সরাইল উপজেলা

সরাইল উপজেলা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।

সরাইল
উপজেলা
সরাইলের কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তির আকাশি বিল
সরাইল
বাংলাদেশে সরাইল উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৬′০.০০০″ উত্তর ৯১°৬′৩৬.০০০″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
আয়তন
  মোট২১৫.২৮ কিমি (৮৩.১২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট২,৭১,১০১
  জনঘনত্ব১৩০০/কিমি (৩৩০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ১২ ৯৪
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

আয়তন

সরাইল উপজেলা আয়তন ২১৫.২৮ বর্গ কিলোমিটার (৫৩,১৯৬ একর)।[2]

অবস্থান ও সীমানা

উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান : সরাইল উপজেলা ২৪°০০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হতে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এ উপজেলার উত্তরে নাসিরনগর উপজেলা; পূর্বে বিজয়নগর উপজেলা; দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাআশুগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলাবাজিতপুর উপজেলা অবস্থিত। এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘনা,তিতাস ও লাহুর নদী। সরাইল উপজেলা সদরের আয়তন ১৪.০৩ বর্গ কিলোমিটার। এটি ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।[3]

নামকরণ ও ইতিহাস

সর অর্থ সরোবর বা হূদ। এটাকে ব্যাখ্যা করলে বুঝায় বিশাল জলাশয় অার অাইল শব্দের অর্থ বাঁধ বা উচুভূমি। অর্থাৎ প্রাচীনকালে এ এলাকা ছিল বিশাল জলরাশিতে ভরা এক জলমগ্ন স্হান। কালের বিবর্তনে এখানে ধীরে ধীরে বেশ কিছু চর পড়তে থাকে যা দুর থেকে জমির অাইল বা বাধেঁর মত দেখাত। এতে করে বিশাল জলাশয়ের সরঃ জেগে উঠা অাইলে বা ভূখন্ডে জনপদ গড়ে উঠতে থাকে অার তাই অর্থাৎ বিশাল জলরাশিতে জেগে উঠা ভূখন্ডে সরঃ + অাইল = সরাইল নামে পরিচিতি পায়। ওই বিশাল জলরাশিকে কালীধর সায়র বা কালীদহ সাগর বলে গবেষকরা চিহিূত করেছেন,যা প্রাচীনকাল থেকে এ এলাকার বিভিন্ন অ্রঞ্চলে কবি গান ও পুঁথি পাঠ অাসরের গাওয়া বন্দনা- গীতির শুরুতেই উল্লেখ পাওয়া যায়। অন্য একটি মতে,সরাইখানা শব্দের অর্থ ক্ষণস্হায়ী বসবাস। ফার্সী ঈল শব্দের অর্থ বিদ্রোহী বন্ধু। সরাইখানার সরাই ও ঈল শব্দ মিলে (সরাই+ঈল) সরাইল শব্দের উৎপত্তি। অর্থাৎ বিদ্রোহী বন্ধুর বাসস্হান। ১৩৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ফখরূদ্দিন মোবারক শাহ, বাহরাম খানের শিলহদর( বর্মরক্ষক) অর্থাৎ দেহরক্ষী হিসেবে বিদ্রোহী হয়ে তিনি যে স্হানে সামরিক প্রস্ততির জন্য ক্ষণস্হায়ী রাজধানী স্হাপন করেছিলেন সেই স্হানটি দিল্লীর সুলতান ও সভাসদগন এবং স্থপতিগন কর্তৃক সরাই+ঈল = সরাইল নামে অাখ্যায়িত হয়েছিল। দিল্লী থেকে প্রচারিত হতে হতে এটাই কালের অাবর্তে পরবর্তী শাসন অামলে সরাইল নামে পরিচিত ও গৃহীত হয়েছিল। মোঘল অামলে(১৩৩৮-১৫২৬) প্রায় দুইশত বৎসর এ নামটি সরাইল পরগণা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে অাছে। বারো ভুঁইয়া দের অন্যতম ঈসা খাঁর জন্ম ১৫২৯ সালে সরাইল পরগণায়। ইসা খাঁর দাদা রাজপুত বংশীয় 'ভাগিরথ' অযোধ্যা হতে বাংলায় এসে বাংলার সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহের (১৫৩৩-৩৮) অধীনে দেওয়ান এর চাকরি লাভ করেন। তার পুত্র কালিদাস গজদানী পিতার মৃত্যুর পর দেওয়ানি লাভ করেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সোলায়মান খাঁ নাম গ্রহণ করেন। সোলায়মান খাঁ সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহের কন্যা সায়েদা মোমেনা খাতুনকে বিয়ে করে সরাইল পরগনা ও পূর্ব মোমেনশাহীর জমিদারি লাভ করেন। সুলতান গিয়াসুদ্দিন মাহমুদের মৃত্যুর পর সোলায়মান খাঁ নিজেকে সুলতানের উত্তরাধিকারি হিসেবে ঘোষণা দেন এবং সম্রাট শের শাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি স্বাধীনভাবে তার জমিদারি পরিচালনা শুরু করেন এবং তার জমিদারির প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল সরাইল। ১৫৪৫ সালে শের শাহের মৃত্যুর পর তার পুত্র ইসলাম শাহ দিল্লীর সিংহাসন লাভ করেন এবং সোলায়মান খাঁকে তার আনুগত্য মেনে নিতে বলেন। সোলায়মান খাঁ তা প্রত্যাখ্যান করলে ইসলাম শাহ তার দুই সেনাপতি তাজ খান কররানী ও দারিয়া খান কে যুদ্ধের জন্য পাঠান। যুদ্ধে সোলায়মান খাঁর পরাজয় হয় ও তিনি মৃত্যুবরন করেন। তার দুই পুত্র ইসা ও ইসমাইল কে বন্দি করে দাস হিসেবে ইরানি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। তারপর তাজ খান কররানী অধিকৃত এলাকার দখল লাভ করেন ও ইসা খাঁর চাচা কুতুব খানকে তার আদালতে নিয়োগ দেন। তিনি ইসা ও ইসমাইল কে ইরানি বণিকদের কাছ থেকে মুক্ত করেন। তারপর ইসা খাঁ তার চাচা কুতুব খানের সাহায্যে সরাইলের জমিদারী দখল করেন। ১৫৬৫ সালে তাজ খান কররানীর মৃত্যুর পর আফগান শাসকদের সাথে মিলে মোগল দের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১৫৮০ সালের দিকে তিনি তার প্রশাসনিক কেন্দ্র সরাইল থেকে স্থানান্তর করে সোনারগাঁতে নেন।[4][5] প্রাচীনকালে এটি ভাটি (জলাবদ্ধ নিম্ন ভাগ) অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৮৩০ সালের পূর্বে সরাইল পরগণা ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৩০ সালে সরাইল পরগনা ময়মনসিংহ হতে বিচ্ছিন্ন করে ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[6] ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্তে পরগনার পরিবর্তে জেলা ও মহকুমা ব্যাবস্থার প্রচলন করে। যার কারণে সরাইল পরগনা ভেঙ্গে দেয়া হয়। ১৮৬০ ত্রিপুরা জেলা ভেঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার সৃষ্টি করার পর সরাইল পরগনাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার সাথে যুক্ত করা হয়।[7]

