গম
গম (ইংরেজি: Wheat) বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ যার আদি উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যের লেভান্ট অঞ্চলে, কিন্তু এখন গম সারাবিশ্বে চাষ করা হয়। ২০০৭ সনে গমের বিশ্ব উৎপাদন ছিল ৬০৭ মিলিয়ন টন, যা ছিল বিশ্বের ৩য় সর্বাধিক উৎপাদিত শস্য। ১ম ও ২য় অবস্থানে ছিল যথাক্রমে ধান ও ভুট্টা। [1] বিশ্বব্যাপী গম এখন প্রোটিনের নিরামিষ উৎস হিসেবে জন্যে অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ যা মানুষের খাদ্যে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, গমে অধিক পরিমানে প্রোটিন থাকে, এছাড়াও ধান ও ভূট্টাতেও এই প্রোটিন পাওয়া যায়। খাবার জন্যে ব্যবহৃত মোট উৎপাদিত শস্য অনুযায়ী, গম রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে যখন থেকে ভুট্টাকে পশু খাদ্যের জন্যে ব্যবহার শুরু হয় এবং ধান রয়েছে প্রথম অবস্থানে যেহেতু ধান মানুষ্য খাদ্যের প্রধান শস্য।
গম | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Angiosperms |
শ্রেণী: | Monocots |
(শ্রেণীবিহীন): | Commelinids |
বর্গ: | Poales |
পরিবার: | Poaceae |
উপপরিবার: | Pooideae |
গোত্র: | Triticeae |
গণ: | Triticum L. |
Species | |
T. aestivum References: |
গম মানবসভ্যতার শুরুতে নগরভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার উদ্ভবের প্রধান হেতু ছিল কারণ গম ছিল আদি শস্য উপাদানের মধ্যে একটি যে শস্য বৃহৎ পরিমানে চাষ করা যায় এবং অতিরিক্ত ফসল অনেক দিন পর্যন্ত গুদামজাত করে রাখা যায়। গম দানা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার উপাদান যা গুড়ো করে তৈরি আটা নানারকম রুটি, বিস্কুট, কুকিজ, কেক, পিঠা, পাস্তা, নুডলস, তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বিয়ার, ভদকা ইত্যাদি মদ্য এবং জৈবজ্বালানী তৈরি করতেও গম ব্যবহৃত হয়। গমের খড় গৃহপালিত পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং খড়ের ছাউনির জন্য নির্মাণ সামগ্রী হিসেব ব্যবহার করা হয়।
গম উৎপাদক দেশসমূহ
- বাংলাদেশ
- ভারত
- ইন্দোনেশিয়া
- আফ্রিকা
- নেপাল
- ভূটান
তথ্যসূত্র
- "Faostat"। ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-০৫।