আমিন আহমদ
আমিন আহমেদ এমবিই (জন্ম: ১ অক্টোবর ১৮৯৯ - ৫ ডিসেম্বর ১৯৯১) বাংলাদেশে ঢাকায় হাই কোর্টের একজন বিচারপতি ও প্রধান বিচারপতি ছিলেন। [1][2] তিনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার নিশান-ই-পাকিস্তান ও ইংরেজদের অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদকপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি।
আমিন আহমদ এনপিকে এমবিই | |
---|---|
Amin Ahmed | |
প্রধান বিচারপতি [[বাংলাদেশ হাইকোর্ট]] | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৬ – ১৯৫৯ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সোনাগজী, ফেনী, বাংলাদেশ | ১ অক্টোবর ১৮৯৯
মৃত্যু | ৫ ডিসেম্বর ১৯৯১ ৯২) ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
সন্তান | ৬ কন্যা ১ পুত্র |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | বিচারপতি |
পুরস্কার | অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার নিশান-ই-পাকিস্তান ক্রিসেন্ট অব পাকিস্তান) |
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
আমিন আহমেদ ১৮ অক্টোবর ১৮৯৯ তারিখে বাংলাদেশের ফেনী সোনাগাজী উপজেলার, আহমেদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতা আবদুল আজিজ ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি ১৯৫৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ১৯৫৭ সালে জাপানে ভ্রমণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
তার ৬ কন্যা শামীম, নাসিমা হাকিম, উজরা হোসেন, নাজনীন, নাজমা, জরিনা মহসিন ও এক পুত্র আজিজ আহমেদ। তার দ্বিতীয় মেয়ে নসিমাকে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মাকসুম উল হাকিমের সাথে বিয়ে দেন। [3] এছাড়া আমিন আহমেদ বাংলাদেশের কূটনীতিক তাবারক হোসেনের শ্বশুর ছিলেন, তাবারক হোসেন আমিন আহমেদের কন্যা উজরা হোসেনকে বিয়ে করেন।
তার পিতামহ তারিক উল হাকিম, ঢাকার হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। [4]
মৃত্যু
আমিন ১৯৯১ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় মারা যান।
লেখক
আমিন আহমেদ পাকিস্তান বিষয়ক প্রশাসনিক কর্মী জুডিশিয়াল রিভিউ বিষয়ক কামিনী কুমার মেমোরিয়াল আইন বক্তৃতা প্রদান করেন যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯-১১ ফেব্রুয়ারী ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয়। [5][6] পরে বক্তৃতাটি একটি বই হিসাবে প্রকাশিত হয়। তিনি অতীতে একটি পিপ শিরোনাম নামক একটি আত্মজীবনী লিখেছেন; । [7][8]
তিনি ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান ফিলোসফিকাল কংগ্রেসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। [9] আমিন ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক ডাইনার, ১৯৬৯ সালের ২৪ শে মার্চ নিউ ডাকা উচ্চ আদালত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ১৯ জানুয়ারি ১৯৭৪ এ ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকাতে বার ডিনারের মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন । এছাড়া ১৯৭০ সালে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হয়ে পাকিস্তান জাতিসংঘ সমিতির (পূর্ব অঞ্চল, ঢাকা) রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) এবং পাকিস্তান সরকারের দ্বারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক হিলাল-ই-পাকিস্তান পদকে ভূষিত ভূষিত হন। [1]
তথ্যসূত্র
- ।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - "Judiciary"। The Lakshimipur Barta। ৭ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪।
- Rashid, Harun ur (২১ অক্টোবর ২০০৫)। "An impressive record of public service"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- "Judges' List : High Court Division"। Supreme Court of Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৮।
- "Kamini Kumar Dutta (1879–1959) – a profile"। Bangladesh Supreme Court Bar Association। ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪।
- Shibli, Abdullah (৫ এপ্রিল ২০১৪)। "Birth Centennial of Mr. Justice M. A. Jabir"। The Daily Star। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪।
- Ahmed, Amin (১৯৮২)। A Peep into the Past, Or, The Autobiography of Former Chief Justice Amin Ahmed। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪।
- Benson, Eugene (২০০৪)। Ency Post-Colonial Lit Eng 2v। Routledge। পৃষ্ঠা 857। আইএসবিএন 9781134468485। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪।
- Richard V. DeSemet। "Philosophical Activities in Pakistan:1947–1961"। Work published by Pakistan Philosophical Congress। ৯ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
- লেখক পাতা, Amazon.com এ
- গুগল বইয়ের সাবেক প্রধান বিচারপতি আমিন আহমেদের আত্মজীবনী
- তার ধনমণ্ডির বাসভবনে চ্যারিটি ক্লিনিক