৯৮৩ সালে ফটিকছড়ি থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। ২০০৭ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশ পুলিশের আই জি নূর মোহাম্মদ ফটিকছড়ি থানার মধ্যে নতুন ভূজপুর থানার উদ্বোধন করেন। ফটিকছড়ি উপজেলায় ২টি থানা, ২টি পৌরসভা, ১৭টি ইউনিয়ন, ১০২টি মৌজা এবং ১৯৯টি গ্রাম আছে।
ভূজপুর থানার আওতাধীন ৬টি ইউনিয়ন।
ফটিকছড়ি থানার আওতাধীন ২টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন।
- ৬নং পাইন্দং
- ৭নং কাঞ্চননগর
- ৮নং রাঙ্গামাটিয়া (৮নং রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ ফটিকছড়ি পৌরসভার আওতাভুক্ত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বিলুপ্ত হয়ে গেছে)
- ৯নং ধুরুং (৯নং ধুরুং ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ ফটিকছড়ি পৌরসভার আওতাভুক্ত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বিলুপ্ত হয়ে গেছে)
- ১০নং সুন্দরপুর
- ১২নং দৌলতপুর (১২নং দৌলতপুর ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ নাজিরহাট পৌরসভার আওতাভুক্ত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বিলুপ্ত হয়ে গেছে)
- ১৩নং লেলাং
- ১৪নং নানুপুর
- ১৫নং রোসাংগিরী
- ১৬নং বখতপুর
- ১৭নং জাফতনগর
- ১৮নং ধর্মপুর
- ১৯নং সমিতিরহাট
- ২০নং আবদুল্লাহপুর
- ২১নং খিরাম
ভূ-প্রকৃতি

দুই পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত ফটিকছড়ি ভূ-প্রাকৃতিক দিক দিয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ। পশ্চিম প্রান্তে সীতাকুণ্ড পাহাড়ী রেঞ্জ, যার বিস্তৃতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য হতে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত। এই পাহাড়ের অপর পাড়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং মীরসরাই উপজেলা। পূর্ব প্রান্তে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়। ফটিকছড়ির প্রধান নদী হালদা। হালদা নদী উপজেলার মধ্যভাগ চিরে উত্তর দিক হতে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। অন্যান্য নদী এবং খালের মধ্যে রয়েছে সীতাকুণ্ড পাহাড়ী রেঞ্জ হতে উৎপন্ন হওয়া গজারিয়া, ফটিকছড়ি খাল, হারুয়ালছড়ি খাল। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে উৎপন্ন মানিকছড়ি, ধুরুং খাল এবং সর্তা খাল।
শিক্ষা

ফটিকছড়ি উপজেলার সাক্ষরতার হার ৪৭%।[3] এ উপজেলায় ৫টি কলেজ, ২টি স্কুল এন্ড কলেজ, ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯টি বালিকা বিদ্যালয়, ৪টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কামিল, আলিম এবং দাখিল সহ মোট ৪১টি মাদ্রাসা, ৩০০টি এবতেদায়ী ও কওমী মাদ্রাসা, ১৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৫টি কিন্ডারগার্টেন আছে।[4]
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
অর্থনীতি
ফটিকছড়ির আয়ের প্রধানতম উৎস হচ্ছে দেশের বাইরের অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। এছাড়াও চা চাষ এবং রাবার উৎপাদন এখানকার আয়ের অন্যতম উৎস। প্রধান কৃষি ফসল: ধান, আলু, মরিচ, বেগুন, চা এবং রাবার। প্রধান রপ্তানী দ্রব্যের মধ্যে আছে চা এবং রাবার। বাংলাদেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে ১৭টি চা বাগানের অবস্থান ফটিকছড়ি উপজেলায়।[7] ফটিকছড়িতে তিনটি রাবার বাগান আছে।[8] এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বিশাল আয়তনের বাগানটি (দাঁতমারা রাবার বাগান) রয়েছে এ ফটিকছড়িতে। যার আয়তন সাড়ে চার হাজার একর।[9]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ফটিকছড়িতে বিদ্যমান কাঁচা পাকা মিলিয়ে সর্বমোট সড়ক-দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৮৮০ কিলোমিটার। তার মধ্যে পাকা রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩৯ কিলোমিটার, আধা পাকা রাস্তা ১৩৩ কিলোমিটার এবং কাচা রাস্তার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৭০৮ কিলোমিটার।[10] ফটিকছড়ির উপর দিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং তিনটি জেলা সড়ক গিয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়ক আর১৬০ (৯৮ কিমি দীর্ঘ) হাটহাজারী পৌরসভা হতে ফটিকছড়ি পৌরসভার উপর দিয়ে খাগড়াছড়ি গিয়ে পৌঁছেছে।[11] আঞ্চলিক মহাসড়ক আর১৫১ (৪৮ কিমি দীর্ঘ) পেলাগাজীর দীঘির মোড় হতে কাজিরহাট, নারায়ণহাট এবং হেয়াকো হয়ে বারৈয়ারহাটে গিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের সাথে মিলিত হয়েছে।[12] এছাড়াও জেলা সড়ক তিনটি হচ্ছে, Z1021 (২০ কিমি দীর্ঘ) নারায়ণহাট থেকে মীরসরাই, Z1619 (২৪ কিমি দীর্ঘ) ফটিকছড়ি পৌরসভা হতে রাউজান এবং Z1086 (২৩ কিমি দীর্ঘ) সীতাকুণ্ড হতে হাজারীখীল হয়ে পেলাগাজীর দীঘি পর্যন্ত।
