মোল্লাহাট উপজেলা
মোল্লাহাট উপজেলা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি চুনালি(চুনখোলা)সভ্যতার পশ্চিমে অবস্থিত। চুনখোলাকে মোল্লাহাটের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।
মোল্লাহাট | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() মোল্লাহাট | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৬′৩৫″ উত্তর ৮৯°৪২′১৬″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | বাগেরহাট জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৭৮.৮৮ কিমি২ (৬৯.০৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,৩০,৮৭৮ |
• জনঘনত্ব | ৭৩০/কিমি২ (১৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৯৩৮০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ০১ ৫৬ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
আয়তন: ১৮৭.৮৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪৮´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪০´ থেকে ৮৯°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কালিয়া উপজেলা, দক্ষিণে ফকিরহাট উপজেলা ও চিতলমারী উপজেলা, পূর্বে চিতলমারী উপজেলা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, পশ্চিমে তেরখাদা উপজেলা,চুনখোলা ইউনিয়ন ও রূপসা উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
ইউনিয়ন সমুহ
- উদয়পুর ইউনিয়ন, মোল্লাহাট
- চুনখোলা ইউনিয়ন
- গাংনি ইউনিয়ন
- কুলিয়া ইউনিয়ন, মোল্লাহাট
- গাওলা ইউনিয়
- কোদালিয়া ইউনিয়ন
- আটজুড়ী ইউনিয়ন
ইতিহাস
মোল্লাহাট থানা গঠিত হয় ১৮৬৭ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ২ জুলাই ১৯৮৩ সালে। তবে মোল্লাহাট একসময় চুনখোলার অন্তর্গত একটি মোকাম ছিল ।
জনসংখ্যার উপাত্ত
জনসংখ্যা ১২৬২১৮; পুরুষ ৬৪৭৩১, মহিলা ৬১৪৮৭। মুসলিম ৯৮৯৭০, হিন্দু ২৭১৫১, বৌদ্ধ ৬৭ এবং অন্যান্য ৩০।
উপজেলা পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%) শহর গ্রাম শহর গ্রাম - ৭ ৫৯ ১০২ ১১৭১২ ১১৪৫০৬ ৬৭২ ৫৩.৩ ৪৮.৪ উপজেলা শহর আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%) ৮.৭৯ ৮ ১১৭১২ ১৩৩২ ৫৩.৩ ইউনিয়ন ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%) পুরুষ মহিলা চুনখোলাঃ ২৮ ৫৪১৬ ৮২১৭ ৭৫৬৫ ৭০.৫০ আটজুরি ০৯ ৬৬৯১ ১০৪৬৫ ১০৬৪৭ ৫০.৬২ উদয়পুর ৯৫ ৫৬৬৭ ১১১৭৮ ১০৭৬৬ ৫৩.৭৩ কুলিয়া ৮৫ ৪৩০৯ ৮৮৩৪ ৮২৬৭ ৪৪.৮০ কোদালিয়া ৭৬ ৭৬১৯ ৯৩৯০ ৯০২৩ ৪৭.৪৫ গাওলা ৪৭ ১০১৩৮ ৭৪৫১ ৬৮৩৪ ৬১.১০ গাঙনী ৩৮ ৩৮৩৩ ৯১৯৬ ৮৩৮৫ ৪১.৫২ সূত্র: আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
শিক্ষা
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৮.৯%; পুরুষ ৭১.৫%, মহিলা ৬৬.১%। কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০২, মাদ্রাসা ১০।
অর্থনীতি
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৯.১৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৫৮%, শিল্প ০.৮৩%, ব্যবসা ১০.৩৮%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৩.২৪%, চাকরি ৬.৭৭%, নির্মাণ ০.৫৯%, ধর্মীয় সেবা ০.৪০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৫৯% এবং অন্যান্য ৫.৪৫%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৪.৫৮%, ভূমিহীন ৩৫.৪২%। শহরে ৪৫.৬২% এবং গ্রামে ৬৬.৫১% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, গম, তিল, পান, ডাল, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলূপ্তপ্রায় ফসলাদি তামাক।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, সুপারি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার চিংড়ি ঘের ১০০০০, হাঁস-মুরগি।
শিল্প ও কলকারখানা আইস ফ্যাক্টরি, বিড়ি কারখানা, স’ মিল, রাইস মিল।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, বেতের কাজ, নকশি কাঁথা, নকশি পাখা, খেজুর পাতার পাটি।
হাটবাজার ও মেলা: হাটবাজার ৩৩, মেলা ৪। চুনখোলা হাট(মোল্লাহাটের ঐতিহ্যবাহী সবথেকে বড় হাট), উদয়পুর গরুর হাট,গাড়ফা হাট,চরকুলিয়া হাট, নগরকান্দি হাট, গাংনী হাট, নাশুয়াখালি হাট, কোদালিয়া হাট ও চাঁদের হাট এবং পদ্মডাঙ্গার কালী পূজার মেলা, ঐতিহ্যবাহী চুনখোলার ফুলগাছা মেলা,উল্লেখযোগ্য। প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পান, আখ, খেজুর গুড়, নারিকেল, সুপারি, কলা, পেঁপে,টমেটো, করলা,চিংড়ী মাছ।
বিবিধ
কৃতি ব্যক্তিত্ব
- আহাদ আলী (বিশিষ্ট সমাজ সেবক)
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে মোল্লাহাট"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারী ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)