নিশাত মজুমদার

নিশাত মজুমদার (জন্ম: ৫ জানুয়ারি, ১৯৮১) একজন বাংলাদেশী, যিনি প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে ২০১২ সালের ১৯ মে শনিবার সকাল নয়টা ৩০ মিনিটে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেছেন। [1]

নিশাত মজুমদার
জন্ম৫ জানুয়ারি, ১৯৮১
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
পরিচিতির কারণপ্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট বিজয়

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

নিশাত মজুমদারের জন্ম ১৯৮১ সালে লক্ষ্মীপুরে। তার বাবার নাম আবদুল মান্নান মজুমদার। তিনি ব্যবসায়ী। তার মার নাম আশুরা মজুমদার। এ দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে নিশাত মজুমদার দ্বিতীয়। [2] তিনি ১৯৯৭ সালে ঢাকার ফার্মগেটের বটমূলী হোম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৯৯ সালে শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন।

কর্মজীবন

নিশাত মজুমদার ঢাকা ওয়াসায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

এভারেস্টের চূড়ায়

নিশাত মজুমদার ২০১২ সালের ১৯ মে শনিবার সকাল নয়টা ৩০ মিনিটে এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখেন। [3]

বিভিন্ন অভিযান

বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার ২০০৩ সালে এভারেস্ট বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া (৩,১৭২ ফুট) কেওক্রাডং জয় করেন। ২০০৬ সালের মার্চে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বিএমটিসি আয়োজিত বাংলাদেশের নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে ফের কেওক্রাডং চূড়ায় ওঠেন তিনি। একই বছরের সেপ্টেম্বরে বিএমটিসি আয়োজিত নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে তিনি এভারেস্ট বেস ক্যাম্প (১৭ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা) ট্র্যাকিংয়ে অংশ নেন। এরপর ২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির অর্থায়নে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে হিমালয়ের মেরা পর্বতশৃঙ্গ (২১ হাজার ৮৩০ ফুট) জয় করেন। এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে পরের বছরের মে মাসে হিমালয়ের সিঙ্গুচুলি পর্বতশৃঙ্গে (২১ হাজার ৩২৮ ফুট) ওঠেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ভারতের উত্তর কাশীর গঙ্গোত্রী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী-১ পর্বতশৃঙ্গে (২১ হাজার ফুট) বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অভিযানে অংশ নেন। নিশাত ২০০৯ সালের এপ্রিলে পৃথিবীর ৫ম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালুতে (২৭ হাজার ৮৬৫ ফুট) ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অভিযানে অংশ নেন। গতবছরের অক্টোবরে বিএমটিসি আয়োজিত হিমালয়ের চেকিগো নামের একটি শৃঙ্গেও সফল অভিযানে যান । [4]

পুরস্কার ও সম্মাননা

ঢাকা ওয়াসা

৫ জুন ২০১২ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঢাকা ওয়াসা ভবনের চতুর্থ তলায় অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে ঢাকা ওয়াসা পুরস্কার ও সম্মাননা স্বরূপ ওয়াসার পক্ষ থেকে নিশাতকে ৫ লক্ষ টাকার চেক ও ক্রেস্ট, এবং তার জন্য বাসা বরাদ্দ করা হয়। কারিগরি কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে তাকে ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

নিশাত মজুমদার সহ এভারেস্ট বিজয়ী বাংলার চার সন্তানকে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো
  2. "বিডিনিউজ ২৪ ডট কম"। ২৩ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১২
  3. "বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম"। ২২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১২
  4. দৈনিক প্রথম আলো, এভারেস্টে বাংলাদেশি নারী | তারিখ: ২০-০৫-২০১২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.