প্রতিষ্ঠাকাল

১৯৯০ সালে সরাইল উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রশাসনিক এলাকা

সরাইল উপজেলায় বর্তমানে ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম সরাইল থানার আওতাধীন।

ইউনিয়নসমূহ:

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী সরাইল উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,১৫,২০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৫২,৩৮৯ জন এবং মহিলা ১,৬২,৮১৯ জন। মোট পরিবার ৫৮,৬২২টি।[2] জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৪৬৪ জন।[8]

শিক্ষা ব্যবস্থা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী সরাইল উপজেলার সাক্ষরতার হার ৪০.৯%।[2] অত্র এলাকার সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হল সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, যা ১৮৭১ সালে সরাইল এস্টেটের জমিদার রাজা রায় বাহাদুর অন্নদা প্রসাদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ১৯৪৪ সালে প্রফুল্ল চক্রবর্তী কর্তৃক স্থাপিত কালীকচ্ছ পাঠশালা (উচ্চ বিদ্যালয়), ১৯৭০ সালে স্থাপিত সরাইল কলেজ ও ১৯৫৩ সালে স্থাপিত সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।[9] এখানে রয়েছে -

  • সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৮১টি
  • বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৪৩টি
  • মহাবিদ্যালয় - ২ টি (সরাইল সরকারি কলেজ ও আব্দুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ)
  • কিন্ডারগার্টেন - ০৮টি
  • এবতেদায়ী মাদ্রাসা - ০৪টি
  • দাখিল মাদ্রাসা - ০২টি
  • উচ্চ বিদ্যালয় - ১৫টি

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সেবাদানের জন্য রয়েছেঃ

  • উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র - ১টি
  • পশু চিকিৎসা কেন্দ্র - ১টি
  • দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র - টি
  • কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র - ১টি

কৃষি

এখানকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষক।

  • প্রধান ফসলঃ ধান, গম, পাট, সরিষা, আলু ও নানা রকম শাক-সবজি।
  • লুপ্ত বা লুপ্ত প্রায় শস্যাদিঃ কাউন, আউশ ও আমন ধান, পাট ও আড়হর ডাল।
  • প্রধান ফলঃ কলা, কাঁঠাল, আম, জাম।

