তিতাস উপজেলা

তিতাস উপজেলা কুমিল্লা জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি উপজেলা। মূলত পাকিস্তান আমলের থানাকে উপজেলায় উন্নতি করা হয়েছে। তিতাস একটি নবগঠিত প্রশাসনিক অঞ্চল। অর্থাৎ পার্শ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলার অংশ নিয়ে এই উপজেলা গঠন করা হয় ২০০৪ সালে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই উপজেলার প্রধান সরকারি কর্মকর্তা। [2]

তিতাস
উপজেলা
তিতাস
বাংলাদেশে তিতাস উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৮′ উত্তর ৯০°৪৭′ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাকুমিল্লা জেলা
আয়তন
  মোট১০৭.১৯ কিমি (৪১.৩৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[1]
  মোট১,৬৬,৪৫৭
  জনঘনত্ব১৬০০/কিমি (৪০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ১৯ ৯৪
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ইতিহাস

আশির দশকের শেষ দিকে দাউদকান্দি উপজেলার উত্তরাঞ্চলের অংশে পীর শাহবাজ নগর নামে আলাদা থানা করার দাবি উঠে। পরে ২০০৪ সালে তিতাস উপজেলা গঠন করা হয়। নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে দাউদকান্দি উপজেলা থেকে বিভক্ত হয়ে এই উপজেলা তৈরি করা হয়। ২০০৪ সালের ৩০ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে তিতাস উপজেলাকে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয় এবং ৪ এপ্রিল তা গেজেটে অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে বহমান তিতাস নদী থেকে উপজেলার নামকরণ করেন তৎকালীন মন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন

অবস্থান

তিতাস উপজেলা কুমিল্লা জেলার উত্তর-পশ্চিমে প্রায় শেষ প্রান্তে ২৩o৪০" পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। উপজেলার দক্ষিণ ও পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে কাঠালিয়া নদী প্রবাহিত। তিতাস উপজেলার উত্তরে হোমনা উপজেলা, পূর্বে মুরাদনগর উপজেলা, দক্ষিণে দাউদকান্দি উপজেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা উপজেলা অবস্থিত। কুমিল্লা সদর থেকে ৫৮ কি:মি: এবং ঢাকা থেকে ৫৫ কি:মি: দূরে তিতাস উপজেলার অবস্থান।

প্রশাসনিক এলাকা

তিতাস উপজেলায় বর্তমানে ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম তিতাস থানার আওতাধীন।

ইউনিয়নসমূহ:

স্থানীয় সরকার

২৫ জুন ২০১১ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিতাস উপজেলার স্থানীয় সরকারের গোড়াপত্তন হয়। ভোটারের সংখ্যা সর্বমোট ১ লাখ ৭ হাজার ৮শ ৬৩ ভোটারের যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬৯ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৫৭,৭৯৪। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন সদস্য থাকে। ৯টি ইউনিযনে চেয়ারম্যান সংখ্যা ৯জন এবং সদস্য সংখ্যা ১০৮জন। এর মধ্যে ২৭টি সদস্যপদ সংরক্ষিত।[3]

শিক্ষা ব্যবস্থা

২০০১ সালের হিসেব অনুযায়ী স্বাক্ষরতার হার ছিলো ৩৪%। তারপর থেকে স্বাক্ষরতার হার ব্যপক হারে বেড়েছে। উপজেলায় মহাবিদ্যালয় আছে ২টি,মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০ টি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫২ টি।

খেলা, বিনোদন ও প্রচার মাধ্যম

বাংলাদেশের বাকি অঞ্চলের মতো এখানেও ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। তাছাড়া প্রায় প্রতিবছর জেলা প্রশাসক ফুটবল গোল্ড কাপ অনুষ্ঠিত। অন্যান্য গ্রামীণ খেলাও অঞ্চলে বহুল প্রচলিত। উপজেলা থেকে প্রকাশিত একমাত্র পত্রিকা হলো সাপ্তাহিক কালান্তর

কৃতি ব্যক্তিত্ব

(সাবেক একান্ত সহকারী সচিব-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া)

দর্শনীয় স্থান

জনপ্রতিনিধি

সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[4] সংসদ সদস্য[5][6][7][8][9] রাজনৈতিক দল
২৫০ কুমিল্লা-২ তিতাস উপজেলা এবং হোমনা উপজেলা সেলিমা আহমাদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে তিতাস"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. ইউএনও, তিতাস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব
  3. তিতাসের ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন আজ
  4. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd
  5. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯
  6. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  7. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  8. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  9. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.