অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আদেশ (ইংরেজি: Order of the British Empire) হচ্ছে এক ধরনের সম্মানসূচক ব্রিটিশ পদবীরাজা পঞ্চম জর্জ কর্তৃক ৪ জুন, ১৯১৭ সালে এটি তুলনামূলকভাবে নতুনতর পদবীরূপে সৃষ্টি করা হয়।[1][2] এ পদবীটি সাধারণ জনগণ এবং সামরিক বাহিনীতে কর্মরতদের যথাযথভাবে মর্যাদাদানের লক্ষ্যে তৈরী করা হয়েছে। পাঁচটি শ্রেণীতে বিভক্ত ওবিই পদবীতে বড় থেকে ছোট অণুক্রমে প্রদান করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদবীটিকে দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার নামে অভিহিত করা হয়।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আদেশ
গ্র্যান্ড ক্রস তারকাচিহ্নিত অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার
প্রদানকারী শাসনকর্তা
ধরণ সম্মানসূচক পদবী
প্রতিপাদ্য বিষয় ঈশ্বর এবং সাম্রাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে
যোগ্যতা ব্রিটিশ নাগরিক অথবা যুক্তরাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রভাববিস্তারকারী
প্রদান করা হয় জাতীয় সম্মাননা
অবস্থা চলমান
শাসক রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
গ্র্যান্ডমাস্টার প্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অব এডিনবরা
Principal Commander শাসক
স্তর নাইট/ডেম গ্র্যান্ড ক্রস (জিবিই)
নাইট/ডেম কমান্ডার (কেবিই/ডিবিই)
কমান্ডার (সিবিই)
অফিসার (ওবিই)
মেম্বার (এমবিই)
প্রতিষ্ঠিত ১৯১৭
পদমর্যাদার স্তর
পরবর্তী সম্মাননা(উচ্চতর) রয়্যাল ভিক্টোরিয়ান অর্ডার
পূর্ববর্তী সম্মাননা (নিম্নতর) ভিন্নতর, র‌্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল

সামরিক ফিতা

সাধারণ ফিতা

শ্রেণীবিন্যাস

ওবিই পদবীকে বড় থেকে ছোট অণুক্রমে সাজিয়ে পাঁচটি শ্রেণীতে বিভাজন ঘটানো হয়েছে -

  • নাইট গ্র্যান্ড ক্রস বা ডেম গ্র্যান্ড ক্রস (জিবিই)
  • নাইট কমান্ডার বা ডেম কমান্ডার (কেবিই বা ডিবিই)
  • কমান্ডার (সিবিই)
  • অফিসার (ওবিই)
  • মেম্বার (এমবিই)

তন্মধ্যে শীর্ষতম দুই র‌্যাঙ্কিংধারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাইট অথবা ডেমগণ তাদের নামের শীর্ষভাগে স্যার (পুরুষ) কিংবা ডেম (নারী) উপাধিরূপে ব্যবহার করতে পারেন। তবে, এ পদবীধারণ করা বাধ্যতামূলক নয়।

সম্মানসূচক পদবীর প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে - ঈশ্বর এবং সাম্রাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে। ব্রিটিশ সম্মানসূচক পদবীটি ব্রিটেনের সম্মাননা পদ্ধতির সবচেয়ে নবীনতম; কিন্তু দশ লক্ষ জীবিত ব্যক্তি বিশ্বব্যাপী এ পদবী ধারণ করে আছেন যা সংখ্যার আকারে বৃহত্তম।[2]

ইতিহাস

মূলতঃ রাজা পঞ্চম জর্জ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভের স্বীকৃতিস্বরূপ হাজার হাজার লোককে সম্মাননা জানাতে চেয়েছিলেন। তিনি এ সম্মাননার বাইরে সাধারণ সৈনিকদেরকে রেখেছিলেন। সেজন্যে তিনি ব্রিটিশ সম্মাননা পদ্ধতিতে রূপরেখা প্রণয়ন করেন -

  • কেবলমাত্র জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা এবং সাধারণ নাগরিকগণ অর্ডার অব দ্য বাথ উপাধি ধারণ করবেন।
  • অর্ডার অব সেন্ট মাইকেল এবং সেন্ট জর্জ কূটনীতিবিদদের সম্মানে প্রদান করা হবে।
  • ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত সেবাদানকারী ব্যক্তিগণ রয়েল ভিক্টোরিয়ান অর্ডার সম্মাননা পাবেন।

রাজা পঞ্চম জর্জ প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে অগণিত ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর পদক্ষেপ নেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ১৯১৮ সালে সম্মাননাটি কেবলমাত্র একটি বিষয়কে ঘিরেই প্রবর্তিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এটি সামরিক এবং সাধারণ নাগরিক - এ দুটি অংশে বিভাজিত হয়ে যায়।[3]

তথ্যসূত্র

  1. "নং. 30250"দ্যা লন্ডন গেজেট (২য় সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়): 7791–7999। ১৯১৭-০৮-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-১৩Original Order of the British Empire Statutes dated 24 Aug 1917
  2. The Monarchy Today > Queen and public > Honours > Order of the British Empire royal.gov.uk: The Official Website of the British Monarchy, Accessed 24 August 2009
  3. "নং. 31084"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়): 15135। ২৭ ডিসেম্বর ১৯১৮।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.