অর্থনীতি

এ উপজেলার প্রায় ৬৮% লোক কৃষিজীবি, ৭% লোক মৎস্যজীবি এবং বাকি ২৫% বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে আছেন। এ অঞ্চলে প্রবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

  • কুটির শিল্প - মৃৎ শিল্প, সূচী-শিল্প।
  • রপ্তানি পণ্য - শাক-সবজি

এখানকার কলকারখানার মধ্যে রয়েছে - ময়দাকল, বরফকল, ইটভাটা, ওয়েল্ডিং কারখানা প্রভৃতি।

প্রাকৃতিক সম্পদ

সরাইলের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস। ২০১৬ সালের ১৮ই জুলাই বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) এর অধীনে সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকায় তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ২৪ নং কূপের খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। আগামী বছরে এ কূপের খনন কাজ শেষ হলে দৈনিক ২০-২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।[10]

যোগাযোগ ব্যবস্থা

  • সড়ক পথ : পাকা ও আধাপাকা - ১১৫.৫ কিলোমিটার। দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে রোড সরাইলকে অন্যান্য জেলার সাথে যুক্ত করেছে, এর একটি হল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, যা এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক এর অংশ এবং অন্যটি হল কুমিল্লা সিলেট মহাসড়ক। এ দুটি মহাসড়ক সরাইলের বিশ্বরোডে এসে মিলিত হয়েছে।[11][12]
  • নৌপথ - নৌপথে যোগাযোগের জন্য এখানে রয়েছে মেঘনা ও তিতাস নদী এবং আকাশি বিল ও শাপলা বিল। নৌপথের দৈর্ঘ্য - ১৪ নটিক্যাল মাইল

পত্র-পত্রিকা

সরাইলের স্থানীয় পত্রিকা সমূহ -

  • সাপ্তাহিক পরগণা
  • সরাইল বার্তা
  • পাক্ষিক বাতায়ন
  • শ্বাশত সরাইল (ত্রৈমাসিক)
  • সরাইল যুগে যুগে

কৃতি ব্যক্তিত্ব

  • অখিলচন্দ্র নন্দী ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।
  • আবদুস সাত্তার ভূঞা – রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবি।
  • আহমদ রফিক – কবি ও গবেষক।
  • ঈসা খান - বারো ভুঁইয়া দের অন্যতম ঈসা খাঁর জন্ম ১৫২৯ সালে সরাইল পরগনায়।
  • উল্লাসকর দত্ত ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিপ্লবী।
  • তাহেরউদ্দিন ঠাকুর – রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক।
  • নুরুল আমিন – পাকিস্তানের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের একমাত্র উপ-রাষ্ট্রপতি।
  • প্রবোধচন্দ্র সেন – ছন্দবিশারদ।[13]
  • রবীন্দ্রমোহন নাগ ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।[14]
  • দ্বিজ কালিদাস - লেখক,কলকাতার বেথুন স্কুলের প্রধান শিক্ষক,কৃষিবিদ,ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি উল্লাসকর দত্তের পিতা ও সাধক আনন্দ স্বামীর জামাতা।[15]
  • দেওয়ান মাহবুব আলী (কুতুব মিয়া) - মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক [16][17]
  • সৈয়দ আকবর হোসেন (বকুল মিয়া) (১৯৩৫-১৯৭১) - শহীদ বুদ্ধিজিবী [18]
  • শেখ আবু হামেদ (১৯২৮-২০১৪) - ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ইতিহাসবিদ। ১৯২৮ সালের ১৮ই মে সরাইলের নোয়াগাও ইউনিয়নের আঁখিতারা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।[19] ১৯৫৩ সালে সরাইল কালচারাল এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন সরাইল কলেজ, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরাইল থানা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা।[9]
  • ডক্টর অবিনাশ চন্দ্র সেন - অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রাপ্ত,দানবীর
  • পায়েল ঠাকুর - ইতালীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা [20]
  • হাবিবুর রহমান মিলন (১৯৩৯-২০১৫) - ২০১২ সালের একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক।[21]
  • আহমেদুর রহমান (১৯৩৩-১৯৬৫)- সরাইলের উচালিয়াপাড়াতে জন্ম। ইত্তেফাকের খ্যাতিমান সাংবাদিক, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলনের বড় ভাই, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যেদের একজন। ১৯৬৫ সালের ২০ মে কায়রোতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত।[22][23]
  • আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী মাওলানা কাজী মাসুদুর রহমান[24] - সাবেক রাষ্ট্রপতির ইমাম:- বঙ্গভবন জামে মসজিদ[25], সম্মানিত প্রধান মুয়াযযিন:- জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম[26][27], মূল ক্বারী, প্রধান মুকাব্বির ও উপস্থাপক:-জাতীয় ঈদগাহ[28], গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের) ধর্ম গ্রন্ত পাঠক। ইসলামিক আলোচক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান গ্রন্তনা ও উপস্থাপক:-বাংলাদেশ বেতার এবং টেলিভিশন[24][26]
  • আনন্দ চন্দ্র নন্দী - সঙ্গীতজ্ঞ ও সাধক। সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নে জন্ম। আনন্দস্বামী নামে সুপরিচিত।
  • মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দী (১৮৫৩-১৯৩২)- একাধারে প্রখ্যাত ডাক্তার,শিল্প উদ্যোক্তা ও সাধক। সাধক আনন্দ চন্দ্র নন্দীর পুত্র।[29][30][31]
  • নরেন্দ্রচন্দ্র দত্ত (১৮৭৮-১৯৬২) - কালিকচ্ছ ইউনিয়নে জন্ম। প্রখ্যাত ব্যাংকার,ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা।[32]
  • সুধীর দাস - কবি। কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে জন্ম।[33]
  • অমিতাভ নন্দী (-২০১৪) - কালিকচ্ছ ইউনিয়নে জন্ম। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সিপিএম এর নেতা।
  • পবিত্র কর - কালিকচ্ছ ইউনিয়নে জন্ম। ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার।[34]
  • প্রভাত চন্দ্র সেন - চিত্রশিল্পি। কালিকচ্ছ ইউনিয়নে জন্ম।[35]

