আখ

আখ বা ইক্ষু (বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum officinarum) পোয়াসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর রস চিনিগুড় তৈরির জন্য ব্যবহার হয় বলে এর চাষ করা হয়। আখ শব্দের উৎপত্তি "ইক্ষু" থেকে। আখ হচ্ছে বাঁশঘাসের জাতভাই। বাংলাদেশে এর যে প্রজাতি চাষ হয় তার বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum officinarum

''Saccharum officinarum
Saccharum officinarum growing in Mozambique
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
অপরিচিত শ্রেণী (ঠিক করুন): '''''Saccharum'''''
প্রজাতি: '. officinarum
দ্বিপদী নাম
''Saccharum officinarum
Species

Saccharum arundinaceum
Saccharum bengalense
Saccharum edule
Saccharum officinarum
Saccharum procerum
Saccharum ravennae
Saccharum robustum
Saccharum sinense
Saccharum spontaneum

আখের ক্ষেত

উৎপাদন

আখ একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। প্রথাগতভাবে আখের কান্ডের একটি টুকরার দুই-তৃতীয়াংশ মাটিতে পুঁতে দিয়ে এর চাষ করা হয়। তবে ইদানীং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণাগারে টিস্যু কালচারের মাধ্যমেও আখের ব্যাপক চাষ হচ্ছে।

বাংলাদেশের আখের উৎপাদন

বাংলাদেশে গড়ে প্রতি বছর ০.৪৩ মিলিয়ন একর জমিতে ৭.৩ মিলিয়ন মে.টন আখ উৎপন্ন হয়। দেশের ১৫টি চিনিকলে বছরে গড়ে ১.৫-১.৯৯ লক্ষ মে. টন চিনি উৎপন্ন হয়, বাকিটা গুড় ও খাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন BSFIC নামে প্রতিষ্ঠান চিনি শিল্প নিয়ন্ত্রণ করে।

বেসরকারিভাবে ২০০৭-এ আরো ৩টি কোম্পানি চিনি উৎপাদনে আসছে, যার মধ্যে মেঘনা গ্রুপের বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা ৬ লাখ মে. টন বলে বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের বাৎসরিক চিনির চাহিদা ১০-১২ লক্ষ মে. টন যার ১.৫ লক্ষ টন দেশে উৎপন্ন হয়, বাকিটা আমদানি ও চোরাই পথে আসে।

বৈশ্বিক উৎপাদন

শীর্ষ-১০ চিনি উৎপাদনকারী দেশ, ২০০৮[1]
দেশের নাম উৎপাদন
(টনে)
মন্তব্য
 ব্রাজিল৬৪৫,৩০০,১৮২
 ভারত৩৪৮,১৮৭,৯০০
 গণচীন১২৪,৯১৭,৫০২
 থাইল্যান্ড৭৩,৫০১,৬১০
 পাকিস্তান৬৩,৯২০,০০০
 মেক্সিকো৫১,১০৬,৯০০
 কলম্বিয়া৩৮,৫০০,০০০এফএও
 অস্ট্রেলিয়া৩২,৬২১,১১৩
 আর্জেন্টিনা২৯,৯৫০,০০০
 ফিলিপাইন২৬,৬০১,৪০০

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.