মিরপুর উপজেলা

মিরপুর উপজেলা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

মিরপুর
উপজেলা
মিরপুর
বাংলাদেশে মিরপুর উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′৫৪″ উত্তর ৮৯°০′১৫″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাকুষ্টিয়া জেলা
আয়তন
  মোট২৯৬.৩১ কিমি (১১৪.৪১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা [1]
  মোট২,৮২,৭৬০
সাক্ষরতার হার
  মোট৪৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ৫০ ৯৪
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান ও আয়তন

মিরপুর উপজেলা (কুষ্টিয়া জেলা) আয়তন: ৩১৭.৩৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪৫´ থেকে ২৪°০০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৫০´ থেকে ৮৯°০৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এর উত্তরে ভেড়ামারাঈশ্বরদী উপজেলা, দক্ষিণে আলমডাঙ্গাকুষ্টিয়া সদর উপজেলা, পূর্বে কুষ্টিয়া সদর, পশ্চিমে দৌলতপুর (কুষ্টিয়া), গাঙ্গনী ও আলমডাঙ্গা উপজেলা

ইতিহাস

ভৌগোলিক উপাত্ত

ভূপ্রকৃতি
মৃত্তিকা
নদ-নদী

সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য

ভাষা
উৎসব
খেলাধুলা

প্রশাসনিক এলাকা

প্রশাসন মিরপুর থানা গঠিত হয় ১৮৮৫ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১ আগস্ট ১৯৮৩ সালে।

ইউনিয়ন সমূহঃ-

  • আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন
  • আমলা ইউনিয়ন
  • কুরশা ইউনিয়ন
  • চিথলিয়া ইউনিয়ন, মিরপুর
  • ছাতিয়ান ইউনিয়ন
  • তালবাড়িয়া ইউনিয়ন
  • পোড়াদহ ইউনিয়ন
  • ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন, মিরপুর
  • বহালবাড়িয়া ইউনিয়ন
  • বারুইপাড়া ইউনিয়ন
  • মালিহাদ ইউনিয়ন
  • সরদারপুর ইউনিয়ন

জনসংখ্যা

২০১১-এর আদমশুমারী অনুসারে, এর জনসংখ্যা ৩,১৫,০০০। এর মধ্যে মুসলিম ২৭৮৭৫৭, হিন্দু ৬২৫২ এবং অন্যান্য ৮০। এ উপজেলায় কোল ও বুনো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

নদীসমূহ

পদ্মা, কুমার নদ, গড়াই নদী এবং সাগরখালী উল্লেখযোগ্য।

স্বাস্থ্য

উপজেলাটিতে "৫০শয্যা বিশিষ্ট মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স" রয়েছে ।

শিক্ষা

শিক্ষার দিক দিয়ে মিরপুর উপজেলা অনেক এগিয়ে।এখানে ২ টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আমলা সরকারি কলেজ রয়েছে ও মিরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়। এছাড়া দেশের অন্যতম প্রাচিন বিদ্যালয় আমলা সদরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় যা ১৮৯৯ সালে স্থাপিত।এছাড়া অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

কৃষি

অর্থনীতি

কৃষিকাজ হল এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম। তাছাড়া কিছু আঞ্চলে এখুনও পুরানো তাত শিল্পের প্রচলন আছে। নতুন করে এখানে ছোট ও মাঝারি মানের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

সড়কপথ
রেলপথ

কৃতী ব্যক্তিত্ব

  • ড.রাধা বিনোদ পাল: বিখ্যাত আইনবিদ, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ২য় মহাযুদ্ধের সময় হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের অন্যতম প্রধান বিচারক।
  • মোঃ আফতাব উদ্দিন খান, মুক্তিযুদ্ধের আন্যতম সংগঠক, কুষ্টিয়া জেলার সর্ববৃহত গেরিলা য়ুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী গেরিলা কমান্ডার, এই যুদ্ধে ২৬ নভেম্বর ভোর ৫টায় উভয় পক্ষ পরস্পর মুখোমুখি হয়। ৬ ঘন্টাব্যাপী তুমুল যুদ্ধের পর পাকবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ যুদ্ধে ৬০ জন পাক সৈন্য নিহত হয়। ৮ ডিসেম্বর ভোরে ই-৯ এর গ্রুপ কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান ১৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মিরপুর থানায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা গান স্যালুটের মাধ্যমে উত্তোলন করেন।
  • কাজী আরেফ - মুক্তিযুদ্ধের আন্যতম সংগঠক।
  • আব্দুর রউফ চৌধুরী - রাজনীতিবিদ
  • প্যারীসুন্দরী দেবী - মিরপুর উপজেলার সদরপুরের অধিবাসী। (জন্ম-১৮০০, মৃত্যু-১৮৭০। নীলকর টমাস আইভান কেনির কৃষকদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন করেন।)
  • বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম-মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের অধিবাসী।
  • মারফত আলী - মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগটক। বিএলএফ প্রধান,জনদরদী ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত।
  • কামারুল আরেফিন -রাজনীতিবিদ ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান।
  • ডঃ ইমদাদুল হক খান- নাসা গবেষক।

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা

  • বি এ ডি সি ফার্ম।
  • আমলা মিরপুর কুষ্টিয়া।
  • ভগবান নিবাস - আমলা।

বিবিধ

আরও দেখুন

তথ্যসুত্র

  1. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মিরপুর"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি ও বেসিস। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ


This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.