ভোলা জেলা

ভোলা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর পূর্বের নাম দক্ষিণ শাহবাজপুর।[2]

ভোলা, বাংলাদেশ
জেলা
বাংলাদেশে ভোলা জেলার অবস্থান
ভোলা, বাংলাদেশ
ভোলা, বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ভোলা জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৪১′২৫″ উত্তর ৯০°৩৯′৯″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
আয়তন
  মোট৩৪০৩.৪৮ কিমি (১৩১৪.০৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট১৭,৭৬,৭৯৫
  জনঘনত্ব৫২০/কিমি (১৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট২১.৪৭%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ০৯
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান ও আয়তন

বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ জেলা ভোলা। জেলা প্রশাসন যাকে কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ বলে ঘোষণা করে। ভোলা জেলার উত্তরে বরিশাল জেলামেঘনা নদী, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে নোয়াখালীলক্ষ্মীপুর জেলামেঘনা নদী এবং পশ্চিমে বরিশালপটুয়াখালী জেলাতেঁতুলিয়া নদী। এর মোট আয়তন ৩৪০৩.৪৮ বর্গকিলোমিটার।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

  1. ভোলা সদর উপজেলা
  2. তজুমদ্দিন উপজেলা
  3. দৌলতখান উপজেলা
  4. বোরহানউদ্দিন উপজেলা
  5. মনপুরা উপজেলা
  6. লালমোহন উপজেলা
  7. চরফ্যাশন উপজেলা

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভোলা জেলার মোট জনসংখ্যা ১৭,৭৬,৭৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৮৪,০৬৯ জন এবং মহিলা ৮,৯২,৭২৬ জন। মোট পরিবার ৩,৭২,৭২৩টি।[3]

শিক্ষা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভোলা জেলার সাক্ষরতার হার ৪৩.২%।[3]

চিত্তাকর্ষক স্থান

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ভোলা শহর ঢাকা থেকে নদী পথে দূরত্ব ১৯৫ কি.মি.। সড়কপথে বরিশাল হয়ে দূরত্ব ২৪৭ কি.মি. এবং লক্ষীপুর হয়ে দূরত্ব ২৪০কি.মি.।ভোলার সাথে অন্য কোন জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই।অন্য জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যাবস্থা সচল রাখার জন্য ভোলাবাসীকে লঞ্চ,স্পিড বোট এবং ফেরীর উপর নির্ভর করতে হয়।

বিবিধ

দেশের দক্ষিণে বঙ্গপোসাগর এবং দেশের সর্ব বৃহৎ নদী মেঘনার কুল ঘেসে অবস্থিত একটি জেলা। যার সাথে কোনো জেলার সড়ক যোগাযোগ পথ নেই। প্রশ্ন উঠতে পারে "তাহলে ভোলা কি চর ?" না, ভোলা কোন চর নয়।

দেশের সর্ব বৃহৎ দ্বীপ ভোলা এবং শুধু দ্বীপ নয় ভোলা দেশের সুসজ্জিত একটি জেলা।

ভোলা দেশের একমাত্র জেলা যে জেলার কোনো আঞ্চলিক ভাষা নেই। ভোলার মানুষ সব ধরনের ভাষায় সহজেই কথা বলতে পারে। ভোলা'ই দেশের একমাত্র জেলা যে জেলার মানুষ সবচেয়ে অতিথি পরায়ণ।

দেশের সিংহ ভাগ ইলিশের চাহিদা মেটাতে ভোলা থেকেই সরবরাহ করা হয় রুপালি ইলিশ,জাতীয় গ্রিডের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ভোলা থেকেই। গ্রিডে নতুন সরবরাহ ২২৫ মেগাওয়াট শক্তি সম্পন্ন বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে ভোলায়। আছে দেশের ১২ তম সরকারি পলিটেকনিক ভোলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।দক্ষিণ বাঙলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীট ভোলা সরকারি কলেজ। দেশের প্রায় অর্ধ ভাগ গ্যাস সরবরাহ করা হয় ভোলা থেকে।

ভোলার বিখ্যাত মহিষের দুধের টক দধি বিখ্যাত। সুপারি এবং মিষ্টির জন্য বিখ্যাত ভোলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য "কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ"খেতাবটি এই জেলার দখলেই। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার ভোলার দ্বীপে।

নদী পথে শান্তির বাহন বিলাশবহুল লঞ্চ গুলো ভোলার মানুষের গর্ব।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (জুন, ২০১৪)। "Population Census 2011 (Barisal & Chittagong)" (PDF)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. জেলা, ভোলা। "এক নজরে ভোলা জেলা"ভোলা জেলা। ২৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৬
  3. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯

[1]

বহিঃসংযোগ


  1. "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.