খন্দকার মোশাররফ হোসেন (কুমিল্লার রাজনীতিবিদ)

খন্দকার মোশাররফ হোসেন (জন্ম ১ অক্টোবর ১৯৪৬) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, ভূ-তত্ত্ব বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও লেখক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ও একজন সাবেক মন্ত্রী।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৯৯১  ১৯৯৬
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২০০১  ২০০৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1946-10-01) ১ অক্টোবর ১৯৪৬
গয়েশপুর, দাউদকান্দি, কুমিল্লা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দাম্পত্য সঙ্গীবিলকিস আখতার হোসেন
সন্তান
  • খন্দকার মাহবুব হোসেন
  • খন্দকার মারুফ হোসেন
  • মেহজাবিন খন্দকার
শিক্ষাপিএইচডি (ভূতত্ত্ব)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পেশাভূতত্ত্ববিদ এবং রাজনীতিবিদ
ওয়েবসাইটdrkhandakermosharraf.com

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১ অক্টোবর ১৯৪৬ সালে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খন্দকার আশরাফ আলী ও মাতা হোসনে আরা হাসনা হেনা।

১৯৬২ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি হাই স্কুল থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে ইম্পেরিয়াল কলেজ (তৎকালীন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন) থেকে আরেকটি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে। ১৯৭৪ সালে ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিআইসি লাভ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির লক্ষে তিনি ১৯৭১ সালে প্রবাসীদের সংগঠিত করেন এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন।

কর্মজীবন

শিক্ষকতা

তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব অনুষদে জুনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পর্যায়ক্রমে সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূ-তত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনীতি

১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আহ্বানে বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি কুমিল্লা (উত্তর) জেলা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। কুমিল্লা-২ আসন থেকে চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।[1][2][3][4]

১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৬ সালে স্বল্পমেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯১-১৯৯৬ মেয়াদে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে তিনি চার দলীয় জোট সরকারের সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন।

নির্বাচন

সাধারণ নির্বাচন নির্বাচনী এলাকা ভোট শতকরা রাজনৈতিক দল ফলাফল
২০০৮কুমিল্লা-১৯৬,৩৭৪৪৪.৭বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল২য়
২০০১কুমিল্লা-২১২৮,৬৮০৬০.৮বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলজয়ী[1]
১৯৯৬কুমিল্লা-২৬৯,১৭৫৪৪.০বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলজয়ী[2][3]
১৯৯১কুমিল্লা-২৫৭,৭০৬৫৭.৭বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলজয়ী[4]

পুরষ্কার ও সম্মাননা

২০০২ সালে ৫৬ তম বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ (ডব্লিউএইচএ) এর চেয়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশে তামাক বিরোধী প্রচারণায় অবদান রাখার জন্য তিনি ৫৭ তম ডব্লিউএইচএ এর সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার "ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো" পুরষ্কারে ভূষিত হন।

ভূ-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষনা ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তার জীবন বৃত্তান্ত “হু ইজ দি ওয়ার্ল্ড” কেমব্রিজ বায়োগ্রাফী জার্নাল এবং আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনিষ্টিউশন প্রকাশিত পুস্তকে অর্ন্তভুক্ত হযেছে। ভূ-তত্ত্ব বিষয়ে ষ্ট্রাকচারাল এ্যানালাইসিসে তার নতুন উদ্ভাবন `হুসেইন’স মেথড অব এক্সটেনশন' আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। তিনি নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর আব্দুস সালাম প্রতিষ্ঠিত আইসিটিটি এর এসোসিয়েট সদস্য এবং থার্ড ওয়ার্ল্ড একাডেমী অব সায়েন্স এর একজন ফেলো।

ব্যক্তিগত জীবন

তার স্ত্রীর নাম বিলকিস আখতার হোসেন। এই দম্পতীর তিন সন্তান আছে। দুই ছেলে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও খন্দকার মারুফ হোসেন এবং এক কন্যা মেহজাবিন হোসেন।

তথ্যসূত্র

  1. "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
  2. "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
  3. "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
  4. "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.