এম কে আনোয়ার
মোহাম্মদ খোরশেদ আনোয়ার (১ জানুয়ারি ১৯৩৩ – ১৪ অক্টোবর ২০১৭)[1] বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সাবেক উচ্চ-পদস্থ সরকারি আমলা। তিনি সংক্ষেপে এম. কে. আনোয়ার' নামে পরিচিত এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ-পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি চাকুরী হতে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে জড়িয়ে তিনি পরবর্তীতে ৫ বার জাতীয় সংসদ সদস্য এবং দুইবার মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[1]
মোহাম্মদ খোরশেদ আনোয়ার | |
---|---|
![]() | |
বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১০ অক্টোবর ২০০১ – ২০০৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ জানুয়ারি ১৯৩৩ হোমনা, কুমিল্লা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ৮৪) ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
ধর্ম | ইসলাম |
শিক্ষা জীবন
লেটার মার্কসহ ১৯৪৮ সালে মেট্রিকুলেশন, আই.এস.সি, ঢাকা কলেজ ১৯৫০ সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এস.সি (সম্মান) এবং পরিসংখ্যাণে এম.এস.সি।
পেশাগত জীবন
[2] ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। তার ৩৪ বছরের পেশাগত জীবনে (১৯৫৬-১৯৯০) তিনি ফরিদপুর ও ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জুটমিল কর্পোরেশনের সমিতি, টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ বিমানের সভাপতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল ছিলেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি প্রশাসনে বিভিন্ন উচ্চপদে পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন সি.এস.পি কর্মকর্ত। তিনি তৎকালীন ঝিনাইদহ মহকুমার এসডিও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ঝিনাইদহ সরকারি কে.সি কলেজ কলেজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এম.কে আনোয়ার ১৯৭১ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসক ছিলেন। তার পেশাগত জীবনের এক সময় পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি লেঘারীর অধীনে চাকুরী করেছেন।
রাজনৈতিক জীবন
যখন ঢাকা কলেজে পড়তেন তখন ছাত্র সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় ফজলুল হক হলের ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ফজলুল হক হলের ছাত্র থাকা অবস্থায় এম.কে আনোয়ার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন।
এম.কে আনোয়ার বি.এন.পিতে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পূর্বে। ১৯৯৭ সালে তিনি দলের একজন অন্যতম সহ-সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের মার্চে, এম.কে আনোয়ার বেগম খালেদা জিয়ার বি.এন.পি সরকারের মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ছিলেন।
তিনি বাণিজ্য, নৌ-পরিবহন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রি ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি পুনরায় বি.এন.পি’র ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পাঁচবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি বিএনপি সরকারের সময়ে দু’বার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এ প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
পরিবার
এম.কে আনোয়ার বিবাহ করেছেন ১৯৫৬ সালে এবং তার দুই পুত্র, এক কন্যা আছে। মানিকগঞ্জের আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কন্যা তার স্ত্রী মাহমুদা আনোয়ার একজন গৃহিনী। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস পাকিস্তান আমলে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রি ছিলেন এবং তিনি শেরে বাংলা ফজলুল হকের অনুসারী ছিলেন।[2]
মৃত্যু
তিনি ২৪ অক্টোবর ২০১৭ তে ৮৬ বয়সে এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাড়িতে মারা যান।[3]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Bideshe, Deshe। "এম.কে আনোয়ার -Deshebideshe"। www.deshebideshe.com।
- এম কে আনোয়ার বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী
- "এম কে আনোয়ারের জানাজা সম্পন্ন"। প্রথম আলো। ২৪ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৮।