পাইকগাছা উপজেলা
পাইকগাছা বাংলাদেশের খুলনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
পাইকগাছা | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() পাইকগাছা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৫′৩১″ উত্তর ৮৯°২০′১৩″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | খুলনা জেলা |
আসন | খুলনা-৬ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | আক্তারুজ্জামান বাবু |
আয়তন | |
• মোট | ৩৮৩.৮৭ কিমি২ (১৪৮.২১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,৪৭,৯৮৩ |
• জনঘনত্ব | ৬৫০/কিমি২ (১৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫২.৮০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৪৭ ৬৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাস
১৯৭১ সালের ৪ জুলাই পাইকগাছা উপজেলার প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র কপিলমুনি বাজারে রায়বাহাদুর বিনোদ বিহারী সাধুর বাড়ীতে রাজাকারের ক্যাম্প স্থাপিত হয়। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ঐ রাজাকার ক্যাম্পটি দখলের জন্য যুদ্ধকালীন কমান্ডার রহমত উলস্নাহ দাদু ও তার সহযোগী ইউনুস আলী, স,ম, বাবর আলী, আবুলকালাম আজাদ, শাহাদৎ হোসেন বাচ্চু ও যুদ্ধাহত খোকা এর নেতৃত্বে ঐ রাজাকার ক্যাম্প টি দখলের সাড়াসী অভিযান শুরম্নকরেন। তিন দিন একটানা যুদ্ধের পর রাজাকার ও শামিত্ম কমিটির ১৫৬ জন সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি যুদ্ধের অবসান হয়। ৭ নভেম্বর ১৯৮২ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরনের আওতায় পাইকগাছা উপজেলায় উন্নিত হয়।
নামকরণ
সরল খাঁ যে এলাকায় বাস করতেন তার নাম হয় সরল। গরম্নর রাখালদের আবাসস্থল‘গোপালপুর’ গরম্নরাখার জন্য যেখানে গোশালা ছিল সে গ্রামের নাম ‘ঘোষাল,’ গদাইপুরের নিকটে যেখানে সৈন্যরা গড়কেটে ডাকাতদের বিরম্নদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ছিল সেটা ‘গড়পার’,প্রাসাদের বান্দিদের আবাসস্থল ‘বান্দিকাটি’,প্রাসাদে বাতি জ্বালানো কার্যে নিয়োজিত কর্মচারীরা যে এলাকায় থাকত‘বাতিখালী’,গাছে চড়ে পাইক-বরকন্দাজরা পাহারা দিত বলে ‘পাইকগাছা’রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র এর শাসন এলাকা কৃষ্ণনগর নামে খ্যাত বর্তমান মিল কাটাখালী নামে পরিচিত,এবং লোক- লস্কর দিয়ে যে দীঘি খনন করা হয়েছিল সে এলাকা ‘লস্কর’ গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এভাবেই পাইকগাছা উপজেলার নাম করণ করা হয়।[2]
অবস্থান
খুলনা জেলা সদর হতে পাইকগাছা উপজেলা ৬৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে অবস্থিত। পাইকগাছা উপজেলার আয়তন ৩৮৩.১৫ বর্গ কিঃ মিঃ। ইহা ২২০২৮’’ এবং ২২০৪৩’’ উত্তর-দক্ষিণ দ্রাঘিমাংশ এবং ৮৯০১৪’’এবং ৮৯০২৮’’ পূর্ব পশ্চিম দ্রাঘিমার মধ্যে পাইকগাছা উপজেলা অবস্থিত। উত্তরে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা এবং খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা, পূর্বে বটিয়াঘাটা উপজেলা ও দাকোপ উপজেলা, এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলা। খুলনা জেলা শহর হতে সড়ক পথে পাইকগাছা উপজেলার দুরত্ব ৬৫ কি.মি.। [2]
প্রশাসনিক এলাকা
- ইউনিয়ন পরিষদ
নদ-নদী
পাইকগাছা উপজেলায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী। এখানকার নদীগুলো হচ্ছে শিবসা নদী, কপোতাক্ষ নদ, ভদ্রা নদী, দেলুতি নদী ।[3][4]
জনসংখ্যার উপাত্ত
শিক্ষা
- কপোতাক্ষী মধ্যেমিক বিদ্যালয়
- কে ডি এস মধ্যেমিক বিদ্যালয়
- লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েট স্কুল,লক্ষ্মীখোলা
- পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- আবু হোসেন কলেজ
- আর.কে.বি.কে.হরিশ্চন্দ্র কলেজিয়েট ইনস্টিটিউশন,,রাড়ুলী
- রাড়ুলী ভূবন মোহিনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়
- শহীদ কামরুল মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়,বাঁকা
- কপিলমুনি কলেজ
- কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা
- কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- পাইকগাছা সরকারি কলেজ
- কালিনগর কলেজ
- হরিঢালী মহিলা কলেজ
- ফসিয়ার রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজ
- চাঁদখালী কলেজ
- খড়িয়া নবারুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,খড়িয়া
অর্থনীতি
- চিংড়ি মাছ চাষ
- বাগদা চিংড়ির ঘের
- পান চাষ
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- জাফর আউলিয়া - পীর সাহেব।
- শামসুর রহমান - সাবেক এমপি ও শিক্ষাবিদ।
- অধ্যক্ষ শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস - সাবেক এমপি ও শিক্ষাবিদ।
- রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু - বিখ্যাত দানবীর এবং কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) এর রুপকার।
- প্রফুল্ল চন্দ্র রায় - বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও রসায়নবিদ।
- কাজী ইমদাদুল হক - বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক।
- শেখ আঃ রাজ্জাক আলী - সাবেক স্পীকার ও এম.পি.।
- মেহের মুসল্লি - দানবীর।
বিবিধ
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে পাইকগাছা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারী ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "পাইকগাছা উপজেলা"
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। http (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-২৫। - ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৮৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।