মাদারীপুর

মাদারীপুর বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর জেলার সদরদপ্তর ও জেলা শহর। কুমার নদীর উত্তরপাড়ে অবস্থিত এ শহর। মাদারীপুর শহর মাদারীপুর সদর উপজেলারও প্রশাসনিক সদরদপ্তর। ১৪.২২ বর্গকিলোমিটার আয়তন এবং ৬২,৬৯০ জন জনসংখ্যা বিশিষ্ট শহরটি মাদারীপুর পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়।

মাদারীপুর
পূর্বনাম :ইদিলপুর
পৌরশহরজেলা সদর
মাদারীপুর
বাংলাদেশে মাদারীপুর শহরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩.১৭০১৭০° উত্তর ৯০.১৯৬৭৩৬° পূর্ব / 23.170170; 90.196736
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলামাদারীপুর জেলা
সরকার
  ধরনপৌরসভা
  শাসকমাদারীপুর পৌরসভা
  পৌরমেয়রমোঃ খালিদ হোসেন ইয়াদ[1]
আয়তন
  মোট১৪.২২ কিমি (৫.৪৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
  মোট৬২,৬৯০
  জনঘনত্ব৪৪০০/কিমি (১১০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬)

নামকরণ

প্রখ্যাত সুফি সাধক কুতুব-ই-জাহান হযরত বদিউদ্দীন আহমেদ জিন্দা শাহ মাদার (রঃ) এর নাম অনুসারে মাদারীপুর অঞ্চলের নামকরণ করা হয়। শাহ মাদার (র.) ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সিরিয়া হতে সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসনকালে (১৩৫১-১৩৮৮খ্রি:) ভারতীয় উপমহাদেশে এসে এক পর্যায়ে বাংলায় আসেন। বঙ্গের নানা স্থানে ভ্রমণ করেন। চতুর্দশ শতাব্দীর কোনো এক সময়ে বঙ্গের বিভিন্ন স্থান ভ্রমনের এক পর্যায়ে তৎকালীন চন্দ্রদ্বীপের উত্তর সীমান্তে গভীর অরণ্যের যে স্থানটিতে তিনি ক্ষণিকের অতিথি হয়ে সহযাত্রীদের নিয়ে যাত্রা বিরতি বা বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন সে স্থানটিতে তার নামানুসারে হযরত শাহ মাদার (র) এর দরগাহ শরীফ নামকরণ করে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিক্রমপুরের জমিদার ভূমিহীন প্রজাদের পূনর্বাসনের লক্ষে চন্দ্রদ্বীপের স্মৃতিবিজড়িত ঐ স্থানটিকে কেন্দ্র করে সরকার মাদারণ বা মাদারণ অঞ্চল নামে আখ্যায়িত করে ফসলি জমি ও আবাসন গড়ে তুলেন। যা পরবর্তীতে নগরায়নে রুপ নিতে থাকে, নাম হয় মাদারণ গ্রাম-ইউনিয়ন। পর্যায়ক্রমে নগর সভ্যতার বিবর্তনের ফলে মাদারণ নাম থেকে ক্রমাগত বিবর্তনের মাধ্যমে মাদারীপুর নামটির সৃষ্টি হয়।[2]

