হরিণাকুণ্ডু উপজেলা

হরিণাকুন্ডু উপজেলা বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

হরিণাকুন্ডু
উপজেলা
হরিণাকুন্ডু
হরিণাকুন্ডু
বাংলাদেশে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৮′৩৪″ উত্তর ৮৯°৩′০″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাঝিনাইদহ জেলা
আয়তন
  মোট২২৭.৬২ কিমি (৮৭.৮৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট১,৯৭,৭২৩[1]
সাক্ষরতার হার
  মোট৪২.৩%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ৪৪ ১৪
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান ও আয়তন

উত্তরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, পূর্বে শৈলকুপা উপজেলা, পশ্চিমে আলমডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

এই উপজেলার ইউনিয়নসমূহ -

  1. ভায়না ইউনিয়ন
  2. জোড়াদহ ইউনিয়ন
  3. তাহেরহুদা ইউনিয়ন
  4. দৌলতপুর ইউনিয়ন
  5. কাপাসহাটিয়া ইউনিয়ন
  6. ফলসী ইউনিয়ন
  7. রঘুনাথপুর ইউনিয়ন
  8. চাঁদপুর ইউনিয়ন

ইতিহাস

হরিণাকুন্ডু উপজেলাটি ১৯৮৩ সালের ২৪ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনসংখ্যা ও আয়তনের দিক দিয়ে জেলার দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম উপজেলা। এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে সঠিকভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায় না, তবে কথিত আছে যে, হরিনারায়ণ কুন্ডু নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নামানুসারে হরিণাকুন্ডু নামকরণ হয়েছিল।[2]

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৯৭,৭২৩ জন; যার মধ্যে পুরুষ ৯৯,২৮৫ জন এবং মহিলা ৯৮,৪৩৮ জন। এখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে লোক সংখ্যার ঘনত্ব ৮৬০.৬৫ জন। এখানে মোট ১,৩৪,৮৩৩ জন ভোটার রয়েছে; যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৭,৪৪৫ জন ও মহিলা ভোটার ৬৭,৩৮৮ জন।[1]

নদ-নদী

হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ১টি নদী রয়েছে। নদীটি হচ্ছে নবগঙ্গা নদী[3][4]

দর্শনীয় স্থান

হরিণাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

  • লালন ফকিরের ভিটা
  • পাঞ্জু শাহ'র মাজার
  • চারাতলা বাওড়
  • কায়েতপাড়া বাওড়
  • পায়রা দূয়াহ্
  • সাত ব্রীজ
  • কালা পাহাড়
  • হেরিনা বল ফিল্ড
  • ইংরেজদের নীলকুঠি(এটা অবস্থিত জোড়াদহ ইউনিয়নে)

কৃতী ব্যক্তিত্ব

বিবিধ

সম্প্রতি হরিনাকুন্ডুতে সবচেয়ে বড় এক তারার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে হরিণাকুণ্ডু"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারী ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "ভৌগলিক পরিচিতি"। ২৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৮৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
  4. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
  5. উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, "বাংলার বাউল ও বাউল গান", ৩য় খণ্ড, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৮

বহিঃসংযোগ


This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.