নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি
নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও এলাকায় অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।[1][2]
নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি | |
---|---|
নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরনীর ভবন | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | লাকসাম উপজেলা |
শহর | লাকসাম উপজেলা, কুমিল্লা জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
খোলা হয়েছে | অজানা |
স্বত্বাধিকারী | ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী |
কারিগরী বিবরণ | |
পদার্থ | ইট, সুরকি ও রড |
তলার সংখ্যা | দ্বিতল |
ইতিহাস
ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সভ্রান্ত এক মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিয়ে করেন আরেক জমিদার গাজী চৌধুরীকে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আর ঐ বিবাহ বিচ্ছেদের সময় পাওয়া দেনমোহরের এক লক্ষ এক টাকা দিয়ে তিনি নিজে একটি বাড়ি তৈরি করেন। ঐসময় জমিদারীর প্রশিক্ষণ নেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাফল্যের সাথে জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। তার জমিদারীর আওতায় প্রায় হোমনাবাদ পরগণার বর্তমান সময়ের কুমিল্লা জেলার মোট ১৪টি মৌজা ছিল। ১৪টি মৌজাতে রাজস্ব আদায়ের জন্য ১৪টি কাছারিঘর ছিল। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী জমিদার। বিশেষ করে নারীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে। তার জমিদারীর অধিকাংশ আয় এই নারী শিক্ষার পিছনে ব্যয় করতেন। তার এই সাহসী উদ্যোগ ও সাফল্যের কারণে তৎকালীন ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়া তাকে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে "নওয়াব" উপাধিতে ভূষিত করেন। যা পুরো ভারত উপমহাদেশে একমাত্র মহিলা হিসেবে তিনি এই উপাধি পান।[3][4][5]
অবকাঠামো
এই জমিদার বাড়িটি ডাকাতিয়া নদীর তীরে অবস্থিত। বাড়িটিতে একটি প্রবেশদ্বার, বসবাসের জন্য দ্বিতল বিশিষ্ট্য ভবন, একটি কাছারিঘর, বাগানবাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থান রয়েছে।[6]
বর্তমান অবস্থা
কিছুদিন আগেও এই ঐতিহাসিক বাড়ি অযত্ন ও অবহেলার কারণে প্রায় নষ্ট হতে চলেছিল। ভবনের দেয়ালে শ্যাওলা ও গাছগাছালি জন্মাচ্ছিল এবং দেয়ালের আস্তর খসে পড়ে ইট দেখা যাচ্ছিল। বর্তমানে পত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই বাড়িটির সংস্কার করেন।[7][8]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- "নওয়াব ফয়জুন্নেসার বাড়ির পলেস্তারা খসে পড়ছে"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯।
- "লাকসামে নওয়াব ফয়জুন্নেছার বাড়িতে উন্মুক্ত জাদুঘর"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯।
- "নওয়াব ফয়জুন্নেসার বাড়ি ধ্বংসের পথে | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯।
- "নারী জাগরণের অগ্রদূত নওয়াব ফয়েজুন্নেসা চৌধুরানী"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯।
- "নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীএশিয়ার মহীয়সী নারী | মহিলা অঙ্গন | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯।
- "চৌধুরানী, নবাব ফয়জুন্নেসা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯।
- "নওয়াব ফয়জুন্নেছার বাড়ি হবে উন্মুক্ত জাদুঘর"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯।
- "'কুমিল্লাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে' | banglatribune.com"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯।