খান বাহাদুর আবদুল আজিজ
খান বাহাদুর আবদুল আজিজ (১৮৬৩ – ১৯২৬) ছিলেন একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ, লেখক ও সমাজকর্মী।[1][2]
আবদুল আজিজ | |
---|---|
জন্ম | ১৮৬৩ |
মৃত্যু | ১৯২৬ (বয়স ৬২–৬৩) |
নাগরিকত্ব | ![]() |
যেখানের শিক্ষার্থী | ঢাকা কলেজ |
পেশা | শিক্ষাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | ঢাকা মুসলমান সুহৃদ সম্মিলনি, মুসলমান শিক্ষা সভা প্রতিষ্ঠা |
পিতা-মাতা | আমজাদ আলি (বাবা) |
আত্মীয় | হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী (দৌহিত্র), শামসুন্নাহার মাহমুদ (দৌহিত্রী) |
পুরস্কার | খান বাহাদুর |
প্রারম্ভিক ও কর্মজীবন
আবদুল আজিজের জন্ম বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ফেনীতে। তার বাবা আমজাদ আলি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারি। আবদুল আজিজ ঢাকা কলেজ থেকে ১৮৮৬ সালে স্নাতক হন। তিনি ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রথম স্নাতক। প্রাদেশিক সরকারের শিক্ষাবিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি স্কুলের উপপরিদর্শক হিসেবে পদন্নোতি লাভ করেন।[1]
১৮৮৩ সালে তিনি ঢাকা মুসলমান সুহৃদ সম্মিলনি গঠন করেন। মুক্ত বিদ্যালয় পদ্ধতিতে গ্রামের নারীদের শিক্ষা দেয়া এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল। ১৯০০ সালে তিনি চট্টগ্রামে মুসলমান শিক্ষা সভা" গঠন করেন। তিনি চট্টগ্রামে ভিক্টোরিয়া ইসলাম হোস্টেল, কবিরউদ্দিন মেমোরিয়াল লাইব্রেরী, ফ্রি ইসলামিয়া রিডিং রুম প্রতিষ্ঠা করেন। নোয়াখালীতে ১৮৯৬ সালে তিনি আঞ্জুমানে আশআতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[1]
সাহিত্যকর্ম
আবদুল আজিজের রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে তার শিক্ষাগুরু ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দী সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর রচিত শোকগীতি ওবেদি বিয়োগ, কাব্যগ্রন্থ কবিতা কালিকা (১৮৮৫) এবং মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক আচরণ-বিধি সংক্রান্ত অনুবাদ গ্রন্থ মায়াদনোল উলুম (১৮৯২)।[1]
ব্যক্তিগত জীবন
সাহিত্যিক হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী ও তার বোন শামসুন্নাহার মাহমুদ ছিলেন আবদুল আজিজের নাতি। আবদুল আজিজের মৃত্যুর পর কাজী নজরুল ইসলাম বাংলার আজিজ নামে একটি শোকগীতি রচনা করেছিলেন। কর্মক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তাকে খান বাহাদুর খেতাবে ভূষিত করে।[1]
তথ্যসূত্র
- Wakil Ahmed। "Aziz, Khan Bahadur Abdul"। Banglapedia। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৯, ২০১৬।
- "Iqbal Bahar Chowdhury's recitation evening today"। The Daily Star। মে ৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৭, ২০১৬।