একসময় নৌকা যোগে চট্টগ্রাম শহর হতে মালামাল আনা নেয়ার জন্য হালদা নদী নৌ-পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। চাক্তাই থেকে মাল বোঝাই করে নৌকা আসতো নাজিরহাট, বিবিরহাট, কাজিরহাট এবং নারায়ণহাট পর্যন্ত। স্থল যোগাযোগ ব্যবস্থা সুলভ হওয়ায় এবং হালদার নাব্যতা কমে যাবার দরুণ নৌ-যোগাযোগ কমে এসেছে।
ফটিকছড়ি প্রায় বাংলাদেশের সকল মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার ও সুলভ।
নদ-নদী
ফটিকছড়ি উপজেলার মধ্য দিয়ে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে হালদা নদী। এছাড়া রয়েছে ধুরুং খাল এবং উপজেলার পূর্ব দিকে রয়েছে সর্তা খাল।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী
- মাসিক: ফটিকছড়ি, ফটিকছড়ি সংবাদ, জীবনবাতি, দাওয়াতুল হক।
- সাপ্তাহিক: ফটিকছড়ির খবর।[3]
দর্শনীয় স্থান
ফটিকছড়ি উপজেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকা:[4]
- মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ
- ভুজপুর জমিদার বাড়ি
- মং রাজার দীঘি, পশ্চিম ভূজপুর
- আহসান উল্লাহ খাঁ গোমস্তার মসজিদ, বখতপুর (আনুমানিক ৪০০ বছর পুরনো)
- হারুয়ালছড়ি ফকিরপাড়া গায়েবী মসজিদ (অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলা)
- হালদা রাবার ড্যাম, কাজিরহাট
- হালদা ভ্যালি চা বাগান, নারায়ণহাট
- উদালিয়া চা বাগান, সুয়াবিল
- হাজারীখীল ইকো টুরিজ্যম পার্ক, হারুয়ালছড়ি
- বারমাসিয়া চা বাগান, সুয়াবিল [13]
- বাগান বাজার নতুন রাস্তা (সেলপি রোড)
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
- ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (নাজিরহাট) [14]
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- আবদুল বারী চৌধুরী –– ব্যবসায়ী ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।
- আবদুল মজিদ পণ্ডিত –– পুঁথি সাহিত্যিক।
- আবুল কাসেম নূরী –– ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও যৌতুক বিরোধী আন্দোলনের প্রবক্তা।[15][16]
- আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী –– সুফি সাধক।
- কাজি হাসমত আলী –– সাহিত্যিক।
- গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী –– সুফি সাধক।[17]
- জামাল নজরুল ইসলাম –– পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিশ্বতত্ত্ববিদ ও অর্থনীতিবিদ।
- জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী –– সুফি সাধক।
- তাজুল ইসলাম –– বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- পূর্ণিমা –– চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- মনসুর মুসা –– বাংলা একাডেমীর সাবেক মহা পরিচালক, লেখক গবেষক ও অধ্যাপক।
- মুহম্মদ এনামুল হক –– ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক।
- মুহম্মদ মুকিম –– ১৮শ শতকের কবি।
- মোহাম্মদ আলী –– চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও লেখক।
- মোহাম্মদ রজা –– পুঁথি সাহিত্যিক।
- শুভ রায় –– বিজ্ঞানী ও কৃত্রিম কিডনির আবিষ্কারক।
- সাবিরিদ খান –– পুঁথি সাহিত্যিক।
- সুজন বড়ুয়া –– শিশু সাহিত্যিক।
- সুব্রত বড়ুয়া –– লেখক।
- সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী –– রাজনীতিবিদ।
- নুরুল আলম চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।
সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[18] | সংসদ সদস্য[19][20][21][22][23] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৭৯ চট্টগ্রাম-২ | ফটিকছড়ি উপজেলা | সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
- সংসদ সদস্যগণের তালিকা
ক্রম নং | নির্বাচন সন | নির্বাচিত সংসদ সদস্য | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
১ম | ১৯৭৩ | নুরুল আলম চৌধুরী | বাংলাদেশ জাতীয় পরিষদের প্রথম নির্বাচিত সংসদ সদস্য |
২য় | ১৯৭৯ | জামাল উদ্দীন আহমদ | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৩য় | ১৯৮৬ | নুরুল আলম চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
৪র্থ | ১৯৮৮ | মাজহারুল হক শাহ্ চৌধুরী | জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) |