মুক্তিযুদ্ধে সরাইল

১৯৭১ সালের ৫ মে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে শাহবাজপুর পাকসেনা ক্যাম্পে ৯ জন পাকসেনা নিহত হয়। সরাইলের কালীকচ্ছ বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের মাইন বিস্ফোরণে দুটি গাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পাকবাহিনীর কয়েকজন অফিসার ও সরাইলের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান নিহত হন। ১৯৭১ সালে সরাইল উপজেলার বিটঘরে ৭০ জন লোক পাকবাহিনীর হাতে নিহত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে এখানে ৩ টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে - বিটঘর স্মৃতিস্তম্ভ, সরাইল ডিগ্রি কলেজ মাঠের স্মৃতিস্তম্ভ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শেখ মেজবাহউদ্দিন স্মৃতিস্তম্ভ। তাছাড়া স্মৃতিসৌধ রয়েছে ৪ টি - অাঁখিতারা স্মৃতিসৌধ, নোয়াগাঁও স্মৃতিসৌধ, কালীকচ্ছ-বারিউড়া সড়ক স্মৃতিসৌধ, শাহবাজপুর ইউপি অফিস স্মৃতিসৌধ।[36]

দর্শনীয় এবং উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা

আড়িফাইল মসজিদ
হাতিরপুল
পড়ন্ত বিকেলে সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি
  • আড়িফাইল মসজিদ - সরাইল উপজেলা সদরের প্রায় ১ কি.মি. পশ্চিমে দক্ষিণ আরিফাইল গ্রামে অবস্থিত। এটি ১৬৬২ খ্রিষ্টাব্দে মুঘল আমলে নির্মিত হয়। দরবেশ শাহ আরিফ কর্তৃক মসজিদটি নির্মিত হয় বলে ধারণা করা হয়। মসজিদটি আয়তাকার এবং এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ২৪.৩৮ মি x ৯.৩০ মি। মসজিদটি ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্বিক অধিদপ্তরের অধীন এই মসজিদটি প্রত্ন সম্পদ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। এটির স্থাপত্যশৈলী অনন্য। মসজিদের পাশেই রয়েছে জোড়া কবর। এর পাশে সাগরদিঘী নামে একটি বিশাল পুকুর রয়েছে।[37][38]
  • হাতিরপুল - সরাইল উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন বারিউড়া নামক স্থানে অবস্থিত। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত। দেওয়ান শাহবাজ আলী সরাইলের দেওয়ান থাকা অবস্থায় ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন বলে ধারণা করা হয়। দেওয়ানরা হাতির পিঠে করে চলাচল করতো এবং পুলটির গোড়ায় হাতি নিয়ে বিশ্রাম নেয়া হতো বলে এটিকে হাতির পুল নামে অভিহিত করা হয়।
  • সরাইল শাহী জামে মসজিদ - ১৬৭০ খ্রিষ্টাব্দে মুঘল আমলে প্রতিষ্ঠিত। সরাইল বিকাল বাজারে অবস্থিত।
  • হাটখোলা মসজিদ (আরফান নেছার মসজিদ) - সরাইল উপজেলা চত্বরের নিকটে অবস্থিত। সরাইলের দেওয়ান নূর মোহাম্মদের স্ত্রী আরফান নেছা কর্তৃক ১৬৬২ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত। ভিন্নমত রয়েছে যে মজলিশ শাহরাজের পুত্র নূর মোহাম্মদ কর্তৃক ১০৭৩ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মিত হয় বলে জানা যায়।
  • অরুয়াইল নদীঘাট - সরাইলের অরুয়াইল ইউনিয়নে অবস্থিত। নৌকা তৈরির জন্য বিখ্যাত।
  • ধরন্তী - সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়ন অবস্থিত। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়ক যাওয়ার পথে অবস্থিত। ঈদের সময় ব্যাপক লোকসমাগম হয়। বর্ষাকালে সড়কের দুই পাশের বিল পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে এবং আশেপাশের এলাকার পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পর্যটকদের কাছে 'মিনি কক্সবাজার' নামে পরিচিত। বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত ছয়মাস পানিতে পরিপূর্ণ থাকে এই হাওর। বাকি সময় ধান চাষ করা হয়।[39][40]
