চূর্ণী নদী

চূর্ণী নদী ভারতের নদীয়া জেলার মাজদিয়া মাথাভাঙ্গা নদী থাকে উৎপন্ন হয়েছে। এর পর নদীটি ৬৫ কিমি প্রবাহিত হয়ে চাকদহর কাছে হুগলী নদীতে পতিত হয়েছে।

চূর্ণী নদী
হালালপুর কৃষ্ণপুরে চুর্নী নদীর দৃশ্য
হালালপুর কৃষ্ণপুরে চুর্নী নদীর দৃশ্য
দেশ ভারত
রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ
অঞ্চল প্রেসিডেন্সি বিভাগ
জেলা নদীয়া
নগর মাজদিয়া, রানাঘাট, চাকদহ
উৎস মাথাভাঙ্গা নদী
 - অবস্থান মাজদিয়া, নদীয়া, পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গ,  ভারত
মোহনা হুগলী নদী
 - অবস্থান চাকদহ, নদীয়া, পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গ,  ভারত
দৈর্ঘ্য ৬৫ কিলোমিটার ( মাইল)

প্রবাহ পথ

চূর্ণী নদীতে একটি যাত্রীবাহি নৌকা

কুস্টিয়া জেলায় পদ্মা নদী থেকে মাথাভাঙ্গা নদী উৎপন্ন হয়ে নদীয়া জেলার মাজদিয়াতে নদীটি দুটি প্রবাহে ভাগ হয়। একটি শাখা ইছামতি নদী নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে অন্যটি চুর্নী নামে দক্ষিণ-পশ্চিমে বাহিত হয়েছে।[1] চুর্নী নদীটি মাজদিয়া, শিবনিবাস, হাঁসখালি, বীরনগর, আরংঘাটা, রানাঘাট, চাকদহ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হুগলী নদীতে পতিত হয়েছে। নদীটির প্রবাহ পথে কিছু নদী চর বা দ্বীপ দেখা যায়। বর্তমানে নাব্যতা হারিয়েছে অতীতের বিখ্যাত নদী চূর্নী।[2]

ইতিহাস

১৯৩০ সালে নদীটি এই অঞ্চলের প্রধান বাণিজ্য পথ হিসাবে ব্যবহৃত হত।

বাংলা সাহিত্যে

রবীন্দ্রনাথের ১৩০৪ বঙ্গাব্দে রচিত, দেবতার গ্রাস, কবিতায় চূর্ণী নদীর কথা আছে। 'হেমন্তের প্রভাতশিশিরে ছলছল করে গ্রাম চূর্ণীনদীতীরে'। এছাড়া বাংলা জীবনমুখী গায়ক শিলাজিৎ মজুমদারের গানে চূর্নী নদীর কথা এসেছে।

পাদটীকা

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.