তারিণীপ্রসন্ন মজুমদার
তারিণীপ্রসন্ন মজুমদার (১৯ মে, ১৮৯২ - মৃত্যু ১৫ জুন, ১৯১৮) (ইংরেজি: Tariniprasanna Majumder) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি পুলিসের গ্রেপ্তার এড়াতে বহুদিন আত্মগোপন করে ছিলেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য কুমিল্লার এক বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিসকে ফাঁকি দিয়ে একটি রিভলভার ও একটি পিস্তলসহ সরে পড়েন। পুনর্বার কলকাতায় ভবানিপুরের বাড়িতে পুলিস ধরতে এলে দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে পা ভাঙেন, কিন্তু খোঁড়া ভিক্ষুকের অভিনয় করে পুলিস বেষ্টনী থেকে চলে যেতে সক্ষম হন। এরপর ঢাকায় আত্মগোপন করেন এবং সেখানকার কলতাবাজারের বিপ্লবী ঘাঁটি পুলিশ ১৫ জুন, ১৯১৮ তারিখে শেষ রাত্রে ঘিরে ফেললে তিনি গুলি বিনিময়ের ফলে মারাত্মক ভাবে আহত হন এবং সেখানেই মারা যান। তার সঙ্গী নলিনীকান্ত বাগচী আহত হন এবং সেই দিনই ঢাকা জেলে মারা যান। মৃত্যুর পূর্বে পুলিসের অত্যাচার সত্ত্বেও তারা কেউ নিজেদের নাম পর্যন্ত বলেননি। এই লড়াইতে একজন পুলিশ নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছিল। তার আশ্রয়দাতা চৈতন্য দে-র ১০ বছর কারাদণ্ড হয়।[1][2]
তারিণীপ্রসন্ন মজুমদার | |
---|---|
![]() তারিণীপ্রসন্ন মজুমদার | |
জন্ম | ১৯ মে, ১৮৯২ |
মৃত্যু | ১৫ জুন, ১৯১৮ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
জন্ম ও শিক্ষা
তারিণীপ্রসন্ন মজুমদারের জন্ম কুমিল্লা জেলার কালিনগরে। তার বাবার নাম নবীনচন্দ্র মজুমদার।[1]
তথ্যসূত্র
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২৭২, ৩৪৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৭৪।