মজু চৌধুরীর হাট

মজু চৌধুরী হাট বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলের একটি অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র ও শহর। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার অন্তর্গত চররমনী মোহন ইউনিয়নে অবস্থিত। এই শহরটি ১৯৬৫ সালে মজু চৌধুরীর হাট নামে স্থাপিত হয়। এটির পূর্বের নাম ছিল রহমত খালি[2] বরিশাল বিভাগ এর ৩০ পার্সেন্ট জনসাধারণ এই মজু চৌধুরী হাট দিয়েই যাতায়াত করেন।

মজু চৌধুরীর হাট
পৌরশহর
মজু চৌধুরীর হাটে সূর্যাস্তের দৃশ্য।
মজু চৌধুরীর হাট
বাংলাদেশে মজু চৌধুরীর হাটের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২.৮৭৪৫৯৬৭° উত্তর ৯০.৭৮৪৬৯১০° পূর্ব / 22.8745967; 90.7846910
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলালক্ষ্মীপুর জেলা
উপজেলালক্ষ্মীপুর সদর
স্থাপিত১৯৬৫
আয়তন
  মোট১৪৫.১৮ কিমি (৫৬.০৫ বর্গমাইল)
উচ্চতা৫৬.০৫ মিটার (১৮৩.৮৯ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১৪[1])
  মোট৪২,০০০
  জনঘনত্ব৫৬.০৫/কিমি (১৪৫.১৮/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
এলাকা কোড৩৭০০
ওয়েবসাইটমজু চৌধুরীর হাটের তথ্য বাতায়ন

আয়তন ও সীমানা

মজু চৌধুরীর হাটের অবস্থান ২২.৮৭৪৫৯৬৭° উত্তর ৯০.৭৮৪৬৯১০° পূর্ব / 22.8745967; 90.7846910 লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত মেঘনা নদীর তীরে, ভোলা জেলার সর্ব পূর্বে বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ঘাটতি অবস্থিত একটি ইউনিয়ন। লক্ষ্মীপুর জেলা শহর থেকে এর দূরত্ব ১২ কিলোমিটার ভোলা সদর উপজেলা থেকে ২৬ কিলোমিটার আর কমলনগর উপজেলা থেকে ২০ কিলোমিটার হাইমচর উপজেলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ১৪৫.১৮ বর্গকিমি (৫৬.০৫ বর্গমাইল)[3]

ইতিহাস

মজু চৌধুরী ছিলেন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি যিনি জন্মগ্রহণ করেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়ন এলাকার এক চৌধুরী পরিবারে। মজু চৌধুরী ছিলেন পানা মিয়া হাজীর দ্বিতীয় পুত্র তিনি ছিলেন পানা মিয়ার চার পুত্রের মধ্যে অত্যন্ত মেধাবী,ততকালীন তিনি রহমত খালি এলাকায় এসে প্রায় শতাধিক জায়গা জমি কিনেন, ততদূর কেউ তাহার সমান প্রভাবশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠিত ছিল না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ও পূর্বে এই মজু চৌধুরীর হাট টি প্রতিষ্ঠা পায়। ১৯৬৫ সাল সম্পর্কিত এটির নাম উল্লেখ করেছে এখানকার অস্থায়ী লোকজন রা তখন থেকেই মজু চৌধুরীর হাট জায়গাটি ভালো পরিচিত হয়ে উঠে।[4]

জনসংখ্যা

জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার বর্তমান

শিক্ষা

এখানে ২ টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৭ টি মাদ্রাসা রয়েছে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮ টি।

প্রশাসনিক এলাকা

এখানে একটি বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড বাহিনী এর কেম্প ও একটি পাড়ি থানা রয়েছে পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশ আনসার বাহিনী এর কেম্প।

কৃষি

  • শস্যঃ ধান, গম, সরিষা, পাট, মরিচ, আলু, ডাল, ভুট্টা, সয়াবিন, আখ, কাঠবাদাম।
  • প্রধান ফলঃ আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, তাল, লেবু, নারিকেল, সুপারি, চালতা, সারিফা, আমড়া, জাম।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ভোলা থেকে মজু চৌধুরীর হাট ২৬ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ৭৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে মজু চৌধুরীর হাটে ৩টি ফেরি চলাচল করে ও তাতে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। এছাড়াও এখান থেকে বিভিন্ন রুটে ত্রিশ থেকে চল্লিশটি বাস যাতায়াত করে থাকে।[5]

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা

  • সুইচ গেট
  • সাইফিয়া দরবার শরীফ কেন্দ্রীয় মসজিদ
  • বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড দপ্তর
  • মেঘনা পার্ক এন্ড স্ট্রিট
  • ভাসমান মাছ চাষের হ্যচারি
  • জাহাজের ক্যাপ্টেন ডক।

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে মজু চৌধুরীর হাট"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারী ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. নাজিমুদ্দিন মাহমুদ (২০১২), "লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা", সিরাজুল ইসলাম ও আহমেদ এ. জামান, বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (দ্বিতীয় সংস্করণ), বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি
  3. "চররমনী মোহন ইউনিয়ন"charramonimohonup.lakshmipur.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৮
  4. "মজু চৌধুরী" ৬৮ বৎসর বয়েসে ১৯৭১ সালে-লক্ষ্মীপুর ঝুমুর সিনেমাহলের সামনে চৌমুহনী মাইজদি,সড়কপথে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আক্রমনের শিকারে শহীদ হন মজু চৌধুরী।১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ব চলাকালীন। তাহার পুরানো বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে রয়েছে "মজু চৌধুরীর" কবর।
  5. যোগাযোগ ব্যবস্থার তথ্যবাতায়ন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.