ফেনী বিমানবন্দর
ফেনী বিমানবন্দর, বাংলাদেশের ফেনী জেলায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত একটি বিমানবন্দর। ১৯৩৮ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে জাপানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিমানবন্দরটি নির্মাণ করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। ফেনী শহরের উত্তরাংশের সুলতানপুর, বারাহিপুর, মজলিশপুর, বিরিঞ্চি, ধর্মপুর ও দেবীপুর এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশ একর ভূমির ওপর এটি গড়ে তোলা হয়।[1] অক্ষশক্তি জাপানের বিমান আক্রমণ থেকে কুমিল্লায় অবস্থিত ব্রিটিশ সেনানিবাসের প্রতিরক্ষা কাজে এ বিমানঘাঁটি ব্যবহৃত হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ছিল এশিয়ার বৃহত্তম বিমানবন্দর।[2]
ফেনী বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
পরিচালক | সিভিল এভিয়েশন অথরিটি, বাংলাদেশ | ||||||||||
সেবা দেয় | ফেনী | ||||||||||
অবস্থান | ফেনী শহরের উত্তরাংশ | ||||||||||
রানওয়েসমূহ | |||||||||||
|
বিমানবন্দর
ব্রিটিশ সরকার বিমান ঘাঁটি ও বিমানগুলো রক্ষায় বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলাদা অবয়বে তৈরি করে ফেনী বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের উত্তর-দক্ষিণে তৈরি করা হয় বিশাল রানওয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরের চারদিকে অনেক হ্যাঙ্গার তৈরি করা হয় যুদ্ধবিমান লুকিয়ে রাখার জন্য। বিমানবন্দর এলাকায় ২৭টি হ্যাঙ্গার রয়েছে।[1]
অব্যবস্থাপনা
বিমানবন্দরের রানওয়ের ওপর সরকারিভাবে গড়ে উঠেছে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ। পাকিস্তান আমলে ফেনী বিমানবন্দরটি সচল করা হয়নি। ত্রিপুরা সীমান্তের খুব কাছে হওয়ার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানি সরকার এটি চালু করেনি। বিমানবন্দর এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে ত্রিপুরা সীমান্ত। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেনী বিমানবন্দর এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়।[2] বিমানবন্দরের প্রায় ৩২৫ একর জায়গা পড়ে আছে অরক্ষিত অবস্থায়।[2]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "ফেনী বিমানবন্দর রয়ে গেছে ২৭ হ্যাঙ্গার"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১২।
- ফেনী বিমানবন্দর