চিত্রা নদী
চিত্রা নদী (ইংরেজী: Chitra River) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গোপালগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৩ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক চাটখালী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৩৪।[1] নদীটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে প্রবাহিত গঙ্গা-পদ্মা সিস্টেমের একটি বিশাল উপকূলীয় নদী।[2] ১৭০ কিঃমিঃ দীর্ঘ এ নদীটি চুয়াডাঙা ও দর্শনার নিম্নস্থল থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কালিগঞ্জ, মাগুরার শালিখা ও কালিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গাজীরহাটে নবগঙ্গা নদীর সাথে মিলেছে এবং এর মিলিত স্রোত খুলনার দৌলতপুরের কাছে ভৈরব নদীতে মিশেছে।
চিত্রা নদী | |
River | |
চিত্রা নদী চিত্রা নদী | |
দেশ | বাংলাদেশ |
---|---|
জেলা | চুয়াডাঙ্গা |
উৎস | চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনার নিম্নস্থল |
দৈর্ঘ্য | ১৭০ কিলোমিটার (১০৬ মাইল) |
বর্তমান অবস্থা
একসময় চিত্রা নদী অত্যন্ত খরস্রোতা থাকলেও বর্তমানে কতিপয় প্রাকৃতিক কারণ, কালভার্ট নির্মাণ ও মূলত দখলদারির কারণে তা মৃতপ্রায় হয়ে রয়েছে। অব্যবহারযোগ্য পানিধারণকারী এ নদী দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে বটে।[3][4]

তথ্যসূত্র
- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৩৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- "চিত্রা নদী"। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - "খরস্রোতা চিত্রা নদী এখন মরা খাল"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৪।
- "উৎসমুখ শুকিয়ে যাওয়ায় চিত্রা নদী মরে যাচ্ছে"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১০।