নলিনী দাস
নলিনী দাস (ইংরেজি: Nalini Das) (১ জানুয়ারি ১৯১০ - ১৯ জুন, ১৯৮২) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। ১৯২৯ সনে মেছুয়াবাজার বোমার মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি আত্মগোপন করেন। পলাতক অবস্থায় ১৯৩০ সনে কলকাতার পুলিস কমিশনার চার্লস টেগার্ট সাহেবকে হত্যা-প্রচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হন। তার রচিত স্বাধীনতা সংগ্রামে দ্বীপান্তরের বন্দী গ্রন্থে তার দীর্ঘ ২৩ বছরের কারাবাস এবং ২০-২১ বছরের পলাতক জীবনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কিছু পরিচয় পাওয়া যায়।[1]
নলিনী দাস | |
---|---|
জন্ম | ১ জানুয়ারি ১৯১০ |
মৃত্যু | ১৯ জুন, ১৯৮২ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
জন্ম
নলিনী দাসের জন্ম ভোলা জেলার সাহবাজপুরে। তার পিতার নাম দুর্গামোহন দাস। শিক্ষাজীবন ভোলাতে শুরু। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় হরতাল ধর্মঘটে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন। ১৯২৮ সালে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে বরিশাল বি. এম. কলেজে আই.এস.সি. ক্লাসে ভর্তি হন। বরিশালে সে সময় তিনি একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। পরীক্ষার আগেই মামলা পড়ায় আর পরীক্ষা দিতে পারেননি।[1]
তথ্যসূত্র
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৪৯-৩৫০, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