  • আয়েত উল্লাহ শাহ এর মাজার - এটি সরাইলের পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামে অবস্থিত।
  • শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বাবাজীর মন্দির - সরাইলের পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামে অবস্থিত।
  • মুক্তিযোদ্ধে নিহত ৭১ জন শহীদের নামে নির্মিত স্মৃতিসৌধ - সরাইলের পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামে অবস্থিত।
  • কালিকচ্ছ দয়াময় আনন্দধাম - সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নে অবস্থিত।
  • দেওয়ান শাহবাজ এর ঐতিহাসিক কুপ - সরাইলের শাহবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।
  • সেন বাড়ি - সরাইলের চূন্টা ইউনিয়নে অবস্থিত।
  • প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির - সরাইলের চুন্টা ইউনিয়নে অবস্থিত।
  • বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর - ১৯৭৮ সালের ৩০ এপ্রিল কালীকচ্ছ ইউনিয়নে তৎকালীন বিডিআর ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারি এখানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর উদ্ভোধন করা হয়।[41][42][43]
  • ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন অর্কিড প্রজেক্ট - শাহবাজপুরে অবস্থিত।[44][45]
  • হরষপুর জমিদার বাড়ি

উল্লেখযোগ্য প্রাণী

  • গ্রে-হাউন্ড কুকুর - সরাইলের গ্রে-হাউন্ড কুকুর এক ধরনের শিকারি জাতের কুকুর। স্থানীয়ভাবে হাউন্ড কুকুর নামেও পরিচিত,তাছাড়া দেশব্যাপী 'সরাইলের কুকুর' নামেও সুপরিচিত। শিকারি বৈশিষ্ট্যের জন্য এই কুকুর দেশে-বিদেশে বিখ্যাত। সরাইল গ্রে-হাউন্ডের লেজ নিচের দিকে ঝুলে এবং লেজটি চিকন হয়। গ্রে-হাউন্ড জাতের কুকুরের কান ও লেজ লম্বা হয়। এদের মুখটা লম্বাটে ধরনের হয় ও গায়ে ডোরাকাটা দাগ রয়েছে। অন্যান্য প্রজাতির কুকুরের মত এটা আহ্লাদি নয়। এই কুকুর অত্যন্ত হিংস্র, এর নজর তীক্ষ ও দ্রুত দৌড়াতে পারে। এই জাতের পুরুষ কুকুরের উচ্চতা হয় ২৫-২৮ ইঞ্চি এবং ওজন ২৩-৩৩ কেজি আর নারী কুকুরের উচ্চতা হয় ২৩-২৬ ইঞ্চি এবং ওজন ১৮-২৮ কেজি। প্রতি ঘন্টায় এই কুকুর প্রায় ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়াতে পারে। এই কুকুর গড়ে ৮-১৪ বছর বাঁচে। এই কুকুরের রং দুই ধরনের হয় বাদামী-সাদা ও সাদা-কালো। ধারণা করা হয় মধ্যপ্রাচ্যের বণিকদের সাথে আনা আরবি জাতের কুকুর, যেমন সাইট হাউন্ড,সালুকি,আফগানি হাউন্ড এর সাথে ব্রিটিশদের গ্রে হাউন্ড এর সংমিশ্রণে এক জাতের কুকুরের উৎপত্তি হয় এবং সরাইলের এক দেওয়ান এজাতের কুকুর নিয়ে আসেন, তারপর বুনো জাতের কুকুরের সাথে মিলনে সরাইল হাউন্ডের উৎপত্তি [46]। এর উৎপত্তি নিয়ে আরও কয়েকটি কিংবদন্তি রয়েছে, যেমন - সরাইলের এক দেওয়ান হাতি নিয়ে সরাইল পরগনা থেকে ভারতের কলকাতা যাচ্ছিলেন। পথে একটি কুকুর দেখে তার অনেক পছন্দ হয়, কিন্তু কুকুরের মালিক (মতান্তরে ইংরেজ) এটি কিছুতেই বিক্রি করতে চাননি। তারপর দেওয়ান নিজের হাতির বিনিময়ে মালিকের কাছ থেকে কুকুরটি কিনে নেন। পরে কুকুরটি শিয়ালের সঙ্গে মিলন করে, যার ফলে সৃষ্টি বর্তমান এই জাতের কুকুরের। তাছাড়া আরও জনশ্রুতি আছে যে, সরাইলের এক দেওয়ান হাতি নিয়ে শিকারের জন্য বনে যান। সঙ্গে ছিল তার মাদী কুকুর। তারপর কুকুরটি বনে হারিয়ে যায়। কুকুরটি বনে বাঘের সঙ্গে মিলন করে এবং বাঘের সঙ্গে মিলনের ফলেই এই গ্রে-হাউন্ড কুকুরের উৎপত্তি [47]। গবেষকদের মতে এরাবিয়ান শিকারি কুকুর,ইংরেজ গ্রে-হাউন্ড ও দেশি বন্য কুকুরের মিশ্রণে এই জাতের কুকুরের উৎপত্তি [48]