৫ম | ১৯৯১ | সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
৬ষ্ঠ | ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি) | সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
৭ম | ১৯৯৬ (জুন) | রফিকুল আনোয়ার | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
৮ম | ২০০১ | রফিকুল আনোয়ার | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
৯ম | ২০০৮ | সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
১০ম | ২০১৪ | সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী | বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন |
১১শ | ২০১৮ | সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন
ক্রম নং | পদবী | নাম |
---|---|---|
০১ | উপজেলা চেয়ারম্যান | এস এম আবু তৈয়ব[24] |
০২ | ভাইস চেয়ারম্যান | এড. ছালমত উল্লাহ শাহীন |
০৩ | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান | জেবুন নাহার মুক্তা[25] |
০৪ | উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা | মো: সাইয়েদুল আরেফীন[26] |
- উপজেলা চেয়ারম্যানগণের তালিকা
ক্রম নং | উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম | সময়কাল |
---|---|---|
০১ | মুজিবুল হক চৌধুরী | ১৯৮৫-১৯৯০ |
০২ | আফতাব উদ্দীন চৌধুরী | ২০০৯-২০১৩ |
০৩ | এম তৌহিদুল আলম | ২০১৪-২০১৯ |
০৪ | এস এম আবু তৈয়ব | ২০১৯-বর্তমান |
আরো দেখুন
- চট্টগ্রাম জেলা
- সীতাকুণ্ড পাহাড়ী রেঞ্জ
তথ্যসূত্র
- http://fatikchhari.chittagong.gov.bd/node/625577-এক-নজরে-ফটিকছড়ি%5B%5D
- "চট্টগ্রাম জেলা তথ্য বাতায়ন"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "বাংলাপিডিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "জেলা তথ্য বাতায়ন"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "ফটিকছড়ি ইউনিয়ন তথ্য বাতায়ন"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- https://web.archive.org/web/20151208044832/http://www.bbs.gov.bd/WebTestApplication/userfiles/Image/National%20Reports/Union%20Statistics.pdf
- "বাংলাদেশ চা বোর্ড"। ৩ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "ফটিকছড়ির ১৭টি চা ও ৩টি রাবার বাগান হতে পারে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র"। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "দৈনিক জনকণ্ঠ"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "উপজেলা তথ্য বাতায়ন"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "::RMMS::"। www.rhd.gov.bd।
- "::RMMS::"। www.rhd.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- https://www.google.com/maps/place/Baramasia+Tea+Estate/@22.6747177,91.7474578,15z/data=!4m2!3m1!1s0x0:0x7c5d7454af3daf13?sa=X&ved=2ahUKEwiwppP2t5PkAhWQ7HMBHTWLClQQ_BIwCnoECA0QCA
- https://www.ittefaq.com.bd/print-edition/country/66143/%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%9B%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8--%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4
- "আলা হযরত (র.) নবী প্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত -পীরে ত্বরিক্বত আল্লামা আবুল কাশেম নুরী"।
- "যৌতুকবিরোধী আন্দোলন : চাই সামাজিক জাগরণ ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ - Suprobhat Bangladesh"। suprobhat.com।
- "বাবা ভান্ডারীর ওরশ শরীফে ভক্তদের ঢল - Suprobhat Bangladesh"। suprobhat.com।
- "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "জনাব এম তৌহিদুল আলম - ফটিকছড়ি উপজেলা - ফটিকছড়ি উপজেলা"। fatikchhari.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "জনাব জেবুন নাহার মুক্তা - ফটিকছড়ি উপজেলা - ফটিকছড়ি উপজেলা"। fatikchhari.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "উপজেলা নির্বাহী অফিসার - ফটিকছড়ি উপজেলা - ফটিকছড়ি উপজেলা"। fatikchhari.chittagong.gov.bd। ৯ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
- "পূর্বতম চেয়ারম্যানগণ - ফটিকছড়ি উপজেলা - ফটিকছড়ি উপজেলা"। fatikchhari.chittagong.gov.bd। ১১ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিভ্রমণে ফটিকছড়ি উপজেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |