তোফায়েল আহমেদ
তোফায়েল আহমেদ (জন্ম: ২২ অক্টোবর ১৯৪৩) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি পাঁচ দফা জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদের একজন সদস্য এবং তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[1][2][3]
তোফায়েল আহমেদ | |
---|---|
জন্ম | ২২ অক্টোবর, ১৯৪৩ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | রাজনীতিবিদ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আনোয়ারা বেগম |
সন্তান | তাসলিমা আহমেদ জামান মুন্নী (একমাত্র সন্তান) |
পিতা-মাতা | আজহার আলী (পিতা) ফাতেমা খানম (মাতা) |
জীবন ও শিক্ষা
তোফায়েল আহমেদের জন্ম ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের ২২ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে। পিতা মৌলভী আজহার আলী, মা ফাতেমা বেগম। ১৯৬০ সালে ভোলা সরকারি হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে আইএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে এমএসসি।[1][4]
রাজনৈতিক জীবন
১৯৬৬-৬৭ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমানে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন। ১৯৬৮-৬৯-এ গণজাগরণ ও ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন তিনি ডাকসুর ভিপি হিসেবে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় লাভ করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুজিব বাহিনীর অঞ্চল ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন ছিলেন।[2][5][6][7]
রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরবর্তীকালে ১৪ জানুয়ারি ১৯৭২ তারিখে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬,২০০৮ ও ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৮ পর্যন্ত।[5][8]
পারিবারিক জীবন
তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৪ সালে দনিয়াস্থ আলহাজ মফিজুল হক তালুকদারের জ্যেষ্ঠ কন্যা আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে তিনি পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। সংসারজীবনে এক কন্যাসন্তানের জনক। কন্যা তাসলিমা আহমেদ জামান মুন্নী চিকিৎসক। জামাতা তৌহিদুজ্জামান তুহিন বর্তমানে স্কয়ার হসপিটালে কর্মরত কার্ডিওলজিস্ট।[1]
তথ্যসূত্র
- "আজ তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন"। Jugantor। ২০১৯-১০-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২২।
- "তোফায়েল আহমেদ"। প্রিয়.কম।
- "শুভ জন্মদিন জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ"। www.dainikamadershomoy.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২২।
- "ভোলা জেলা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২০১৯-১০-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২২।
- তোফায়েল আহমেদ (২০১৭)। ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু। ঢাকা, বাংলাদেশ: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৭৮।
- "'৬৯ না এলে আমি তোফায়েল আহমেদ হতে পারতাম না' | banglatribune.com"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২২।
- "'বঙ্গবন্ধু' উপাধির ৫০ বছর পূর্তিতে যা বললেন তোফায়েল আহমেদ"। Sarabangla.net | Bangladesh newspaper | Bangla | Breaking News | Sports | Entertainment (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২২।
- BanglaNews24.com। "বাংলাদেশের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস | তোফায়েল আহমেদ"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২২।