ইতিহাস

প্রাচীনকাল

মাদারীপুর একটি ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদ। পঞ্চদশ শতাব্দীর সাধক হযরত বদরুদ্দিন শাহ্ মাদার(রঃ) এর নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বয়ে এসেছে আজকের এই মাদারীপুরের ইতিহাস। প্রাচীন কাল থেকে ইংরেজ আমলের পূর্ব পর্যন্ত অতি প্রাচীনকালে মাদারীপুরের নাম ছিল ইদিলপুর। ইদিলপুর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের একটি উন্নত জনপদ ছিল। তখন এ অঞ্চলের প্রশাসনিক নাম ছিল নাব্যমন্ডল। কোটালীপাড়া ছিল বাংলার সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে ইদিলপুর ও কোটালীপাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল।গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বে কোটালীপাড়া অঞ্চলে গঙ্গাঁরিডি জাতি স্বাধীনভাবে রাজত্ব করত। তারপর এ অঞ্চল (৩২০-৪৯৬ খ্রিঃ) গুপ্তরাজাদের অধীনে ছিল। বাংলার স্বাধীন শাসক রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশত বছর(৬৫০-৭৫০ খ্রিঃ) বাংলার ইতিহাস মাৎসায়ন নামে খ্যাত। ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গোপালকে রাজা নির্বাচিত করা হয়। পাল বংশ ৭৫০-১২২৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করে। চন্দ্রবংশ ও এগার শতকে স্বাধীনভাবে দক্ষিণবঙ্গের-পূর্ব বঙ্গ রাজত্ব করে। চন্দ্র বংশের শ্রীচন্দ্রের তাম্রশাসন রামপাল ইদিরপুর ও কেদারপুরে পাওয়া যায়। মাদারীপুর-শরীয়তপুর চন্দ্ররাজার অধীনে ছিল। সেন বংশ ১০৯৮ হতে ১২২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পূর্ব বাংলা শাসন করে। কোটালীপাড়া ও মদনপাড়ায় বিশ্বরূপ সেন এবং ইদিলপুরে কেশব সেনের তাম্রলিপি পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে মাদারীপুরের পূর্বাংশ ইদিলপুর এবং পশ্চিম অংশ কোটালীপাড়া নামে পরিচিত ছিল। সেন রাজাদের পতনের পর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। বরিশাল বিভাগ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জবাগেরহাট চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অধীনে ছিল। চতুর্দশ শতকে ফরিদপুর সুলতানদের শাসনাধীনে চলে যায়। ১২০৩ থেকে ১৫৭৫ সাল পর্যন্ত সুলতানগণ বাংলা শাসন করে। কিন্তু পূর্ববঙ্গে প্রায় একশ বছর সেন রাজত্ব চলে। সুলতান রুকনউদ্দীন বরবক শাহ (১৪৫৯-১৪৭৪ খ্রিঃ) প্রথম ফরিদপুর-চন্দ্রদ্বীপ দখল করেন। সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহ (১৪৮১-১৪৮৫ খ্রিঃ) ফরিদপুর ও চন্দ্রদ্বীপের একাংশ দখল করে ফতেহাবাদ পরগনা গঠন করেন। ফরিদপুর হল মাদারীপুরের প্রথম ঐতিহাসিক নাম। সুলতান হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিঃ) ফতেহাবাদের জনপ্রিয় শাসক ছিল। ১৫৩৮ হতে ১৫৬৩ সাল পর্যন্ত শেরশাহ ও তার বংশধরগণ বাংলা শাসন করেন। ১৫৬৪ সাল হতে ১৫৭৬ সাল পর্যন্ত কররানি বংশ বাংলার রাজত্ব করে তারপর ১৫৭৬ সাল হতে ১৬১১ সাল পর্যন্ত বারভূঁইয়ার অধীনে ছিল বাংলা। বারভূঁইয়াদের অন্যতম ছিল ফরিদপুরের চাঁদ রায়, কেদার রায় এবং বাকলার রামচন্দ্র রায়। মোগল ও নবাবী শাসন চলে ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। তারপর বাংলা ইংরেজদের দখলে চলে যায়।

ব্রিটিশ আমল

১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহর পতনের মধ্যদিয়ে এদেশে ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত ঘটে। মূলত ১৭৬৫ থেকে ১৯৪৭ খ্রিঃ পর্যন্ত প্রায় দু’শ বছর ইংরেজরা বাংলা শাসন করে। ১৮৫৪ সালে মহকুমা ও থানা সৃষ্টি হলে ’মাদারীপুর’ নাম প্রশাসনিক স্বীকৃতি লাভ করে। ইংরেজ আমলে মাদারীপুর অনেক আন্দোলন সংগ্রামের তীর্থভূমি ছিল। বিখ্যাত ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজি শরিয়ত উল্লাহ’র (১৭৮১-১৮৪০) জন্ম মাদারীপুরে। তিনি ১৮২০ সাল থেকে ১৮৫০ সাল পর্যন্ত ধর্মীয় কুসংস্কার, নীলকর ও জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। শরিয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পর তাঁরই সুযোগ্য পুত্র দুদু মিয়া (১৮১৯-১৯৬২) ফরায়েজি আন্দোনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।

ইংরেজ আমলে উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মাদারীপুরের বিপ্লবীরা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। এ জেলার কৃতী সন্তান চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী ১৯১৫ সালে বালেশ্বর যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মৃত্যুবরণ করেন। বালেশ্বর যুদ্ধে নীরেন্দ্র নাথ দাশগুপ্ত ও মনোরঞ্চন সেনগুপ্ত বন্দী হন। বালেশ্বর জেলে তাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়।

পাকিস্তান আমল

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব বাংলার জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন ধীরে ধীরে ভাঙ্গতে শুরু করে। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার জনগণকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজেদের ক্ষমতা সংহত করার চেষ্টা চালায়। এ অঞ্চলের জনগণ সমস্ত শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন এবং উনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে মাদারীপুরের অধিবাসীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

 ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় মাদারীপুর শহর। এর আগে এ অঞ্চলের অন্যান্য স্থান শত্রু মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

