প্রফুল্লনলিনী ব্রহ্ম
প্রফুল্লনলিনী ব্রহ্ম (ইংরেজি: Prafullanaliny Brahmma) (২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৪ - ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৭) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী। প্রফুল্লনলিনী যখন কুমিল্লা ফৈজননেসা গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তখন সহপাঠী শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরীকে তিনিই প্রথম বিপ্লবের পথ দেখান। ম্যাজিস্ট্রেট স্টিভেন্সকে গুলি করায় শান্তি-সুনীতি বন্দী হন এবং পুলিস ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৩১ তারিখে তাকেও গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় তাকে ২২ মার্চ ১৯৩২ তারিখে ডেটিনিউ হিসেবে জেলে ও বন্দীনিবাসে রেখে দেয়। এই সময় আই.এ.ই. ও বি.এ. পাশ করেন। কুমিল্লা শহরে অন্তরীণ থাকাকালে রোগাক্রান্ত হয়ে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান এই মহিলা বিপ্লবী।[1][2]
প্রফুল্লনলিনী ব্রহ্ম | |
---|---|
জন্ম | ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৪ |
মৃত্যু | ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৭ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
যুগান্তর দল |
---|
তালিকা
|
তালিকা |
তালিকা |
জন্ম ও শৈশব ও শিক্ষা
প্রফুল্লনলিনী ব্রহ্ম ১৯১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রজনীকান্ত ব্রহ্ম এবং মাতার নাম রঙ্গবাসী ব্রহ্ম। তার পিতা মোক্তার ছিলেন। কিন্তু আইন অমান্য আন্দোলনে যোগদান করে তিনি কোর্ট বর্জন করেন। এই আবহাওয়াতে বড় হবার কারণে প্রফুল্লনলিনীদের বাড়িটা স্বদেশীভাবাপন্ন হয়ে ওঠে। প্রফুল্লনলিনী পিতার নিকট থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামের পথে অগ্রসর হবার প্রেরণা পান। অল্প বয়সেই মেয়ে প্রফুল্ল বিপ্লবের পথে পা বাড়িয়েছিলেন। কুমিল্লার যুগান্তর দলের সঙ্গে তিনি ক্রমে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ফৈজননেসা গার্লস হাইস্কুলে লেখাপড়া করতেন।[3]
তথ্যসূত্র
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪১১, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২২০।
- কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ১৫৫-১৫৬। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।