ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহর, যা একই সাথে ঝিনাইদহ জেলা ও সদর উপজেলার প্রশাসনিক সদরদপ্তর। ঝিনাইদহ নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ঝিনাইদহ জেলার সবচেয়ে জনবহুল স্থান। এটি প্রশাসনিকভাবে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত। ঝিনাইদহের মোট আয়তন ৪৪.৩৩ বর্গকিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা ১১০,৫৪১ জন, যা একে দেশের ৪১তম বৃহৎ শহরের মর্যাদা দিয়েছে।[1] ঝিনাইদহ সড়ক ও রেল পথে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাথে যুক্ত। জাতীয় মহাসড়ক এন৭ এ শহরকে বাইপাস করে গেছে।

ঝিনাইদহ
শহর
পায়রা চত্বর
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাঝিনাইদহ জেলা
সরকার
  ধরনপৌরসভা
  শাসকঝিনাইদহ পৌরসভা
আয়তন
  মোট৪৪.৩৩ কিমি (১৭.১২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
  মোট১,১০,৫৪১
  জনঘনত্ব২৫০০/কিমি (৬৫০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬)

ইতিহাস

ঝিনাইদহের নামকরণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। কথিত আছে যে, ক্যালসিয়াম উৎপাদনের জন্য নবগঙ্গা নদী এবং দহা নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহের জন্য এই এলাকা বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। এই জেলার নাম ঝিনাইদাহ ঝিনুক এবং দাহ শব্দদয় থেকে নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়।

ঝিনাইদাহ যশোর জেলার একটি মহাকুমা। ঝিনাইদাহ জেলাটি ১৮৬২ সালে মহাকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি একটি পৃথক জেলা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদাহ জেলা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।

ভূগোল

ঝিনাইদহ রাজধানী ঢাকা থেকে পশ্চিমে, রাজশাহী থেকে দক্ষিণ-পূর্বে এবং খুলনা থেকে উত্তরে, ২৩º২৬΄ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩º৩৬΄ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮º৫৭΄ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯º২০΄ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ৪৪.৩৩ বর্গকিলোমিটার।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী সিরাজগঞ্জ শহরের মোট জনসংখ্যা ১১০,৫৪১ জন।[2] যার মধ্যে ৫৬৩৮৯ জন পুরুষ এবং ৫৪১৫২ জন নারী। এ শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৪৯৪ জন মানুষ বসবাস করে। নারী পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০০ঃ১০৪ এবং শিক্ষার হার ৬৭.২%(৭ বছরের উর্দ্ধে)। শহরের মোট খানা রয়েছে ২৫৯৬৩টি।

তথ্যসূত্র

  1. "23: Area, Household, Population and Literacy Rate of the Cities, 2011"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা XI। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  2. "4.1.16 Jhenaidah"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (PDF) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ৭০। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.