কচুয়া উপজেলা, বাগেরহাট
জমিদার কচু রায়ের নামানূসারে কচুয়া নামকরণ হয়েছে বলে জানা যায়। কচুয়া উপজেলার আয়তন ১৩১.৬২ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা লক্ষাধিক। কচুয়া বাগেরহাটের সর্বপ্রথম থানা। কচুয়ার পূর্বে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা পশ্চিমে বাগেরহাট সদর উপজেলা, উত্তরে চিতলমারী এবং দক্ষিণে মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা। কচুয়া আগে বাকেগঞ্জ তথা বরিশালের একটি প্রশাসনিক ইউনিট ছিল। ১৮৬৩ সালে বাগেরহাটকে মহকুমা করা হলে কচুয়াকে বরিশাল থেকে কেটে এনে বাগেরহাটের (তৎকালীন যাশোর জেলার) অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নারিকেল সুপারী উৎপাদনে কচুয়ার বিশেষ খ্যাতি আছে। কচুয়া উপজেলার উল্লেখযোগ্য জলাশয় হিসেবে বলেশ্বর, তালেশ্বর ও বিষখালী নদী ও লড়ার খাল উল্লেখযোগ্য।
কচুয়া | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() কচুয়া | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৯′ উত্তর ৮৯°৫৩′ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | বাগেরহাট জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৩১.৬২ কিমি২ (৫০.৮২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ৯৭,০১১ |
• জনঘনত্ব | ৭৪০/কিমি২ (১৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬১.৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ০১ ৩৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
কচুয়া উপজেলায় মোট সাতটি ইউনিয়ন রয়েছে:
কচুয়া (৫৭), গজালিয়া (৩৮), গোপালপুর (৪৭), ধোপাখালী (২৮), বাধাল (০৯), মঘিয়া (৬৬), রাড়িপাড়া (৭৬)। কচুয়া উপজেলাতে গ্রাম রয়েছে সর্বমোট ১০১টি।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কচুয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তেমনি স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার বাহিনী এবং হন্তারক পাকিস্তানী বাহিনীর নৃশংসতার ঘটনাও রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের ভাসা বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রাজাকার বাহিনীর একটি সন্মুখ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। পিছন থেকে অতর্কিতে আক্রমণ করে কিশোর আলফাজ হোসে ননী সহ চারজন মুক্তিযোদ্ধার জীবন কেড়ে নিয়েছিল রাজাকার বাহিনী।
এছাড়া এ উপজেলার গণহত্যার ঘটনাগুলো খুবই হৃদয় বিদারক। প্রতিটি ইউনিয়নে গণহত্যার ঘটনা পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে কচুয়া সদর ইউনিয়নে ২টি, বাধাল ইউনিয়নে ২টি, গজালিয়ায় ১টি, গোপালপুর ২টি, মঘিয়ায় ৩টি এবং রাড়িপাড়ায় ২টি গণহত্যার সন্ধান পাওয়া গেছে।
অবস্থান ও আয়তন
এই উপজেলার পূর্বে নাজিরপুর উপজেলা, উত্তরে চিতলমারী উপজেলা, দক্ষিণে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে বাগেরহাট সদর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
কচুয়া উপজেলার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে -
- গজালিয়া ইউনিয়ন
- ধোপাখালী ইউনিয়ন
- মঘিয়া ইউনিয়ন
- কচুয়া ইউনিয়ন
- গোপালপুর ইউনিয়ন
- রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন এবং
- বাধাল ইউনিয়ন
ইতিহাস
জনসংখ্যার উপাত্ত
শিক্ষা
অর্থনীতি
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা;
- শেখ ইনামুল কবীর (সাবেক ছাত্রনেতা)
- দিব্যেন্দু দ্বীপ, (সাহিত্যিক, গবেষক ও সাংবাদিক);
- ডা. তাপস কুমার দাস (প্রয়াত, চিকিৎসক)
- ডা. সুদিপ্ত কুমার মুখার্জী (চিকিৎসক)
- দেবব্রত মুখোপাধ্যায় (সাংবাদিক)
- সুব্রত মুখার্জী (গবেষক ও সমাজকর্মী)
- আমজাদ হোসেন (সাহিত্যিক)
- ডা. সুনিল কুমার দাস (চিকিৎসক)
- এস. এম. মাহফুজুর রহমান (রাজনীতিবিদ)
- মীর সাখাওয়াত হোসেন দারু (রাজনীতিবিদ)
- মুখার্জী রবীন্দ্রনাথ (শিক্ষক, সাহিত্যিক)
- নন্দ কিশোর চক্রবর্ত্তী (শিক্ষক, সাংবাদিক)
- আরিফ সাওন (সাংবাদিক)
- আহরার হোসেন (সাংবাদিক)
- মীর মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান (অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা)
- আশিষ রঞ্জন (বিচারপতি)
বিবিধ
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে কচুয়া"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারী ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)