অভয় আশ্রম

অভয় আশ্রম হল ব্রিটিশ ভারতে প্রতিষ্ঠিত একটি জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংগঠন। গান্ধীবাদী আদর্শে প্রাণিত এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয় বাংলাদেশেকুমিল্লায়

ইতিহাস

প্রথমে এই আশ্রমের নাম ছিল সবিতা মিশন আশ্রম। পরে মহাত্মা গাঁধীর পরামর্শ নামকরণ হয় ‘অভয় আশ্রম’। গ্রামভিত্তিক কুটির শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার জন্য ১৯২১ সালে কুমিল্লার এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। তাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ, সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, হরিপদ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখেরা। বিভিন্ন সময় এই আশ্রমের কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ, সুভাষচন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, শরৎচন্দ্র বসু[1] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন অভয় আশ্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সশস্ত্র বিপ্লবীরা নানা সময় এখানে আশ্রয় নিয়ে লুকিয়ে থাকতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৬ সালে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করতে কুমিল্লার অভয় আশ্রমে এসেছিলেন। এছাড়া চক্রবর্তী রাজা-গোপালচারী, সীমান্ত গান্ধী আবদুল গাফফার খান, যমুনা লাল বাজাজ, ঠক্কর বাবা, সাদিক আলী প্রমুখ জাতীয় নেতৃবৃন্দ পদার্পণ করেছেন আশ্রমের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখার জন্যে। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে অভয় আশ্রমের একাধিক শাখা গড়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই আশ্রম লুঠ হয় একবার। মুক্তিযোদ্ধারা এখানে আশ্রয় নিতেন।[2][3]

তথ্যসূত্র

  1. "অভয় আশ্রমের দায়িত্বে রাজ্য"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭
  2. "হারিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লার ঐতিহাসিক গান্ধী'র অভয় আশ্রম ছাত্রাবাস"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭
  3. Gupta, Ashoka (১৯৯৯)। Noakhalir Duryoger Dine (নোয়াখালির দুর্যোগের দিনে)। Kolkata: Naya Udyog। পৃষ্ঠা 87। আইএসবিএন 81-85971-55-2।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.