শমসের গাজীর কেল্লা
শমসের গাজীর কেল্লা ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার চম্পকনগর ও জগন্নাথ সোনাপুরএ অবস্থিত।[1] ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো। শমসের গাজী ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী এবং ত্রিপুরার রোশনাবাদ পরগনার কৃষক বিদ্রোহের নায়ক।[2] ১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ঐপনিবেশিক শক্তির আগ্রাসন প্রতিহত করতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেন তিনি ভাটির বাঘ বলে পরিচিত। শমসের গাজী নবাব সিরাজুদ্দৌলার পর তিনিই ঔপনিবেশিক শক্তির হাতে প্রথম নিহত হন।
শমসের গাজীর কেল্লা | |
---|---|
শমসের গাজীর কেল্লা | |
ফেনী, বাংলাদেশ | |
![]() শমসের গাজীর কেল্লা | |
![]() ![]() শমসের গাজীর কেল্লা | |
স্থানাঙ্ক | ২২.৯৬৪৩২৩৯° উত্তর ৯১.৫৬৭৩৬১৮° পূর্ব |
ধরন | ব্রিটিশ বিরোধী কেল্লা |
সাইটের তথ্য | |
নিয়ন্ত্রন করে | প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগ |
জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত | হ্যাঁ |
অবস্থা | বিলুপ্ত |
সাইটের ইতিহাস | |
নির্মাতা | শমসের গাজী |
অবস্থান
ফেনীর ছাগলনাইয়ার চম্পকনগর ও জগন্নাথ সোনাপুরের বর্তমান ভারত সীমান্ত এলাকাটি শমসের গাজীর স্মৃতি বিজড়িত স্থান। এখানে রয়েছে শমসের গাজীর সুড়ঙ্গ, শমসের গাজীর দীঘি এবং আরও অনেক কিছু। তবে তার প্রাসাদসহ অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ ভারতের ত্রিপুরার মধ্যে ভাগ হয়ে রয়ে গেছে।
বর্তমান অবস্থায়
শমসের গাজীর তৈরি দুর্গটি এখন বিলুপ্ত। কিন্তু সেখানে তার স্মৃতিবিজড়িত অনেক কিছুই রয়ে গেছে। তার তৈরি কৈয়্যারা দিঘী,গুপ্ত সুড়ঙ্গ ইত্যাদি রয়ে গেছে। কিছু কিছু স্থাপত্য এখন পাশে ভারতের সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরা রাজ্যে রয়ে গেছে। বর্মানে তার স্মৃতিকে ধরে রাখতে সেখানে শমসের গাজীর বাঁশের কেল্লা রিসোর্টস নামক পর্যটন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। অনেক পর্যটকই সেখানে ভ্রমন করেন।
তথ্যসূত্র
- http://subhapurup.feni.gov.bd/site/view/tourist_spot/দর্শণীয় স্থান
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৭৬৬
![]() |
বাংলা ভাষার উইকিসংকলনে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে: শমসের গাজী |