সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৮৭ ইংরেজী সনে স্থাপিত ব্রিটিশ ভারতীয় আমলের প্রাচীনতম ও ঐহিত্যবাহী বিদ্যাপীঠ । বিদ্যালয়ের উত্তরে সুরমা নদী,লঞ্চঘাট, দক্ষিণে রাজগোবিন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, পূর্বে বালুর মাঠ(উক্ত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ),রিভারভিউ, পশ্চিমে সুনামগঞ্জ পৌর কলেজ অবস্থিত।[1] সুনামগঞ্জ শহরের কেন্দ্রস্থলে, ডি,এস,রোডে সুরমা নদীর তীরে বিদ্যালয়টি অবস্থিত ।[2][3]

সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
অবস্থান
সুনামগঞ্জ
 বাংলাদেশ
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনসরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল
  • ব্রিটিশ ভারতীয়
স্থাপিত২১ ডিসেম্বর ১৮৮৭
প্রধান শিক্ষকমোঃ ফয়েজুর রহমান
শিক্ষকমণ্ডলী৩৫(প্রায়)
লিঙ্গবালক
শিক্ষার্থী সংখ্যা১৬০০(প্রায়)
শ্রেণীতৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত।
ভাষাবাংলা
ক্রীড়াফুটবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট, দাবা, ভলিবল, টেবিল টেনিস, হ্যান্ডবল, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার

নাম করন

স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ও তত্কালীন প্রশাসনের সহায়তায় ১৮৮৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে বছর মহারাণী ভিক্টোরিয়ার সিংহাসন আরোহণের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গোল্ডেন জুবিলী উদযাপিত হওয়ার কারণে স্কুলটির নামকরণে জুবিলী শব্দটি অন্তর্ভুক্ত হয়। সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয় ১৯২৮ সালে।[1][3]

বিদ্যালয় পরিক্রমা

বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে আছে একটি সমৃদ্ধ পৃথক লাইব্রেরি ভবনসহ ৫টি ভবন, দুটি হোস্টেল ও একটি পুকুর নিয়ে বিদ্যালয়টি ৬.৪৫ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বাইরে মুসলিম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাত্রদের জন্যে সমৃদ্ধ দুটি হোস্টেল ও একটি পুকুর। ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে প্রার্থনা কক্ষ। বৃটিশ আমলে তৈরি আধা পাকা টিনশেড ভবনকে সংস্কার করে কিছুটা নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। ঠিক সামনে জ্বলছে নিয়নবাতিতে লেখা বিদ্যালয়ের নাম। সামনের ভবনে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ ও শিক্ষক মিলনায়তন। ভেতরে বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ। বিদ্যালয়ের একদম সামনে এক পাশে রয়েছে একটি শহীদমিনার। এর পাশে কিছুদিন আগে নতুন করে একটি বাস্কেটবল কোর্ট নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে উক্ত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। মাধ্যমিক পর্যায়ে বিদ্যালয়টি বরাবরই সুনামগঞ্জ জেলায় শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে চলেছে।[1][4]

শিক্ষা কার্যক্রম

সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালিন প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন অশ্বিনী কুমার দে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক মোঃ ফয়েজুর রহমান। প্রভাতী ও দিবা দুই শিফটে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দুই শিফটের জন্য আলাদাভাবে দুজন সহকারী প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষকের পদ আছে ৫০টি। এখন ছাত্র সংখ্যা দেড় হাজারের মতো। বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে আছে একটি সমৃদ্ধ পৃথক লাইব্রেরিসহ পাঁচটি ভবন, বাইরে দুটি হোস্টেল ও একটি পুকুর। বৃটিশ আমলে তৈরি আধা পাকা টিনশেড ভবনকে সংস্কার করে কিছুটা নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। ঠিক সামনে জ্বলছে নিয়নবাতিতে লেখা বিদ্যালয়ের নাম। সামনের ভবনে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ ও শিক্ষক মিলনায়তন। ভেতরে বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ। বিদ্যালয়ের একদম সামনে এক পাশে রয়েছে একটি শহীদমিনার। এর পাশে কিছুদিন আগে নতুন করে একটি বাস্কেটবল কোর্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

কৃতিত্ব

সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় ২০০৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়। ২০১১ তে শিশু একাডেমী আয়োজিত জ্ঞান জিজ্ঞাসা প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হয়। ২০১১ তে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ১০ম স্থান এবং ২০১২ তে ১৯তম স্থান অধিকার করে। ২০১১ সালে বিদ্যালয়ের একজন কাব স্কাউট ‘প্রধানমন্ত্রী’ এ্যাওয়ার্ড লাভ করে। তাছাড়া প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্ব অর্জন করে আসছে।

তথ্য সুত্র

  1. বাংলা পিডিয়া
  2. তথ্যবাতায়ন
  3. জাতিয় দৈনিক ইত্তেফাক
  4. সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত: মোহাম্মদ মমিনুল হক, গ্রন্থ প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০০১।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.