বর্তমানে সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চৌরাগোদা গ্রামের তপন পাল রবিদাস ও তার পরিবার এই জাতের কুকুর লালন পালন করেন এবং বিক্রি করেন। সমগ্র ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় শুধুমাত্র তাদের পরিবারেই এ জাতের কুকুরের সংরক্ষন ও প্রজনন করা হয়। বর্তমানে কুকুরের বাচ্চা ২০-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় [49]। তপন পাল রবিদাসের ভাষ্যমতে, শত বছর আগে তৎকালীন জমিদার দেওয়ান মনোয়ার আলি তার দাদা কালি চরন রবি দাসকে দুটি হাউন্ড কুকুর দিয়েছিলেন [50]

অন্যান্য কুকুরের তুলনায় এই জাতের কুকুর শিকারের জন্য ঘ্রানশক্তির বদলে দৃষ্টিশক্তি বেশি ব্যবহার করে। জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানীর দুটি সরাইল হাউন্ড ছিল [51][52]। র‌্যাব ও পুলিশের ডগ স্কোয়াডে এই কুকুর যোগ করা হয়েছে [53][54]

সংরক্ষন - ডঃ শাহজাহান ঠাকুর নামে একজন গবেষক ২০০১ সালে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সরাইলের কুকুর প্রজনন ও সংরক্ষনের চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি। ২০০৬ সালে ঢাকার ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী নামক একজন পশুপ্রেমিক এই জাতের কুকুর সংরক্ষনের জন্য ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দা সরাইল হাউন্ড প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিও সফলতা লাভ করতে পারেননি। ২০০৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য এড: মো: জিয়াউল হক মৃধা এই কুকুরের সংরক্ষনের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে চিঠি পাঠান এবং সংসদে বক্তব্য রাখেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি। পরবর্তীতে র‌্যাব-৯ এর মেজর মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ট্রেনিং এর জন্য ৪ টি কুকুর সংগ্রহ করেন। উন্নত জাতের কুকুরের বংশ সংরক্ষণ, প্রজনন ও চিকিৎসাসেবার জন্য ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত 'বাংলাদেশ কেনেল ক্লাব' বর্তমানে এই জাতের কুকুরের বংশবৃদ্ধি ও সংরক্ষনের চেষ্টা করছে [46][55]

  • হাচলি/হাঁসলি/আসলি/আসিল মোরগ -

সরাইল মোরগ লড়াইয়ের জন্য বিখ্যাত। এই মোরগ লড়াইয়ে ব্যবহার করা হয় 'হাচলি মোরগ' যা শক্তিশালী দৈহিক গঠনের জন্য বিখ্যাত। এটি 'আসলি' বা আসিল নামেও উচ্চারন করা হয়। 'আসিল' শব্দের অর্থ আসল। 'আসিল মোরগ লড়াই' এর অর্থ 'আসল মোরগ লড়াই'।[56] কিংবদন্তি অনুসারে সরাইলের দেওয়ানরা ৪০০ বছর আগে ইরান থেকে এই জাতের মোরগ এনেছিল। আবার অনেকের মতে মুঘল আমলে ভারতের রায় বেরেলি থেকে এ জাতের মোরগ আনা হয় [57][58]। ‘সরাইল মিতালী শৌখিন আসিল মোরগ সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন সরাইলে মোরগ লড়াইয়ের আয়োজন করে থাকে।[59]