১০ ডিসেম্বর সম্মুখযুদ্ধে পরাজিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী। সেই থেকে দিবসটি মাদারীপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযোদ্ধারা জানান, পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল প্রথম বিমান থেকে মাদারীপুরে গুলি বর্ষণ করে। ২৪ এপ্রিল সড়ক পথে শহরে এসে এ. আর. হাওলাদার জুট মিলে হানাদার ক্যাম্প স্থাপন করে। শুরু হয় মাদারীপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার। রাজাকার-আলবদরদের সহযোগিতায় মুক্তিকামী মানুষদের ধরে ধরে হত্যাযজ্ঞ চালায় হানাদার বাহিনী। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে গণকবর দেয় হানাদাররা। জানা গেছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে জেলার সবক’টি থানা মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে। এ কারণে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা জেলার এ. আর হাওলাদার জুট মিলের ভেতর এবং সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজে অবস্থান নেয়। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের চারদিকে থেকে ঘিরে রাখে। ৯ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী মাদারীপুর ছেড়ে ফরিদপুর চলে যাবে- এমন সংবাদ পেয়ে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ঘটকচর থেকে সমাদ্দার ব্রিজের পশ্চিমপাড় পর্যন্ত সড়কের চার কিলোমিটার জুড়ে অবস্থান নের মুক্তিযোদ্ধারা। ৯ ডিসেম্বর ভোর ৫টার দিকে পাক হানাদার বাহিনী গোলাবারুদ, অস্ত্র ও কনভয়সহ রাজাকার, আলবদর, আলসামস ও মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘটকচর ব্রিজ পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর আক্রমণ শুরু করেন। গ্রেনেড হামলা করতে গিয়ে হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হয় সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ১৪ বছর বয়সী সরোয়ার হোসেন বাচ্চু। তুমুলযুদ্ধ শেষে ১০ ডিসেম্বর বিকেলের সূর্য যখন পশ্চিম দিগন্তে হেলে পরে ঠিক সে সময় আত্মসমর্পণ করে পাক হানাদার বাহিনী। বিজয় পতাকা ওড়ে মাদারীপুর শহরে। এ যুদ্ধে ২০ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা আত্মসমর্পণকারীদের অস্ত্র-শস্ত্র জব্দ করে ১০ ডিসেম্বর সারা রাত সমাদ্দার ব্রিজ অবরোধ করে রাখেন। পরদিন ১১ ডিসেম্বর সকালে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কলাগাছিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে। ১২ ডিসেম্বর তাদের মাদারীপুরে এনে সাব-জেলে বন্দি করে রাখা হয়।  

স্বাধীন বাংলাদেশ

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আজ আমরা এখানে এসে পৌঁছেছি। মাদারীপুর ১৮৫৪ সালে মহকুমা হিসেবে ঘোষিত হলে এ শহর মহকুমা শহর হয়। সর্বপ্রথম ১৮৭৫ সালে এবং পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে মাদারীপুর পৌরসভা গঠিত হলে এই শহরটি পৌর শহরের মর্যাদা পায়। দীর্ঘদিন পর ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর মাদারীপুর জেলা শহর এবং জেলার সদর দপ্তর হিসেবে স্বীকৃতি পায়। [3]

ভূপ্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য

এ অঞ্চলে নারিকেল, সুপারি, খেজুর ও তালগাছ প্রচুর জন্মে। মাদারীপুরের খেঁজুরের গুড় খুবই বিখ্যাত।বন্য প্রানীদের মধ্যে রয়েছে-খেঁকশিয়াল, বাগডাসা, খাটাস, বেজি, গুইসাপ, রক্তচোষা, বাদুর ইত্যাদি। পাখিগুলো হচ্ছে- শঙ্খচিল, দাড়কাক, তিলাঘুঘু, কাঠঠোকরা, লক্ষ্মীপেঁচা, কানাকুয়া, ডাহুক, পানকৌড়ী, ভাতশালিক ইত্যাদি।এছাড়া চিতল, বোয়াল, পাবদা ও মাগুর সহ প্রায় ২০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। [4]

ভৌগোলিক উপাত্ত

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২.৬৮৫৯০০° উত্তর ৯০.৬৪৬১১৯° পূর্ব / 22.685900; 90.646119। যেহেতু শহরটি মূলত একটি দ্বীপে অবস্থিত তাই সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১ মিটার

জনসংখ্যা

বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী মাদারীপুর শহরের মোট জনসংখ্যা ৬২,৬৯০ জন যার মধ্যে ৩১,০৭০ জন পুরুষ এবং ৩১,৬২০ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ১০০:৯৮। [5]

প্রশাসন

এ শহরটি মাদারীপুর পৌরসভা নামক একটি স্থানীয় সরকার সংস্থা(পৌরসভা) দ্বারা পরিচালিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এবং ৩৩টি মহল্লায় বিভক্ত । ১৪.২২ বর্গ কি.মি. আয়তনের মাদারীপুর শহরের পুরোটাই মাদারীপুর পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়। এ পৌর শহরের নাগরিকদের পৌরসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করাই এ সংস্থার কাজ। [6]

তথ্যসূত্র

  1. "মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪
  2. বাশার মাহমুদ (২১ জুলাই ২০১৯)। "যাঁর নামে মাদারিপুর"। দৈনিক সুবর্ণগ্রাম (প্রকাশিত হয় ৭ ডিসেম্বর ২০১৭)।
  3. "পটভূমি"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৯
  4. "ভৌগোলিক পরিচিতি- জীববৈচিত্র্য"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৯
  5. "Urban Centers in Bangladesh"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (PDF) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৫: Urban Area Rport, 2011। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ২১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৩
  6. "এক নজরে পৌরসভা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.