চিত্তরঞ্জন দাশ
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ (৫ নভেম্বর ১৮৭০ - ১৬ জুন ১৯২৫) হলেন একজন বাঙালি আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি স্বরাজ্য পার্টি-র প্রতিষ্ঠাতা। তার সময়ের অন্যতম বৃহৎ অঙ্কের আয় অর্জনকারী উকিল হওয়া সত্ত্বেও তিনি তার সম্পদ অকাতরে সাহায্যপ্রার্থীদের কাছে বিলিয়ে দিয়ে বাংলার ইতিহাসে দানবীর হিসাবে সুপরিচিত হয়ে আছেন।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস | |
---|---|
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৬ জুন ১৯২৫ ৫৪) | (বয়স
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
শিক্ষা | বি.এ |
যেখানের শিক্ষার্থী | প্রেসিডেন্সী কলেজ |
পেশা | আইনজীবী, রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তিত্ব |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | মালঞ্চ, সাগরসঙ্গীত, অন্তর্যামী, ডালিম |
উপাধি | দেশবন্ধু |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
দাম্পত্য সঙ্গী | বসন্তী দেবী |
পিতা-মাতা | ভুবনমোহন দাশ নিস্তারিণী দেবী |
![]() |
বাংলা ভাষার উইকিসংকলনে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে: চিত্তরঞ্জন দাশ |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
চিত্তরঞ্জন দাশ বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের টংগিবাড়ী উপজেলার তেলিরবাগ নামক গ্রামে এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[1] তার পিতা ভুবন মোহন দাস কলকাতা হাইকোর্টের সলিসিটার ছিলেন। ভবানীপুর লন্ডন মিশনারি স্কুলে তার শিক্ষা আরম্ভ হয়। ১৮৯০ সালে প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে বি.এ. পাস করেন।[2]
কর্মজীবন
১৮৯৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টার হিসেবে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করেন। ১৯০৮ সালে অরবিন্দ ঘোষের বিচার তাকে পেশাগত মঞ্চের সম্মুখ সারিতে নিয়ে আসে। তিনি এত সুনিপুণ দক্ষতায় মামলাটিতে বিবাদী পক্ষ সমর্থন করেন যে অরবিন্দকে শেষ পর্যন্ত বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তিনি ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলায় (১৯১০-১১) বিবাদী পক্ষের কৌশলী ছিলেন। তিনি দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় আইনেই দক্ষ ছিলেন।
মৃত্যু
১৯২৫ সালের ১৬ই জুন চিত্তরঞ্জন দাশ মৃত্যুবরণ করেন। উদার মতবাদ ও দেশের প্রতি দরদের কারণে তিনি হিন্দু মুসলমান সকলের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা অর্জন করেন এবং তার এই উদার মতবাদের জন্য জনগণ তাকে দেশবন্ধু খেতাবে ভুষিত করেন।
তার মৃত্যুর খবরে শোকার্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সম্বন্ধে বলেনঃ
এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ।
মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।।
তথ্যসূত্র
- "মুন্সিগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। ২০১০-০৩-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২৪।
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২২৩-২৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