বিবিধ

এনজিও ব্রাক, আশা, গ্রামীন ব্যাংক সক্রিয় এনজিওদের মধ্যে অন্যতম।

হাট-বাজার ও মেলা

সরাইলের আলিনগর গ্রামের বৈশাখী মেলা

সরাইলের প্রধান বাজারগুলি হল -

  • সরাইল প্রাতঃ (সকাল) বাজার
  • সরাইল বিকাল বাজার
  • সরাইল গরু বাজার
  • পানিশ্বর বাজার
  • অরুয়াইল বাজার
  • কালিকচ্ছ বাজার
  • শাহবাজপুর বাজার
  • দেওড়া বাজার
মেলা
  • সরাইল প্রাত বাজার মেলা (প্রতিবছর সাববাড়ির সম্মুখে অনুষ্ঠিত হয়)
  • সরাইল বিকাল বাজার মেলা
  • আলীনগর মেলা
  • বাঘাচাঁন মিয়ার মেলা - শাহবাজপুর

জনপ্রতিনিধি

সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[60] সংসদ সদস্য[61][62][63][64][65] রাজনৈতিক দল
২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সরাইল উপজেলা এবং আশুগঞ্জ উপজেলা আবদুস সাত্তার ভূঞা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

আরও দেখুন

আরও পড়ুন

  • বিল্লাহ, শাহ মুহাম্মদ মুতাসিম, মুক্তিযুদ্ধে সরাইল থানা, ঢাকা: পারিজাত প্রকাশনী
  • ঠাকুর, শাজাহান, সরাইল পরগনার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা, ঢাকা: সাহিত্য বিলাস
  • আবু হামেদ, শেখ, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তিতাস পাড়ের স্মৃতি
  • তফসির, তৌফিক আহমেদ, সরাইলের ইতিবৃত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

তথ্যসূত্র

  1. "এক নজরে সরাইল"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯
  3. "সরাইল উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। মো. আজাদ উদ্দিন ঠাকুর। সংগ্রহের তারিখ ০৭ অক্টোবর ২০১৬ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. http://sarail.brahmanbaria.gov.bd/node/578626/সরাইল-উপজেলার-পটভূমি
  5. "Isa Khan - Banglapedia"en.banglapedia.org
  6. http://bn.banglapedia.org/index.php?title=ব্রাহ্মণবাড়ীয়া_জেলা
  7. Ittefaq, The Daily। "সঙ্গীতের তীর্থভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া :: দৈনিক ইত্তেফাক"archive.ittefaq.com.bd
  8. "ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য উপাত্ত" (PDF)web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯
  9. Bhorerkagoj। "জন্মবার্ষিকী : স্বাধীনতা সংগ্রামী শিক্ষাব্রতী শেখ আবু হামেদ"www.bhorerkagoj.net
  10. "চার মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস"বাংলা ট্রিবিউন। Dhaka, Bangladesh। July 18,2016। সংগ্রহের তারিখ 7 October,2016 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  11. "রোড মাস্টার প্ল্যান" (PDF)। বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সংগ্রহের তারিখ ০৭ অক্টোবর ২০১৬ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  12. সড়ক ও জনপথ বিভাগ
  13. http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8,_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0
  14. http://onlinebrahmanbaria.com/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE/
  15. জীবনী কোষ (ভারতীয় ঐতিহাসিক), চতুর্থ খণ্ড। কলিকাতা। 1939। পৃষ্ঠা 107। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য);
  16. http://sarail.brahmanbaria.gov.bd/node/578631/ভাষা-ও-সংষ্কৃতি
  17. Bhorerkagoj। "সরাইলের জন্য একটু ভালোবাসা"www.bhorerkagoj.net
  18. http://www.prothomalo.com/opinion/article/478030/সৈয়দ-আকবর-হোসেন
  19. http://www.channelionline.com/news/details/শেখ-আবু-হামেদ-যার-ঋণ-শোধ-হব/19135
  20. http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/2282/ইতালির-ছবিতে-বাংলার-নায়ক
  21. "সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলন আর নেই - bdnews24.com"bangla.bdnews24.com line feed character in |শিরোনাম= at position 37 (সাহায্য)
  22. http://www.comillarkagoj.com/details.php?id=26249
  23. http://titas24.com/সাংবাদিক-হাবিবুর-রহমানের/
  24. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম:। প্রকাশিত: মিরাজ রহমান, সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন ও ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ, জাতীয় মসজিদের অতীত ও বর্তমান। ২০১৮।
  25. আপন বিভাগ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, বঙ্গভবন (২০১০-২০১৩খ্রি:),: বঙ্গভবন''
  26. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ইউটিউব ডট কম, ২২ জানুয়ারি ২০১৭, সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২২
  27. ধর্ম মন্ত্রণালয়, জাতীয় মসজিদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম, ঢাকা-১০০০,(২০০৯খ্রি:চলমান),: জাতীয় মসজিদ''.
  28. ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মনোনীত, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম, ঢাকা-১০০০,(সুত্র নং-১৭৮৩/ইফাঃ সং/৫/৯৯/৩৯৫(২০): ২০১০ খ্রি),:সুত্র নং-১৮৩৫/ইফাঃসং/১/৯৭/ জাতীয় ঈদগাহেপ্রধান জামাআতের অনুমদিত তালিকা-তাং-০৮/০৯/২০১০খ্রি).
  29. প্রবাসী(দ্বিতীয় খণ্ড)। কলকাতা। 1932। পৃষ্ঠা ১২৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য);
  30. জীবনী কোষ (ভারতীয় ঐতিহাসিক), প্রথম খণ্ড। কলিকাতা। 1936। পৃষ্ঠা ১৭২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য);
  31. "সঙ্গীত সাধক মনোমোহন ও তাঁর গুরুকুল"। সংগ্রহের তারিখ 22 Oct,2016 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  32. Sengupta, Subhodh Chandra; Basu, Anjali, সম্পাদকগণ (জানুয়ারি ২০০২)। "নরেন্দ্রচন্দ্র দত্ত" [Narendra Chandra Dutta]Samsad Bangali Charitabhidhan (Bibliographical Dictionary) (Bengali ভাষায়)। Volume 1 (4th সংস্করণ)। Kolkata: Shishu Sahitya Samsad। পৃষ্ঠা 247–248। আইএসবিএন 81-85626-65-0।
  33. "কবি সূধীর দাস আর নেই"। সংগ্রহের তারিখ 24 Oct,2016 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  34. "ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে এগিয়ে যাবে"। 25 Aug,2014। সংগ্রহের তারিখ 24 Oct,2016 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  35. "Cultural diplomacy can strengthen India-Bangladesh relation, says MP Ziaul Haque"। Dhaka,Bangladesh। 26 March,2016। সংগ্রহের তারিখ 24 Oct,2016 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  36. http://bn.banglapedia.org/index.php?title=সরাইল_উপজেলা
  37. http://sarail.brahmanbaria.gov.bd/tourist_spot-দর্শনীয়-স্থান
  38. "Arifil Mosque - Banglapedia"en.banglapedia.org
  39. Ittefaq, The Daily। "'মিনি কক্সবাজার'-এ দর্শনার্থীদের ভিড় :: দৈনিক ইত্তেফাক"archive.ittefaq.com.bd
  40. http://www.banglatribune.com/lifestyle/news/121167/ব্রাহ্মণবাড়িয়া-প্রতিনিধি
  41. "Border Guard Bangladesh- - বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-"www.bgb.gov.bd
  42. http://sarail.brahmanbaria.gov.bd/node/1159722/বিজিবি
  43. http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/933424/গরু-আসা-বন্ধ-হলে-সীমান্তে-হত্যা-বন্ধ-হবে-বিজিবি
  44. (ECDS), Epsilon Consulting & Development Services। "Camellia Duncan Foundation Orchid Project - Duncan Brothers (Bangladesh) Limited"www.duncanbd.com
  45. http://www.prothomalo.com/economy/article/990988/দেশেই-অর্কিডের-বাণিজ্যিক-চাষ
  46. "PRIDE OF BRAHMANBARIA"। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
  47. "The Daily Janakantha"oldsite.dailyjanakantha.com
  48. "Sarail Hound leads to possible extinction"www.observerbd.com
  49. http://www.kalerkantho.com/print-edition/obak-prithibi/2014/05/16/84761
  50. "Sarail Hound leads to possible extinction"www.observerbd.com
  51. "The Last Sarail?"। ২৯ অক্টোবর ২০১১।
  52. http://dailynotunvor.com/?p=43168
  53. http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2014/05/15/84475
  54. http://archive.samakal.net/print_edition/details.php?news=17&view=archiev&y=2011&m=11&d=17&action=main&menu_type=&option=single&news_id=209342&pub_no=874&type=n
  55. http://www.bonikbarta.com/2014-08-30/news/details/12045.html
  56. Kantho, Kaler। "ক্রিকেটে আশার আলো - কালের কণ্ঠ"
  57. "Aslee Morog, born to fight"। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
  58. http://www.bonikbarta.com/2015-11-03/news/details/54227.html
  59. "- Kaler Kantho"www.kalerkantho.com
  60. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd
  61. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯
  62. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  63. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  64. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  65. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.